'বেশির ভাগ বাজিকরই ভারতীয়'

এসিইউ জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল। ছবি: আইসিসি
এসিইউ জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল। ছবি: আইসিসি
>ক্রিকেটে বেশির ভাগ বাজিকর ভারতীয় বলে জানিয়েছেন আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটের মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল

শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে দুর্নীতি নিয়ে তদন্তে নেমেছে আইসিসি। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটের মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল এই তদন্তে নেমে জানিয়েছেন চাঞ্চল্যকর এক তথ্য—বেশির ভাগ বাজিকরই নাকি ভারতীয়।

সনাথ জয়াসুরিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর নড়েচড়ে বসে আইসিসি। লঙ্কান ক্রিকেটে দুর্নীতির মূল কতটা গভীরে তা উন্মোচনের চেষ্টায় নেমেছে তারা। জয়াসুরিয়ার বিরুদ্ধে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী আইনের দুটি ধারা ভাঙার অভিযোগ উঠেছিল— ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ না উঠলেও দুর্নীতিবিরোধী দলের (এসিইউ) তদন্তে সহযোগিতার ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যাখ্যা না দিয়ে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হওয়া কিংবা সহযোগিতা করতে রাজি না। এসিইউর মহাব্যবস্থাপক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, লঙ্কান ক্রিকেটে চলমান এই তদন্ত থেকে হয়তো আরও বড় বড় নাম বেরিয়ে আসতে পারে।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলতে গিয়েই ভারতীয় বাজিকরদের প্রসঙ্গ তুলেছেন অ্যালেক্স মার্শাল। চলতি শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজে বাজিকরদের ভূমিকা নিয়ে মার্শাল বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় বেশির ভাগই (বাজিকর) স্থানীয় ও ভারতীয়। তবে বিশ্বের বেশির ভাগ জায়গায় ভারতীয় বাজিকরই বেশি।’ মার্শালের এই উক্তি ভারতীয় সমর্থকদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সাবেক লেগ স্পিনার কানেরিয়া জানান, ভারতীয় বাজিকর অনু ভাটের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে তিনি ম্যাচ পাতিয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, ২০০০ সালের দিকে ম্যাচ পাতানো বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে খেলোয়াড়-সংশ্লিষ্ট বেশির ভাগ বাজিকর ভারতীয় বংশোদ্ভূত বলে আলোচনা হয়েছে। মার্শাল জানিয়েছেন, আইসিসি এই মুহূর্তে ‘১২ থেকে ২০ জন সক্রিয় দুর্নীতিবাজ’-এর ওপর নজর রাখছে। এর মধ্যে ছয়জন গুরুতর সন্দেহভাজন। ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের তাঁদের সম্পর্কে জানানো হয়েছে। ‘আমরা তাঁদের ৬ জনের ব্যাপারে জানিয়েছি। সম্ভবত ১২ থেকে ২০ জন এর সঙ্গে জড়িত। খেলোয়াড়দের শুধু পুরুষ বাজিকরদের ছবি দেখানো হয়েছে। নারীরাও এর সঙ্গে জড়িত।’