পাকিস্তানি কিংবদন্তির ছেলে অস্ট্রেলিয়ার দলে

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন উসমান। ছবি: টুইটার
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন উসমান। ছবি: টুইটার

বাপ কা বেটা সেপাই কা ঘোড়া। আবদুল কাদিরের সঙ্গে এই প্রবাদটি মিলে যায়। তিনি পাকিস্তানের কিংবদন্তি লেগ স্পিনার। তাঁর ছেলে উসমান কাদিরও লেগ স্পিনার। তবে পার্থক্যও আছে। কাদির প্রতিনিধিত্ব করেছেন তাঁর জন্মভূমি পাকিস্তানের। কিন্তু তাঁর ছেলে খেলতে চান অস্ট্রেলিয়ার হয়ে।

বাবার মতো উসমানের জন্মও লাহোরে। পাকিস্তানের বয়সভিত্তিক দলে প্রতিনিধিত্ব করা ২৫ বছর বয়সী এ লেগি দুই বছর আগে পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়। ২০২০ সালের মধ্যে দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়ার আশায় রয়েছেন উসমান। ওই বছরই অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সে পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন উসমান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী একাদশে ডাক পেয়েছেন উসমান। ক্যানবারায় অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচ।

বিশ্বের সেরা লেগ স্পিনার বলতে শেন ওয়ার্নকেই মানেন সবাই। কিন্তু মৃতপ্রায় এই শিল্পকে জাগিয়ে তোলার কৃতিত্ব আবদুল কাদিরের। ৬৭ টেস্টে ২৩৬ উইকেট পাওয়া কিংবদন্তির ছেলে ২৩ বছর পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়েই খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দলে ঢোকা নিয়ে রাজনীতিতে বিরক্ত হয়ে সিডনিতে গ্রেড ক্রিকেট খেলতে চলে এসেছেন ২০১৬ সালে। সিডনিতে মাত্র ৬ ম্যাচেই ৩৬ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকদের নজরে চলে এসেছেন উসমান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অবশ্য এখনো খেলা সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে। বিশেষ প্রতিভাধর ভিসার জন্য উপযুক্ত প্রমাণ করে ২০২০ বিশ্ব টি-টোয়েন্টি অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলার স্বপ্ন দেখছেন কাদির। ২০২০ সালের এই প্রতিযোগিতা হবে অস্ট্রেলিয়াতেই।

৩১ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা ও প্রধানমন্ত্রী একাদশের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। সেদিনই বোঝা যাবে, আসলেই কি রত্ন হারিয়েছে পাকিস্তান। নাকি ইয়াসির-শাদাবের লেগ স্পিনই যথেষ্ট তাদের জন্য।