সৌম্যকে দরকার হলে নেওয়া হবে

দারুণ পারফরম্যান্সে নির্বাচকদের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে রাখছেন সৌম্য। ছবি: শামসুল হক
দারুণ পারফরম্যান্সে নির্বাচকদের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে রাখছেন সৌম্য। ছবি: শামসুল হক

প্রস্তুতি ম্যাচ। বেশির ভাগ সময়ই এর ফলের কোনো গুরুত্ব নেই। ম্যাচে ব্যক্তিগত সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়েও আলোচনা হয় কম। কিন্তু এই মুহূর্তে সাফল্য পাওয়া ব্যক্তিটা যদি হন সৌম্য সরকার, আলোচনায় না এসে কি আর উপায় আছে!

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দলে না থাকায় গতকালও খুলনায় জাতীয় লিগের ম্যাচ খেলেছেন। সন্ধ্যায় ঢাকা ফিরে আজ আবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া। আর ব্যাট হাতে ১১৪ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ১০২ রানে। সৌম্যর দুর্দান্ত নেতৃত্ব ও ব্যাটিং মাঠে বসেই দেখেছেন বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবদিন। প্রশ্নটি এসেই যায়, এই সেঞ্চুরির পর সৌম্যকে নিয়ে প্রধান নির্বাচকের ভাবনা কী?

মিনহাজুল আবদিন দৃঢ় কণ্ঠেই বলেছেন প্রয়োজন হলে দলে নেওয়া হবে সৌম্যকে, ‘সৌম্য আমাদের চোখের আড়াল হয়নি। ও তো আমাদের ৩০ জনের পুলের মধ্যেই আছে। আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। এই জিম্বাবুয়ে সিরিজের স্কোয়াডে আমাদের কিছু খেলোয়াড়কে দেখতে হচ্ছে। সৌম্য সরকারকে যদি দরকার হয়, সব সময় বলি দেশের জন্য কাউকে দরকার হলে তাকে সব সময় নেওয়া হবে। যাকে যখন দরকার হবে তখন দেখবেন তাকেই আমরা সুযোগ দিচ্ছি।’

সৌম্যর দলে ফেরাটা ভবিষ্যতের হাতে। কিন্তু যেভাবে রানের ফোয়ারা বইছে তাঁর ব্যাট থেকে, প্রশংসা করতেই হয়। এই তো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের আগে জাতীয় লিগে দুই সেঞ্চুরি করে এসেছেন। কিন্তু টানা জাতীয় লিগে খেলে আবার আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলায় তো ধকল পড়ার কথা। মানসিক প্রস্তুতি দিয়েই ক্লান্তি জয় করেছেন সৌম্য, ‘শারীরিক দিক থেকে একটু কঠিন ছিল। মানসিক দিক থেকে অন্যভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। খেলতেই যেহেতু হবে ওভাবে না ভেবে রাতের মধ্যে যতটুকু সম্ভব ক্লান্তি কাটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি, যেন খেলা যায়। সকাল বেলায়ও একটু জার্নি ছিল। সে সব মাথায় না নিয়ে চেষ্টা করেছি যতটা স্বাভাবিক খেলা খেলা যায়। যতক্ষণ সুস্থ থাকব বা শরীর সায় দেবে সত্যিকারের ক্রিকেট খেলব।’

অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। অথচ তাঁর নাকি জানাই ছিল না জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের কথা, ‘প্রথমে তো এই খেলা আছে জানতাম না। খুলনাতেই ছিলাম, পরিকল্পনা ছিল বাড়ি যাব। হঠাৎ করে যখন বলা হলো খেলতে হবে। প্রথমে একটু খারাপ লেগেছিল। অনেক দিন পর একটা ছুটি পেয়েছিলাম সেটাও হাতছাড়া হচ্ছে। আবার চিন্তা করলাম যেহেতু খেলতেই হবে এসব চিন্তা না করাই ভালো। মনোযোগ দিয়ে খেলাই ভালো। সে চেষ্টাই করেছি।’