মুশফিকের সামনে অভিজাত তালিকার হাতছানি

মুশফিকুর রহিম। ছবি: প্রথম আলো
মুশফিকুর রহিম। ছবি: প্রথম আলো
>জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে এক অভিজাত কাতারে নাম লেখানোর অপেক্ষায় মুশফিকুর রহিম

অ্যাডাম গিলক্রিস্ট দেখিয়ে দিয়েছেন উইকেটরক্ষক দলের ব্যাটিং-স্তম্ভও হতে পারে। বাংলাদেশ দলে সেই উদাহরণটা মুশফিকুর রহিম। তাঁর ব্যাটিং নিয়েই কথা হয় বেশি। উইকেটকিপিং নিয়েও কথা হয়, তবে সেই আলোচনায় সমালোচনাও উঠে আসে। তবু কিপিং-গ্লাভসের প্রতি মুশফিকের যে টান, যে ভালোবাসা—তা অস্বীকার করার উপায় নেই। সর্বশেষ এশিয়া কাপেও পাঁজরে ব্যথা নিয়ে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়েছেন। আর এখন দাঁড়িয়ে ওয়ানডের একটি অভিজাত কাতারে ঢোকার দোরগোড়ায়।

মুশফিক আসলে সেই অভিজাত কাতারের কড়া নাড়ছেন। খিড়কিটা খুলতে পারে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজেই। আর মাত্র ৮টি ডিসমিসাল গ্লাভস বন্দী করতে পারলেই মুশফিকের পেছনে পড়বেন জেফরি ডুজন। তখন মুশফিক জায়গা করে নেবেন ওয়ানডেতে শীর্ষ ১০ উইকেটরক্ষকের তালিকায়—সর্বোচ্চ ডিসমিসালের (ক্যাচ ও স্টাম্পিং) হিসেবে। যেখানে প্রথম চারজন ডিসমিসাল সংখ্যায় গড়েছেন ‘ফোর হান্ড্রেড ক্লাব’। আর পরের ছয়জন ‘টু হান্ড্রেড ক্লাব’-এ। এই দুই শ-র ক্লাবে নাম লেখাতে মুশফিকের চাই আর মাত্র তিনটি ডিসমিসাল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সোনালি সময়ের উইকেটরক্ষক ডুজন তাঁর ১০ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৬৯ ম্যাচে ২০৪টি ডিসমিসালের মালিক হয়েছেন। ডিসমিসাল সংখ্যায় শীর্ষ ১০ উইকেটরক্ষকের মধ্যে ডুজন সবার শেষে। মুশফিক ঠিক তাঁর পেছনেই—১৯২ ম্যাচে ১৯৭ ডিসমিসাল (ক্যাচ ১৫৫, স্টাম্পিং ৪২)। কাল মিরপুরে গড়াবে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। ডুজনকে টপকে যাওয়ার অভিযানটা তাহলে শুরু হচ্ছে কাল থেকে।

ওয়ানডেতে ডিসমিসাল সংখ্যায় শীর্ষে কুমার সাঙ্গাকারা। ৪০৪ ম্যাচে ৪৮২ ডিসমিসাল। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে এই কীর্তি গড়েছেন লঙ্কান কিংবদন্তি। ১০টি ডিসমিসাল পিছিয়ে তাঁর পেছনেই গিলক্রিস্ট। এরপর মার্ক বাউচার (৪২৪), মহেন্দ্র সিং ধোনি (৪১৯) ও মঈন খান (২৮৭)। ‘ফোর হান্ড্রেড ক্লাব’-এ নাম লেখানো এই শীর্ষ চারজনের পাশে মুশফিক বসতে পারবেন কি না তা সময়ই বলে দেবে। তবে মঈন খানকে টপকে তাঁর পাঁচে উঠে আসার সম্ভাবনা আছে যথেষ্টই ।

পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষকের ডিসমিসাল সংখ্যা থেকে মুশফিকের মাঝে রয়েছেন আরও পাঁচজন—ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (২৪২), ইয়ান হিলি (২৩৩), রশিদ লতিফ (২২০), রমেশ কালুভিথারানা (২০৬) ও ডুজন। এঁরা সবাই এখন সাবেক। অর্থাৎ মুশফিকের সামনে রাস্তাটা পরিষ্কার—শুধু সুযোগগুলো নষ্ট করা চলবে না।