অবশেষে ঢাকার বাইরে ক্রিকেট উন্নয়নের উদ্যোগ

সুনামগঞ্জে শুরু হয়েছে বিসিবির আঞ্চলিক প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি। ছবি: বিসিবি
সুনামগঞ্জে শুরু হয়েছে বিসিবির আঞ্চলিক প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি। ছবি: বিসিবি

বাংলাদেশের আর সবকিছুর মতো ক্রিকেটও ভীষণ ঢাকাকেন্দ্রিক। যদিও বর্তমান জাতীয় দলের প্রায় সব খেলোয়াড়ই এসেছেন ঢাকার বাইরে থেকে। কিন্তু প্রত্যেককেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিটা নিতে হয় ঢাকাতেই। ঢাকার বাইরে যে উন্নত সুযোগ-সুবিধা নেই। নেই আনাচকানাচে থেকে ক্রিকেটার তুলে নিয়ে আসার পর্যাপ্ত উদ্যোগ।

ঢাকার বাইরে সারা দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি বহুদিনের। গত এক দশকে প্রতিটি বোর্ডই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গড়ার। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতির পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি এখনো। নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ অবশ্য গত বছর নভেম্বরে দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নিয়েই অঙ্গীকার করে, তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গঠন করবে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা। এক বছর পেরিয়ে গেলেও এই অঙ্গীকারের পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। তবে একটি উদ্যোগ তারা নিয়েছে। কার্যক্রম শুরু হয়েছে আঞ্চলিক ক্রিকেট একাডেমির কর্মসূচি।

বিসিবি এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সিলেট অঞ্চলে ১৬ থেকে ১৮ বছরের প্রতিভাবান ক্রিকেটার অন্বেষণ শুরু করেছে তারা। বিসিবির কোচ ও ট্রেনাররা প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির প্রথম দিনটা কাটিয়েছেন সুনামগঞ্জে। কাল হবিগঞ্জ, ২৯ অক্টোবর সিলেট ও ৩০ অক্টোবর মৌলভীবাজারে চলবে এ কর্মসূচি। সিলেট বিভাগের চার জেলা থেকে পর্যায়ক্রমে প্রতিভাবান ক্রিকেটার খুঁজে বের করে তাদের আঞ্চলিক ক্রিকেট একাডেমিতে দীর্ঘ মেয়াদে অনুশীলনের সুযোগ করে দেওয়া হবে।

কিছুদিন আগে আঞ্চলিক ক্রিকেট একাডেমি নিয়ে বিসিবির পরিচালক ও সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী বলেছিলেন, ‘চট্টগ্রাম সিলেট, রাজশাহী ও রংপুরে একাডেমির কাজ শুরু করব। প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্যাম্প করব, প্রতিভা অন্বেষণ করব। পরবর্তী সময়ে তাদের আমরা দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসব। আমাদের এইচপি এবং জেলা বিভাগে যাঁরা কোচ রয়েছেন, তাঁরা এ ক্যাম্পগুলো চালাবেন।’