খেলতে না ঘুরতে পাঠানো হচ্ছে ফুটবল দলকে?

অনুশীলনে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৫ ফুটবল দল। ছবি: বাফুফে
অনুশীলনে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৫ ফুটবল দল। ছবি: বাফুফে
>ফিজিও ছাড়াই অনূর্ধ্ব ১৫ সাফ ফুটবল খেলতে আগামীকাল নেপাল যাচ্ছে ৩২ সদস্যের বাংলাদেশ দল।

বয়সভিত্তিক ফুটবলে সাফল্যে সম্ভবত অরুচি ধরেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। অথবা নিজেদের ফুটবলারদের শারীরিক দক্ষতা নিয়ে এতটাই নিশ্চিত যে, প্রতিপক্ষকে গোনাতেই ধরছে না তারা। কারণ অনূর্ধ্ব ১৫ সাফ খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ দলের সঙ্গে নেই কোনো ফিজিও। নেপালগামী এ দলে নেই কোনো ডাক্তারও।

অত্যাবশ্যক বিষয় বাদ দিয়ে নিজেদের রেওয়াজ ঠিকই ধরে রেখেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। খেলোয়াড়দের চোটের চিন্তা বাদ দিয়ে দলের সঙ্গে আগামীকাল যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। ৩২ সদস্যের দলে ২৩ জন ফুটবলার। বাকি নয়জনের মধ্যে ম্যানেজার আছেন, তাঁর সঙ্গে আছেন একজন দল নেতা। তাঁর একজন সহকারীও আছেন, অর্থাৎ দলে আছেন একজন সহকারী টিম লিডার। এসব দেখে প্রশ্ন উঠতেই পারে, নেপালে বাংলাদেশকে খেলতে পাঠানো হচ্ছে না ঘুরতে?

দলের সঙ্গে ফিজিও কেন নেই, এই প্রসঙ্গে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের যুক্তি, ‘কোচের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মিডিয়া ম্যানেজার পাঠাতে গিয়ে বাদ দেওয়া হয়েছে ফিজিও।’ সাধারণ সম্পাদকের পাশে বসে নিজের যুক্তি শোনালেন বাফুফের বেতনভুক্ত কোচ আনোয়ার পারভেজ, ‘আমরা টুর্নামেন্টের চিকিৎসক দিয়ে কাজ চালাতে পারব। তা ছাড়া ক্রীড়াবিজ্ঞান সম্পর্কেও ধারণা রয়েছে আমাদের।’

২৫ অক্টোবর থেকে নেপালে শুরু হবে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশের গ্রুপে আছে মালদ্বীপ ও স্বাগতিক নেপাল। মাত্র আড়াই মাসের প্রস্তুতি নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের বয়সভিত্তিক লড়াইয়ে নামবে কিশোররা। স্বল্প সময়ের প্রস্তুতির সঙ্গে রংপুরের কিশোরদের সঙ্গে নামকাওয়াস্তে দুটি অনুশীলন ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবে লক্ষ্যও গ্রুপ পর্ব পার হওয়া, 'আমাদের প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনাল। এ জন্য প্রথম ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। মালদ্বীপকে হারিয়ে আপাতত আমরা সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে চাই।' আনোয়ারের অধীনেই গতবার সেমিফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। সেবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নেপালের বিপক্ষে ৪-২ গোলে হেরেছিল কিশোররা।