দ্রুতই অবসরে যাবেন কোহলি? উড়িয়ে দিলেন তাঁর শৈশবের কোচ

বিরাট কোহলি। ছবি: এএফপি
বিরাট কোহলি। ছবি: এএফপি
>ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের পর বিরাট কোহলি বলে বসলেন তাঁর ক্যারিয়ারের আর নাকি ‘কয়েক বছর বাকি’। এ নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। কোহলি কি তাহলে দ্রুতই অবসরে যাবেন? ভারতীয় অধিনায়কের শৈশবের কোচ রাজকুমার শর্মা জানালেন, এমন কোনো সম্ভাবনা নেই।

মাত্র ২৯ বছরের তরতাজা যুবক। দেশের হয়ে চুটিয়ে খেলছেন। সাধারণ হিসেবেও তাঁর ক্যারিয়ারে বাকি থাকার কথা সর্বোচ্চ আর সাত-আট বছর। তবে আলাপটা যেহেতু বিরাট কোহলিকে নিয়ে তাই এই ‘সাত-আট বছরে’র সীমা বেড়ে যেতেই পারে। তাঁর যে ফিটনেস সেটি ধরে রাখলে অনেকে তাঁকে চল্লিশেও দেখেন আন্তর্জাতিক ময়দানে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের পর সমর্থক ও বিশ্লেষকদের এই বিশ্বাস নড়িয়ে দিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক। সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তাঁর ক্যারিয়ারে ‘আর কয়েক বছর বাকি’। কোহলির এই ‘কয়েক বছর’ কথাটার ধাঁধায় এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট।

জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করাটা যে ক্রিকেটারের মোক্ষধাম, যাঁর ফর্ম নিয়ে প্রায় কখনোই কোনো প্রশ্ন ওঠেনি, ফিটনেস নিয়ে তো নয়ই—এমন কেউ যদি নিজের ক্যারিয়ারের ‘কয়েক বছর বাকি’ দেখেন তাহলে আলোচনার ঝড় ওঠাই স্বাভাবিক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাই এ নিয়ে ভালোই বিতর্ক চলছে। আর এই বিতর্কেই জল ঢালার চেষ্টা করেছেন কোহলির শৈশবের কোচ রাজকুমার শর্মা। তাঁর ভাষ্য, কোহলি কথাটা ওভাবে বোঝাতে চায়নি।

ভারতের সাবেক প্রথম শ্রেণির এই ক্রিকেটারের গড়া পশ্চিম দিল্লির ক্রিকেট একাডেমি থেকে উঠে এসেছেন কোহলি। শিষ্যকে ভালোমতো জানেন বলেই হয়তো তাঁর হয়ে ব্যাট ধরলেন রাজকুমার, ‘মনে হয় না সে “কয়েক বছর” কথাটা ওভাবে বোঝাতে চেয়েছে। নিশ্চিত থাকুন, আগামী ১০ বছর তাঁকে ভারতের হয়ে খেলতে দেখবেন। বয়স ৪০ হওয়ার আগে সে সম্ভবত অবসর নেবে না। এর আগে তাঁর রান ক্ষুধা কমবে বলেও মনে হয় না।’ কোহলির উক্তির ব্যাখ্যাও করেছেন রাজকুমার, ‘সে কথাটা ওভাবে বলতে চায়নি। আরও ৫-৭ বছর বাকি—এ কথা বলতে চেয়েছে। আগামী ১০ বছর সে কোথাও যাচ্ছে না। তেমন কোনো চোটও তাঁর নেই।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে হেসেখেলে জিতেছে ভারত। মাত্র ৪২.১ ওভারে ৩২২ রান তাড়া করে যে জয়টা ভারত পেল, সেটিতে সম্ভব হয়েছে রোহিত শর্মা আর কোহলির দুর্দান্ত এক জুটিতেই। দুজনেই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে কোহলি বলেছিলেন, ‘আর কয়েক বছর খেলটা উপভোগ করতে বাকি। দেশের হয়ে খেলাটা সম্মান ও ভীষণ গর্বের। কোনো ম্যাচকেই হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। খেলাটির প্রতি সৎ থাকলে কিছু ফেরত পাবেনই। আমি সেটাই করার চেষ্টা করি।’