জুভেন্টাসের কাছে পাত্তাই পেল না ম্যান ইউনাইটেড

নিজে গোল না পেলেও গোল করিয়েছেন রোনালদো। ছবি: এএফপি
নিজে গোল না পেলেও গোল করিয়েছেন রোনালদো। ছবি: এএফপি
চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যান ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়েছে জুভেন্টাস। জুভেন্টাসের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন পাওলো দিবালা।


এই ওল্ড ট্রাফোর্ডের প্রতিটি ঘাসের ডগায় লুকিয়ে আছে হাজারো স্মৃতি। এখানে আসলেই রোনালদো ভাসেন স্মৃতির ভেলায়। ইউনাইটেড ছাড়ার পর এবারই প্রথম অন্য ক্লাবের জার্সি গায়ে এসেছেন এখানে। ইউনাইটেডকে বানিয়েছেন প্রতিপক্ষ। মঙ্গলবার রাতে রোনালদোর ‘ঘরে’ফেরার দিনে তাঁর বর্তমান দল জুভেন্টাসের কাছে পাত্তাই পেল না ম্যানইউ। জুভেন্টাসের পর্তুগিজ স্ট্রাইকারের পাস থেকেই গোল করেছেন দিবালা। যদিও দিবালার বল পাওয়ার আগে ডি বক্সে থাকা কুয়ার্দাদ্রাদোর পা ছুঁয়ে যায়। চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটিতে জুভেন্টাস জিতেছে ১-০ গোলের ব্যবধানে।

প্রথমার্ধের অর্ধেক সময় বলতে গেলে বলই পায়নি স্বাগতিকেরা। মরিনহোর শিষ্যরা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের পা থেকে বল কেড়ে নিতেই হিমশিম খাচ্ছিল পুরোটা সময়। এর সঙ্গে রোনালদো-দিবালাদের আক্রমণ রুখতেই ব্যস্ত ছিল ম্যানইউ রক্ষণ। এতে অবশ্য কাজের কাজ একটা হয়েছে— খুব বড় ব্যবধানে হারতে হয়নি ইউনাইটেডকে। যদিও ম্যাচের শুরুতেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল জুভেন্টাস। নবম মিনিটে রোনালদোর পাস থেকে দিবালার শট ম্যানইউর গোলরক্ষক আটকে দিলে রক্ষা পায় ইংলিশরা। তবে শেষ রক্ষা আর হলো কই! ম্যাচের ১৭ মিনিটে গোলমুখ ঠিকই খুলে নিয়েছে দিবালার শট। ডানদিক থেকে রোনালদোর বাড়ানো ক্রস ফাঁকায় জায়গা করে নেওয়া দিবালার কাছে পাঠান কুয়ার্দাদ্রো। আর্জেন্টাইন তরুণ তুর্কি ক্লিনিক্যাল ফিনিশিংয়ের অনন্য উদাহরণ রাখলেন। এই ম্যাচের আগে ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা দিবালা চ্যাম্পিয়নস লিগে দুই ম্যাচে এ নিয়ে করলেন চার গোল।

ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক। ম্যানইউর বিপক্ষে একমাত্র গোলটিও দিবালার। চ্যাম্পিয়নস লিগে সময়টা ভালোই যাচ্ছে এই আর্জেন্টাইনের। ছবি: এএফপি
ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক। ম্যানইউর বিপক্ষে একমাত্র গোলটিও দিবালার। চ্যাম্পিয়নস লিগে সময়টা ভালোই যাচ্ছে এই আর্জেন্টাইনের। ছবি: এএফপি

দিবালার গোলেই ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যানইউ খেলায় ফেরার চেষ্টা চালিয়ে গেলেও গোলের দেখা পায়নি। জুভেন্টাসও বেশ কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করেছে। তাদেরও একই দশা! এই যেমন, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রোনালদোর শট কর্নারের বিনিময়ে আটকে দেন ম্যানইউর ডিফেন্ডার। জুভেন্টাস গোলমুখে শট নিয়েছে ১৪টি আর ইংলিশদের গোলমুখে শট ছিল মাত্র ৬টি। ম্যাচের প্রায় ৬০ শতাংশ সময়েই জুভদের দখলে বল ছিল। শেষদিকে ম্যানইউর পগবা ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন বল জালে জড়ানোর। কিন্তু আজ রাতটা জুভেন্টাসের বলেই হয়তো পগবার শট প্রথমে পোস্টে তারপর জুভেন্টাস গোলরক্ষকের মাথায় লেগে বাইরে যায়।
চ্যাম্পিয়নস লিগে এ নিয়ে টানা তৃতীয় জয় পেল জুভেন্টাস।