স্মিথ-ওয়ার্নার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে?

খুব শিগগিরই অস্ট্রেলিয়া দলে দেখা যাবে এ দুজনকে। ফাইল ছবি
খুব শিগগিরই অস্ট্রেলিয়া দলে দেখা যাবে এ দুজনকে। ফাইল ছবি

গত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে এক ম্যাচ না খেলেই দেশে ফিরতে হয়েছে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফটের। টানা হারে দিশেহারা হয়ে বোলারদের হাতে বাড়তি অস্ত্র তুলে দিতে স্যান্ডপেপার বা সিরিশ কাগজ দিয়ে বল ঘষে বিকৃত করেছিলেন ব্যানক্রফট। এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের দেখভাল করেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ। এ বছর মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির দায়টা তাই তিনজনের ঘাড়েই পড়েছিল।

ওয়ার্নার ও স্মিথকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। আর ব্যানক্রফটের ক্ষেত্রে জুটেছে নয় মাসের শাস্তি। ওয়ার্নার ও স্মিথের তাই ২০১৯ সালের মার্চের আগে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ফেরার সুযোগ ছিল না। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এ তিনজনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা চিন্তা করছে। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অনুরোধ বিবেচনা করে দেখছে ক্রিকেট বোর্ড।

কিছুদিন আগে সিডনিভিত্তিক একটি নৈতিকতা কেন্দ্র অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট নিয়ে একটি স্বাধীন পর্যালোচনা করেছিল। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট নিয়ে ১৪৫ পৃষ্ঠার ওই পর্যালোচনায় বল টেম্পারিংয়ের বড় দায় দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান বোর্ডের ঘাড়ে। টেম্পারিংয়ের ঘটনার পর সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছিল, যে করেই হোক জেতার অস্ট্রেলীয় মানসিকতা। বলা হয়েছিল, এ কারণেই বল টেম্পারিংয়ের চিন্তা মাথায় এসেছে অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের। বছরের পর বছর ধরে ক্রিকেট বোর্ডের যে কোনোভাবেই হোক জেতার যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, সেটারই বলি হয়েছেন ক্রিকেটাররা। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তাই ক্রিকেট বোর্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে ওয়ার্নার-স্মিথ-ব্যানক্রফটের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস এরই মধ্যে জানিয়েছে দিয়েছেন, তারা এসিএর প্রস্তাবকে গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করবে।

খেলোয়াড়দের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে এসিএর প্রস্তাব বোর্ড কদিন আগেই পেয়েছে। এটা আমার কাছে কিংবা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে নয়, পুরো বোর্ডের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। তাও বোর্ডের কোনো বিষয় নিয়ে আমি মন্তব্য করতে পারি না। শুধু এটুকুই বলতে পারি, বোর্ড তাদের এ প্রস্তাবকে শ্রদ্ধা করে এবং এটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে।

যে পর্যবেক্ষণ দেখে এসিএ ক্রিকেট বোর্ডকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বলছে, সে প্রতিবেদনই প্রথম এ ব্যাপারে সুপারিশ করেছিল। তবে সেখানে স্মিথ-ওয়ার্নার-ব্যানক্রফটদের শাস্তি পুনর্বিবেচনার কথা বলা হয়েছিল। এখন দেখার বিষয়, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে যদি সম্ভব নাও হয়, ভারতের বিপক্ষেই ওয়ার্নার-স্মিথদের ডেকে পাঠাবে কি না বোর্ড? নাকি শেফিল্ড শিল্ডে কিছু ম্যাচ অনুশীলন করে তারপরই ডেকে আনা হবে তাঁদের? পাকিস্তানের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দলের যে অসহায় অবস্থা, স্মিথ-ওয়ার্নারদের দ্রুতই অস্ট্রেলিয়া দলে দেখার প্রস্তুতি সেরে নেওয়াই ভালো।