যদি আঘাত দিয়ে থাকি কারও মনে, কষ্ট নেবেন না

বাংলাদেশ দলে ফেরার লড়াইয়ে তাসকিন। ছবি: প্রথম আলো
বাংলাদেশ দলে ফেরার লড়াইয়ে তাসকিন। ছবি: প্রথম আলো
>অনেক দিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে তাসকিন আহমেদ। বারবার চোটে পড়ায় স্বচ্ছন্দে খেলতে পারছেন না ২৩ বছর বয়সী পেসার। আজ তাসকিন জানালেন, বাংলাদেশ দলে ফিরতে নিজেকে তৈরি করছেন।

চোট বড় ভোগাচ্ছে তাসকিন আহমেদকে। আজ বিকেলে বিসিবি একাডেমি মাঠে নিজেই হাতের আঙুল গুনে জানালেন, এ বছরই চোটে পড়েছেন পাঁচবার। একজন পেসার যদি এতবার চোটে পড়েন, স্বাভাবিক খেলাটা খেলবেন কীভাবে! কদিন আগে জাতীয় লিগ দিয়ে ফিরলেন, ৫ উইকেট নিলেন। আবার চোটে পড়লেন। কেন বারবার চোটে পড়ছেন তাসকিন? এটি শৃঙ্খলার অভাবে নাকি অসচেতনতা?

শৃঙ্খলা কিংবা অসচেতনতার বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছেন তাসকিন, ‘অসচেতনতা? একদম ভুল কথা। একজন ক্রিকেটার হিসেবে চাই যেখানে সুযোগ পাই সুস্থ থেকে খেলতে। দিন শেষে আমার নেশা-পেশা সবই খেলা। চোটে পড়ে ঘরে বসে থাকতে কখনোই ভালো লাগে না। নিজের সেরাটাই চেষ্টা করি ফিট থেকে যেকোনো দলের হয়ে খেলতে। বাংলাদেশের হয়ে খেলাটা সব সময়ই স্বপ্ন আর শান্তির বিষয়। নিজেকে দুর্ভাগাই মনে হচ্ছে। যেটা হয়ে গেছে তো হয়ে গেছে। চেষ্টা করছি নিজেকে শত ভাগ চোটমুক্ত রাখতে।’

বছরের শুরুর দিকে পিঠে, কোমরে চোট পেলেন। সেটি থেকে সেরে উঠতে প্রায় চার মাস লেগে গেছে তাসকিনের। দুবার হাত ফেটেছে। জাতীয় লিগের ম্যাচে পেলেন পাঁজরে চোট। বারবার চোটে পড়ায় পারছেন না স্বচ্ছন্দে এগোতে। শত ভাগ ফিট না থাকলে সেরাটা দেওয়া কঠিন হয়ে যায়। ইতিবাচক দিক হচ্ছে, জাতীয় দলের বাইরে থাকা তাসকিন এখন অনেকটাই সেরে উঠেছেন। জানালেন, এক সপ্তাহ পর শুরু করবেন বোলিং। আবারও বাংলাদেশ দলে ফিরতে কতটা উন্মুখ, ২৩ বছর বয়সী পেসারের কাতর কণ্ঠ শুনে বোঝা যায়, ‘আমি চাই দ্রুত ফিরতে, দেশের হয়ে খেলতে হবে। সামনে অনেক বড় বড় সিরিজ-টুর্নামেন্ট আসছে। সামনে বিশ্বকাপ আসছে। আমার স্বপ্ন গতবারের মতো এই বিশ্বকাপেও খেলা। এর আগে ফিট হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে হবে। শুধু ফিট হলে হবে না, ভালো খেলে দলে জায়গা করে নিতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ, বিপিএল, নিউজিল্যান্ড সফরে চেষ্টা করব দলে জায়গা পেতে। দলে জায়গা পাওয়ার ব্যাপারটা আমার হাতে নেই। আমি চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দিতে। যদি কোনো আঘাত দিয়ে থাকি কারও মনে, কষ্ট নেবেন না। দোয়া করবেন আমি যেন আগের মতো দেশের হয়ে খেলতে পারি।’