মোস্তাফিজ ফিরলে একাদশে 'তিন' পেসার?

মোস্তাফিজ খেলতে পারেন ঢাকা টেস্টে। ছবি: প্রথম আলো
মোস্তাফিজ খেলতে পারেন ঢাকা টেস্টে। ছবি: প্রথম আলো
সিলেট টেস্টে বাংলাদেশ খেলেছে মাত্র এক পেসার নিয়ে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার আরিফুল থাকলেও তাঁকে সেভাবে কাজে লাগানো হয়নি। ঢাকা টেস্টে কি পেস আক্রমণে বড় পরিবর্তন আসছে?


ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশ দলের একাদশটা কেমন হতে পারে, কাল বিসিবির একাডেমি মাঠে এক আড্ডায় সাংবাদিকদের দিকে প্রশ্নটা ছুড়ে দিলেন তামিম ইকবাল। চোটে পড়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজ যেহেতু খেলছেন না, তামিমের বাধা নেই একাদশ নিয়ে আলোচনা করতে। আর বাঁ হাতি ওপেনারের পছন্দের একাদশ নিয়েই যে বাংলাদেশ সিরিজ বাঁচানোর ঢাকা টেস্ট খেলতে নামবে, সেটিরও নিশ্চয়তা নেই।

তবে একটি বিষয় অনেকটাই পরিষ্কার, ঢাকা টেস্টে দিয়ে হয়তো আট মাস পরে ক্রিকেটের বড় সংস্করণে ফিরবেন মোস্তাফিজুর রহমান। গতকাল সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরে আজ দুপুরে বাংলাদেশ দল এসেছিল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে। এখনো ঢাকা টেস্টের একাদশ নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে সিলেট টেস্টের একাদশে যে একাধিক পরিবর্তন আসবে, সেটি বেশ বোঝা যাচ্ছে।

ঢাকার উইকেট কেমন হতে পারে, সেটিও এখনো বলার সময় হয়নি। তবে এই টেস্টে বাংলাদেশ তিন স্পিনার নিয়ে খেলতে চাচ্ছে না । একজন স্পিনার যদি বাদ পড়েন সিলেট টেস্টে ৪ উইকেট পাওয়া নাজমুল ইসলাম অপুর একাদশের বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নাজমুল বাদ পড়লে যোগ হতে পারেন একজন পেসার। আর সেই পেসারটি হতে পারেন মোস্তাফিজ। দলের সেরা উইকেটশিকারি বোলার, অথচ তিনিই কিনা খেললেন না সিলেট টেস্ট। বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট চায়, চোট প্রবণ মোস্তাফিজকে সতর্কভাবে ব্যবহার করতে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে ‘ফিজ’কে তাই একটি টেস্ট খেলানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

মোস্তাফিজ যদি ফেরেনই, তখন দলে দেখা যেতে পারে তিন পেসার। দুজন বিশেষজ্ঞ পেসার তো থাকবেনই, সঙ্গে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে থাকবেন আরিফুল হক। অভিষেক টেস্টে ৪১* ও ৩৮ রানের দুটি ইনিংস খেলে ব্যাটিংয়ে প্রত্যাশা পূরণ করলেও তাঁর বোলিং সেভাবে কাজে লাগাতে দেখা যায়নি। তাতে তাঁর খুব একটা দায়ও নেই। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪ ওভার বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন, পরে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ তাঁকে আর আক্রমণেই আনেননি।

আরিফুল অবশ্য অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যথার্থ বলছেন। তিনি বরং নিজের উন্নতির অনেক কিছু দেখছেন, ‘যে উইকেটটা ছিল (সিলেটে) সেখানে আমার বোলিং মানানসই ছিল না। উইকেট পেস বোলিং-সহায়ক থাকলে হয়তো বোলিং করতাম। মনে করি আমাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে আরও ভালো বোলিং করতে হবে। বিপিএল বা অন্য টুর্নামেন্টে যদি আমি ভালো বোলিং করি, তাহলে অবশ্যই জাতীয় দলে টানা বোলিংয়ের সুযোগ পাব।’