মুমিনুল-মুশফিকে মুগ্ধ জার্ভিস

বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। ছবি: প্রথম আলো
বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। ছবি: প্রথম আলো

সিলেট টেস্টের তিক্ত স্বাদটা শেরে বাংলা স্টেডিয়ামেও ফিরে এসেছিল আজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতার ফল ম্যাচ হেরে পেয়েছে বাংলাদেশ। আজও সেই পথেই হাঁটতে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। প্রথম ঘণ্টাতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। দিন শেষে বাংলাদেশ যে এগিয়ে থেকে মাঠ ছেড়েছে, এর পুরো কৃতিত্ব এ দুজনের। কাইল জার্ভিসও এ দুজনের প্রশংসায় মেতেছেন দিন শেষে।


প্রথম স্পেলে সুইং ও নিয়ন্ত্রিত লাইন লেন্থে বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন জার্ভিস। সকালের আর্দ্রতাকে কাজে লাগিয়ে এতটাই দুর্দান্ত বল করেছেন জার্ভিস ও চাতারা যে বাংলাদেশের কন্ডিশন বলেই মনে হচ্ছিল না। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে নেমো ঠান্ডা মাথায় বাংলাদেশকে বিপদমুক্ত করেছেন মুমিনুল ও মুশফিক। জার্ভিসের ধারণা, এ দুজন না থাকলে প্রথম সেশনে বাংলাদেশের ইনিংসের অর্ধেকই ড্রেসিংরুমে পাঠিয়ে দিতে পারত সফরকারীরা, ‘আজ সকালে একটু আর্দ্রতা ছিল। এ সকালটা ছিল সিম বোলিং সহায়ক। মুমিনুল ও মুশফিককে কৃতিত্ব দিতে হচ্ছে। তারা খুবই কঠিন সময়ে লড়ে গেছে। তারা খুবই ভালো ব্যাট করেছে, ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করেছে। ওদের কৃতিত্ব না দিয়ে পারা যাচ্ছে না। কারণ খুব সহজেই পাঁচ বা ছয় উইকেট পড়ে যেতে পারত।’

টেস্টে ২০১৮ সালে মাত্র দুটি সেঞ্চুরি ইনিংস ছিল বাংলাদেশের। দুটি ছিল মুমিনুলের। আজ তৃতীয়টিও করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। জানুয়ারিতে বছরের প্রথম সেঞ্চুরির পথে যাঁকে সঙ্গী পেয়েছিলেন, সেই মুশফিককে পেয়েই হয়তো ফর্মে ফিরলেন মুমিনুল। জানুয়ারির সে টেস্টে নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার মুশফিকও আজ সেঞ্চুরি পেয়েছেন। তাতেই চট্টগ্রামের পর (২৩৬ রান) শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেও বাংলাদেশের পক্ষে সেরা জুটি গড়েছেন দুজন (৩৬৬ রান)। দুজনের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করলেও নিজেদের অবদানও দেখছেন জার্ভিস, ‘সারা দিনই উইকেটে পেসারদের জন্য কিছু ছিল। ওরা সত্যি খুব ভালো ব্যাট করে। আর প্রায় তিন ঘণ্টাজুড়ে আমরা ভালো বল করিনি। যে উইকেটে এত রান দেওয়া উচিত নয়, তেমন উইকেটে সহজ কিছু রান করার সুযোগ করে দিয়েছি আমরা।’

দিনের শেষভাগে অবশ্য ফিরে এসেছে জিম্বাবুয়ে। ৭ রানের মধ্যে মুমিনুল ও তাইজুলকে ফিরিয়ে দিয়েছে সফরকারীরা। তবে এতেই সন্তুষ্ট হওয়ার কিছু দেখছেন না জার্ভিস, ‘শেষের ওই সময়টুকুই যথেষ্ট না। আমরা প্রথম ঘণ্টায় এগিয়ে ছিলাম, তারপর ওরা শেষ ঘণ্টার আগ পর্যন্ত বাকি দিনে এগিয়ে থেকেছে। ঘণ্টা দিয়ে ব্যাখ্যা করলে হয়তো বুঝতে সুবিধা হবে। ওরা দিনের বেশির ভাগ সময়টাই জিতেছে শুধু প্রথম ও সম্ভবত শেষ ঘণ্টা ছাড়া।’