ইংল্যান্ডের কাছেও হেরে গেল মেয়েরা

হারের বৃত্ত থেকে বেরই হতে পারছে না বাংলাদেশের মেয়েরা। ছবি: আইসিসির ওয়েবসাইট
হারের বৃত্ত থেকে বেরই হতে পারছে না বাংলাদেশের মেয়েরা। ছবি: আইসিসির ওয়েবসাইট
>

আগের ম্যাচে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্কোর করা বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট দল দ্বিতীয় ম্যাচে এসেও নিজেদের ভাগ্য বদল করতে পারল না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বৃষ্টিবিঘ্নিত নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।

দুঃসময় যেন পিছুই ছাড়ছে না নারী ক্রিকেট দলের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সালমাদের ম্রিয়মাণ পারফরম্যান্স দেখে এখন কে বলবে, কয়েক মাস আগে এই মেয়েরাই দোর্দণ্ড প্রতাপে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে জিতেছিল এশিয়া কাপ? ভালো কিছু করার আশা নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় ম্যাচেও মেয়েরা হেরে গেছে ইংল্যান্ডের কাছে—বড় ব্যবধানেই। ৭ উইকেটে হেরে গ্রুপ ‘এ’র তলানিতেই পড়ে রইল বাংলাদেশ।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। একাই লড়েছেন আয়েশা খাতুন। ৭৬ রানের ৩৯-ই তাঁর। ৫২ বল খেলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় গড়া এই ইনিংস বাংলাদেশের সম্মান বাঁচিয়েছে বলাই বাহুল্য। বাকিদের রানসংখ্যা পাশাপাশি রাখলে মোবাইল নম্বরের ডিজিট ভেবে ভুল হতে পারে। শেষ দিকে নেমে জাহানারা আলম একটু প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও সেটা দলের মোট সংগ্রহকে একটা ভদ্রস্থ চেহারা দিতে পারেনি।

ইংল্যান্ডের বাঁহাতি মিডিয়াম পেসার ক্রিস্টি গর্ডন ৪ ওভার বল করে ১৬ রানে তিন উইকেট নেন। ইংলিশ মেয়েরা ফিল্ডিংও করেছে দুর্দান্ত, যার ফল ফাহিমা আর নিগারের দুটি রানআউট। স্কিভার, শ্রাবসোল, স্মিথ ও এক্লিসটোন—সবাই একটি করে উইকেট নিয়ে বাকি কাজটুকু সেরেছেন।

প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বৃষ্টি নামে, ফলে ইংল্যান্ডের লক্ষ্যমাত্র আরও কমে গিয়ে দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ৬৪। ৩৯ বল হাতে রেখেই হেসেখেলে পেরিয়ে যায় তারা। ইংল্যান্ডের ইনিংসের শুরুতে ঝটপট দুটি উইকেট তুলে নিয়ে অধিনায়ক সালমা খাতুন একটু প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে চাইলেও স্কিভার আর জোনসের দৃঢ়তায় অঘটন ঘটেনি আর। সাত উইকেটে ম্যাচ জেতে ইংল্যান্ড।

এই বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশের মেয়েরা।