চারি এগিয়ে দিলেন বাংলাদেশকে

তাইজুলের বলে চারির বিদায় বাংলাদেশকে এগিয়ে দিয়েছে শেষ দিনে। ছবি: এএফপি
তাইজুলের বলে চারির বিদায় বাংলাদেশকে এগিয়ে দিয়েছে শেষ দিনে। ছবি: এএফপি

একটা প্যাডল সুইপেই সেশনটা বাংলাদেশের হয়ে গেল!

৪৪৩ রানের লক্ষ্য পেয়ে কুঁকড়ে যেতে পারত জিম্বাবুয়ে। কিন্তু ইনিংসে শুরুর জড়তা কাটিয়ে ইতিবাচক থেকে জিম্বাবুয়ে। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে তাইজুলকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে দিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশ পেরিয়েছে জিম্বাবুয়ে। দুই টেস্ট সিরিজে অষ্টম ইনিংসে এসে ওপেনারদের এমন দৃঢ়তা খুঁজে পাওয়া গেল। কিন্তু ব্রায়ান চারির এক প্যাডল সুইপে ওই সব দৃঢ়তার গল্প ধুয়ে মুছে গেছে। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের শেষ দিনে তাই এগিয়ে থেকে নামবে বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ৭৬ রান তুলেও তাই শঙ্কায় আছে জিম্বাবুয়ে।

চারির নামটা আগে তোলা হলেও উদ্বোধনী জুটি ভাঙার দায় হ্যামিলটন মাসাকাদজার। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে জিম্বাবুয়ের অধিনায়কের (২৫) ক্যাচ দিয়ে ফেরাতেই তো ভাঙল ৬৮ রানের ওপেনিং জুটি। ওতে ব্যাটসম্যানের দায় খোঁজা ঠিক হবে না। কিন্তু ২ রান পরেই চারির আউটের দায় পুরোপুরিই ব্যাটসম্যানের। শেষ সেশনে এত চমৎকার ব্যাট করা এক ব্যাটসম্যান কেন শেষ মুহূর্তে এসে একজন বাঁহাতি স্পিনারকে প্যাডল সুইপ করতে চাইবেন? সন্দেহ নেই, ড্রেসিংরুমে ফেরার পর কোচিং স্টাফরাও এ প্রশ্নবাণে জর্জরিত করবেন চারিকে।

জিম্বাবুয়ে তবু স্বস্তি পেতে পারে এই ভেবে, অন্তত ৭ উইকেট (চোট কেড়ে নিয়েছে চাতারাকে) নিয়ে পঞ্চম দিন শুরু করতে পারবে তারা। ব্রেন্ডন টেলর, উইলিয়ামসের মতো ব্যাটসম্যানরাও এখনো আছেন। কিন্তু নবম ওভারের শেষ বলে মিরাজ ক্যাচটা হাতে রাখতে পারলে, এসব কিছুই মিথ্যা হয়ে যেতে পারত।

নবম ওভারের শেষ বলে যা হয়েছে সেটা বাংলাদেশের অধিকাংশ পেস বোলারের ভাগ্যেই জুটে। প্রথম ইনিংসে সতীর্থের মাখন গলা হাতে দুবার উইকেট বঞ্চিত হয়েছেন খালেদ আহমেদ। দ্বিতীয় ইনিংসেও দুর্দান্ত বল করেছেন, মাসাকাদজাকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন। কিন্তু মিরাজ যে খালেদকে উইকেট পেতে দিলেন না ক্যাচ ফেলে! তখন জিম্বাবুয়ের স্কোর ১২, মাসাকাদজার রান ৫। মাসাকাদজা এর পর আরও ২০ রান করেছেন। জিম্বাবুয়েও উদ্বোধনী জুটিতে পেয়েছে বাড়তি ৫৬ রান। এর চেয়েও হয়তো বেশি গুরুত্বপূর্ণ, এ সময়ে কাটিয়ে দিয়েছে আরও ১৪টি ওভার। মিরপুর টেস্টে জিম্বাবুয়ের জন্য যে এখন রান নয়, ওভার আর সময় কাটিয়ে দেওয়াটাই মূল উদ্দেশ্য জিম্বাবুয়ের।

আগামীকাল আরও ৯০ ওভার খেলা বাকি আছে। বাংলাদেশের দরকার ৭ উইকেট। আর স্কোরকার্ড বলছে জিম্বাবুয়ের দরকার ৩৬৭ রান। কিন্তু সত্যিটা হলো, দলটির দরকার যে কোনোভাবেই হোক ৯০ ওভার কাটিয়ে দেওয়া। তাহলেই যে ১৭ বছর দেশের বাইরে সিরিজ জয়ের আনন্দে ভাসবে দলটি।