বাটলার-কুরানে রক্ষা পেল ইংল্যান্ড

কুরানের ইনিংসে ব্যাক ফুটে শ্রীলঙ্কা। ছবি: এএফপি
কুরানের ইনিংসে ব্যাক ফুটে শ্রীলঙ্কা। ছবি: এএফপি

শ্রীলঙ্কান স্পিনাররা অবশেষে নিজেদের খুঁজে পেলেন! সিরিজের প্রথম টেস্টে গলে তাঁদের ছাপিয়ে রাজত্ব করেছেন ইংলিশ বোলাররা। ফলে বিদায়ী টেস্টে হার উপহার পেয়েছেন রঙ্গনা হেরাথ। পাল্লেকেলেতে প্রথম ইনিংসে আর সেটা হতে দেননি দিলরুয়ান পেরেরা, মালিন্দা পুস্পকুমারা ও আকিলা ধনঞ্জয়া। তবে ইংলিশদের কপাল ভালো, বিপর্যয়েও মান রক্ষা করার মতো দুজন পেয়েছে দল। জস বাটলার ও স্যাম কুরানের দুটো পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসে ২৮৫ রান তুলতে পেরেছে ইংল্যান্ড। জবাবে ১ উইকেটে ২৬ রান তুলে দিন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা।

পাল্লেকেলের স্পিনিং উইকেটে ২৮৫ রানকেই যথেষ্ট মনে হচ্ছে। বিশেষ করে ৮৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর প্রায় তিন শ রানের এই ইনিংসকে বিশাল পাহাড় ঠেকার কথা সফরকারীদের। ওপেনার ররি বার্নস ছাড়া টপ অর্ডারের কেউই শ্রীলঙ্কার স্পিনের জবাব দিতে পারেননি। এর মধ্যেই বার্নস ৪৩ রান করে আউট হয়ে যান। ৮৯ রানে বার্নসের বিদায়ের পর প্রায় একাই দলকে টেনেছেন বাতলার। কিন্তু ৬৭ বলে ৭ চারে ৬৩ রান করে বাতলারও ফিরে গেছেন দলীয় ১৭১ রানে। বাকি তিন উইকেটে দুই শর নিচে গুটিয়ে পড়ার শঙ্কায় ছিল ইংল্যান্ড।

অষ্টম উইকেটে আদিল রশিদকে নিয়ে ৪৫ রানের জুটি গড়ে প্রথমে সে শঙ্কা দূর করেন কুরান। ৩১ রান করে রশিদ ফিরে গেলে পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন কুরান। ১ চার ও ৬ ছক্কায় ৬৪ রান করা কুরান শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন। জেমস অ্যান্ডারসনকে নিয়ে দশম উইকেটে ৬০ রান যোগ করেছেন। ইংল্যান্ড ইনিংসের সেরা জুটি ছিল এটি! এর মাঝে অ্যান্ডারসনের অবদান ছিল ৭। কুরান নিজেও মানছেন কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই ইনিংস, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিকেলে কেমন স্পিন হচ্ছিল দেখেছেন নিশ্চয়। ৩০০-র কাছাকাছি যাওয়া আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার।’৬১ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন পেরেরা। পুস্পকুমারার ৩ উইকেট এসেছে ৮৯ রানের বিনিময়ে। আকিলাও ৮০ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট।

ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কাও স্পিনের ধার টের পেয়েছে। মঈন আলীর বলে করুনারত্নে একটি ক্যাচ তুলেও বেঁচে গেছেন। তবে কৌশল সিলভা অত ভাগ্যবান নয়। ৬ রান করে বোল্ড হয়েছেন লিভের বলে।