আর নয় বয়স চুরি !

অনূর্ধ্ব–১৫ সাফ ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। সংগৃহীত ছবি
অনূর্ধ্ব–১৫ সাফ ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। সংগৃহীত ছবি
>শেষ অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ ফুটবলে বেশি বয়স্ক খেলোয়াড় মাঠে নামানোর অভিযোগ উঠেছে। তাই আগামী টুর্নামেন্ট থেকে খেলোয়াড়দের এমআরআই বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে সাফ।

বয়সভিত্তিক ফুটবলে ‘বয়স চুরি’ করা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পুরোনো একটি রোগ। যেকোনো বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টেই নির্ধারিত বয়সের চেয়ে বেশি বয়সের খেলোয়াড়দের খেলায় দলগুলো। সাম্প্রতিক সময়ে মালদ্বীপ, ভুটান ও ভারত এই রীতি থেকে বের হয়ে এলেও বাকি দেশগুলোর মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলে এই অনিয়মের। শেষ অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে এই অভিযোগটা উঠেছে আরও বড় করে। এর ফলে বয়স চুরি রোধে কঠিন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল সংস্থা সাফ। 

ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৬ প্রতিযোগিতা দিয়ে ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সাফ, যেটি এখন অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্ট। শুরু থেকেই এই টুর্নামেন্টের পিছু নিয়েছে বয়স চুরির বিতর্ক। ২০১৭ সালে শুরু হয় অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্ট। সেই সঙ্গে চালু হয় মেয়েদের বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতা। বিতর্কটা অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টকে ঘিরেই। খালি চোখে খেলোয়াড়দের বেশি বয়স আন্দাজ করা গেলেও পাসপোর্টের বয়সটা ঠিকই থাকে। পাসপোর্ট দিয়ে এই প্রতারণটা ধরার কোনো পদ্ধতি না থাকার কারণেই মূলত চুরিটা করা সহজ হয়। তাই আগামী বছর থেকে এই অন্যায় রোধে সঠিক বয়স নির্ধারণ করার জন্য প্রত্যেক খেলোয়াড়কে এমআরআই করানো হবে। বিশেষ করে অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যায়ে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল।

অনূর্ধ্ব–১৫ সাফ ফুটবলের রানার্সআপ পাকিস্তান দল। সংগৃহীত ছবি
অনূর্ধ্ব–১৫ সাফ ফুটবলের রানার্সআপ পাকিস্তান দল। সংগৃহীত ছবি

এমআর আই বা বোন টেস্ট প্রসঙ্গে হেলাল বলেন, ‘অনূর্ধ্ব–১৫ সাফে বয়স নিয়ে অনেক অভিযোগ উঠেছে। ম্যাচ কমিশনাররাও অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবলে বেশি বয়স্ক ফুটবলার খেলানোর অভিযোগ করেছেন। বয়স চুরি রোধে এএফসির সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা সম্মতি দিয়েছে। তাই আগামী বছর থেকে অনূর্ধ্ব-১৫ সাফের বাইলজে প্রত্যেক দলের খেলোয়াড়দের এমআরআই করানো বাধ্যবাধকতা থাকছে।’

সাধারণত বয়সভিত্তিক ফুটবল মানেই শক্ত জাতীয় দল গঠন করার জন্য পাইপলাইন। কিন্তু তাৎক্ষণিক ভালো ফলাফলের আশায় বেশি বয়স্ক খেলোয়াড় খেলিয়ে নিজের ক্ষতিই করছে দেশগুলো। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অধিক বয়সী খেলোয়াড় খেলিয়ে শর্টকাটে সাময়িক সাফল্য লাভ করা গেলেও, ভবিষ্যতের জন্য যে মারাত্মক হুমকি, তা সাধারণ ফুটবলপ্রেমীরাও এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।