'মানডে'তে জ্বলে উঠলেন সানডে

সানডের হ্যাটট্রিকে শেখ জামালের বিপক্ষে ৪-২ গোলে জয় পেয়েছে আবাহনী। সৌজন্য ছবি
সানডের হ্যাটট্রিকে শেখ জামালের বিপক্ষে ৪-২ গোলে জয় পেয়েছে আবাহনী। সৌজন্য ছবি

কী রোমাঞ্চ ছড়ানো আর পাগলাটে এক ম্যাচ!

৫৬ মিনিট পর্যন্ত গোলের দেখা মিলছিল না। কিন্তু সে ম্যাচটি শেষ হলো ৬ গোল নিয়ে। পাগলাটে ম্যাচ বললেও বুঝি ভুল হবে না! ৩০ মিনিটের এক ঘূর্ণিঝড় হলো, সে সময়টায় মনে হচ্ছিল যে যেভাবে পারছে, গোল করে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডে চিজোবার হ্যাটট্রিকে শেখ জামালের বিপক্ষে ৪-২ গোলে জয় নিয়ে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠেছে আবাহনী। আকাশি নীলদের সামনে এখন টুর্নামেন্টের হ্যাটট্রিক শিরোপা হাতছানি।

স্কোর লাইন দেখে মনে হতে পারে কী দুর্দান্তই না খেলেছে আবাহনী। আসলে তা নয়, দাপট বলতে যা বোঝায় তা ছিল শেখ জামালের। কিন্তু সন্ধ্যার শেষভাগে সানডে জ্বলে ওঠায় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি তাদের। আবাহনীর অন্য গোলটি করেছেন আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার মাশি সাইগানি।

প্রথমার্ধে গোলশূন্য সমতা। সেটা হতেই পারে, কিন্তু খেলা দেখেও বোঝার উপায় ছিল না ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ অপেক্ষা করছে রাশি রাশি গোল নিয়ে। প্রথমার্ধে নোটবুকে টোকার মতো একটি মাত্র মুভ ছিল জামালের। সলোমন কিংয়ের নেওয়া ফ্রি কিকে মাথা ছুঁয়েছিলেন শওকত রাসেল। কিন্তু দুর্দান্ত সেভ করে আবাহনীকে প্রাণ দিয়েছেন গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল।

দ্বিতীয়ার্ধের ১১ মিনিটে শুরু হলো গোল তাণ্ডব, চলেছে ৮৬ মিনিট পর্যন্ত। এই ৩০ মিনিটে হয়েছে ৬ গোল। গড়ে ৫ মিনিটে একটি। ৫৬ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নেন মাশি সাইগানি। রুবেল মিয়ার কর্নারে জটলা থেকে বাম পায়ের শটে ১-০ করেন এই ডিফেন্ডার। এ শটটিই ছিল গোলপোস্টে নেওয়া আবাহনীর প্রথম শট। মাশি গোলের তালা খুলে দিতেই ঘুম ভাঙে সানডের। ২০ মিনিটের ম্যাজিকে (৬৬ থেকে ৮৬) হ্যাটট্রিক করেছেন নাইজেরিয়ান এই স্ট্রাইকার। প্রথম গোলটি পেনাল্টি থেকে হলেও ৮২ ও ৮৬ মিনিটে করা গোল দুটিতে মুনশিয়ানা আছে। ৮২ মিনিটে ওয়ালির ফ্রি কিকে হেড করে দলকে নিরাপদে নিয়ে গেছেন। চার মিনিট পরেই দূর থেকে জোরালো শটে করেছেন হ্যাটট্রিক। টুর্নামেন্টে এর আগে তিন ম্যাচ খেলে সানডের গোল ছিল মাত্র একটি। আজ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও সানডেকে চিনতে হচ্ছিল চুলের ঝুঁটি দেখে।

সানডের হ্যাটট্রিকের মাঝে জোড়া গোল করে ম্যাচে বারবার উত্তেজনার রসদ টিকিয়ে রেখেছেন বদলি দিদারুল আলম। ৭৯ মিনিটে দুর্দান্ত ভলিতে করেছেন ২-১। ৮৪ মিনিটে জটলা থেকে শুয়ে পড়ে করেছেন ৩-২। এই হারে সেমিফাইনাল থেকেই ছিটকে পড়ল জামাল।