বিশ্বকাপের সেরা দলে বাংলাদেশের জাহানারা

বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স দিয়ে সেরা দলে সুযোগ পেয়েছেন জাহানারা। ফাইল ছবি
বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স দিয়ে সেরা দলে সুযোগ পেয়েছেন জাহানারা। ফাইল ছবি

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ ভুলে যেতে চাইবে। চারটি ম্যাচেই ভরাডুবি হয়েছে দলের। এশিয়া কাপ জয়ের পর যে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পেয়েছিল বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা, সেটা ধুয়েমুছে গেছে বিশ্বকাপে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ব্যাটিংই ভুলে গিয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় এই ব্যর্থতার মাঝেও ব্যতিক্রম জাহানারা আলম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের উদ্বোধনী বোলার।

এবারের বিশ্বকাপে চার ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই রান সংকটে ভুগেছে দল। ৪ ম্যাচে একবারও ৮০ রান করতে পারেনি দল। অর্থাৎ টি-টোয়েন্টিতে ওভার প্রতি ৪ রান তোলার সামর্থ্যও দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাটারদের এমন ব্যর্থতার উল্টো পিঠে অবশ্য উজ্জ্বল পারফরম্যান্স বোলারদের। আর স্পিন আক্রমণ নির্ভর দলের বোলার হয়েও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল মিডিয়াম পেসার জাহানারার। ৪ ম্যাচে ৬ উইকেট পেয়ে তাই বিশ্বকাপের সেরা দলের দ্বাদশ খেলোয়াড় হয়েছেন জাহানারা।

বিশ্বকাপের এই দলে সবচেয়ে বেশি সুযোগ পেয়েছেন ভারতীয় ও ইংলিশ খেলোয়াড়েরা। দুই দল থেকেই তিনজন করে সুযোগ পেয়েছেন সেরা একাদশে। চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া দল থেকে সুযোগ পেয়েছেন দুজন। পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল থেকে সুযোগ মিলেছে তিনজনের।

আইসিসির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল:

এলিসা হিলি (অস্ট্রেলিয়া)- ২২৫ রান
স্মৃতি মানধানা (ভারত)- ১৭৮ রান
অ্যামি জোনস (ইংল্যান্ড, উইকেটরক্ষক)- ১০৭ রান, ৫ ডিসমিসাল
হারমান প্রীত কৌর (ভারত, অধিনায়ক)-১৮৩ রান
ডিয়েন্ড্রা ডটিন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)-১২১ রান, ১০ উইকেট
জাভেরিয়া খান (পাকিস্তান)- ১৩৬ রান
এলিস পেরি (অস্ট্রেলিয়া)- ৬০ রান, ৯ উইকেট
লেই ক্যাসপেরেক (নিউজিল্যান্ড)-৮ উইকেট
এনিয়া শ্রাবসোল (ইংল্যান্ড)- ৭ উইকেট
কারস্টি গর্ডন (ইংল্যান্ড)- ৮ উইকেট
পুনম যাদব (ভারত)- ৮ উইকেট

দ্বাদশ খেলোয়াড়: জাহানারা আলম (বাংলাদেশ)- ৬ উইকেট