অনেক এগিয়েও পিছিয়ে মুমিনুল-তাইজুল

সবশেষ র‍্যাঙ্কিংয়ে মুমিনুল-তাইজুলের উল্লম্ফন। ছবি: প্রথম আলো
সবশেষ র‍্যাঙ্কিংয়ে মুমিনুল-তাইজুলের উল্লম্ফন। ছবি: প্রথম আলো
>দারুণ ছন্দে আছেন। একজন ধারাবাহিক রান পাচ্ছেন, আরেকজন নিয়মিত উইকেট পাচ্ছেন। মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে লম্বা লাফ দিয়ে এগিয়েছেন। তার পরও দুজনের কেউ সেরা বিশে নেই

দুজনই দুর্দান্ত ছন্দে আছেন। দুজনের বছরটা যাচ্ছে অসাধারণ। মুমিনুল হক-তাইজুল ইসলাম দুজনই সুখবর পেয়েছেন আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়েও। টেস্ট ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মুমিনুল এগিয়েছেন ১১ ধাপ। তাইজুল উঠে এসেছেন ক্যারিয়ারের সেরা অবস্থানে। তবু সেরা বিশের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারেননি দুজনের কেউ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ১৫০ পেরোনো ইনিংস খেলা মুমিনুল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে করেছেন সেঞ্চুরি। স্পিন-সহায়ক উইকেটে পুরো টেস্টে একজনই তিন অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন, তিনি মুমিনুল। টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১২০ রানের পুরস্কার হিসেবে শুধু ম্যাচসেরাই হননি, বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে ১১ ধাপ এগিয়ে পৌঁছেছেন ২৪তম স্থানে। সেখানে যৌথ অবস্থানে তাঁর সঙ্গে আছেন ভারতের লোকেশ রাহুল। মুমিনুলের রেটিং পয়েন্ট ৬০৮। ক্যারিয়ারের সেরা রেটিং পয়েন্ট ৬৬১ তিনি পেয়েছেন ২০১৫ সালের মে মাসে। মুমিনুলের উল্লম্ফন হলেও চট্টগ্রাম টেস্টে জ্বলে না ওঠায় টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ পিছিয়ে ২১ নম্বরে নেমেছন মুশফিকুর রহিম। চার ধাপ পিছিয়ে সাকিব আল হাসানের অবস্থান ২৮ নম্বরে।

দারুণ ছন্দে আছেন তাইজুল ইসলাম। জিম্বাবুয়ে সিরিজে ১৮ উইকেট পাওয়া বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি স্পিনার চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ৬৫২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনি উঠেছেন ক্যারিয়ারসেরা ২১তম স্থানে। চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে এক ধাপ এগিয়ে সাকিবের অবস্থান ২০ নম্বরে। একই টেস্টে ৩ উইকেট পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ দুই ধাপ পিছিয়ে নেমেছেন ত্রিশে।

সবশেষ টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে বড় খবরটা হচ্ছে, জেমস অ্যান্ডারসনকে টপকে শীর্ষে উঠেছেন কাগিসো রাবাদা। ব্যাটিংয়ে বিরাট কোহলিই আছেন একে। অলরাউন্ডারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে ‘নাম্বার ওয়ান’ জায়গাটা সাকিবেরই দখলে, দুইয়ে রবীন্দ্র জাদেজা।