চ্যাম্পিয়নস লিগে বেঁচে রইল পিএসজির স্বপ্ন

>
বাঁয়ে প্রথম গোল করা বার্নাত। মাঝে নেইমার, নানা রকমের গুঞ্জনের জবাব দিলেন গোল করেই। ডানে ফারাসি তারকা এমবাপ্পে হলেন তাঁদের উদ্‌যাপনের সঙ্গী। ছবি: এএফপি
বাঁয়ে প্রথম গোল করা বার্নাত। মাঝে নেইমার, নানা রকমের গুঞ্জনের জবাব দিলেন গোল করেই। ডানে ফারাসি তারকা এমবাপ্পে হলেন তাঁদের উদ্‌যাপনের সঙ্গী। ছবি: এএফপি

চ্যাম্পিয়নস লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে পিএসজি। পিএসজির হয় একটি করে গোল করেন হুয়ান বার্নাত ও নেইমার। লিভারপুলের একমাত্র গোলটি করেন জেমস মিলনার।

গতবার দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বাদ পড়েছিল পিএসজি। চলতি মৌসুমেতো গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়ের শঙ্কা! চ্যাম্পিয়নস লিগে বুধবার রাতে নিজেদের মাঠে লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচে হারলেই ঘটে যাবে বিপত্তি। এমন দিনেই তো নায়ক বনে যাওয়ার সুযোগ। সে সুযোগ মুঠোবন্দী করেছেন পিএসজির সবচেয়ে দামি তারকা নেইমার। তাঁর গোলেই ফরাসি ক্লাবটি লিভারপুলের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

ম্যাচ শেষে লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ দুষেছেন রেফারিকে। রেফারি নাকি বেশ কিছু বাজে সিদ্ধান্ত দিয়েছে মাঠে। সে যা-ই হোক। শুরু থেকেই বলের দখল নিয়ে খেলেছে লিভারপুল। বেশ কিছু ভালো সুযোগও তৈরি করেছিল ক্লপের শিষ্যরা। কিন্তু ম্যাচের ১৩তম মিনিটে হঠাৎই কী যেন হলো! ভার্গিল ফন ডিক বল ক্লিয়ার করতে গিয়েই ঝামেলাটা পাকান। ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে না পারায় বল চলে হুয়ান বার্নাতের কাছে। বার্নাতের নেওয়া শট দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছু করতে পারেননি লিভারপুলের গোলরক্ষক অ্যালিসন। এর আগেই অবশ্য গোলের দেখা পেয়ে যেত স্বাগতিকেরা। প্রথমবার ডি মারিয়ার শট আটকে দেন অ্যালিসন। জাতীয় দলের সতীর্থ নেইমারের শট রুখে ইংলিশ ক্লাবকে রক্ষা করেন লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান এই গোলরক্ষক।

টমাস টুখেল আজকের ম্যাচের গোলের দায়িত্ব দেন কাভানির কাঁধে। যদিও শেষ দিকে এসে ফর্মেশন পাল্টে ওপরে তুলে আনেন নেইমারকেও। ম্যাচের ৩৭ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার-এমবাপ্পে-কাভানিরা। এমবাপ্পের বাড়ানো বলে পা ছোঁয়ান কাভানি। সেটা কোনোমতে ঠেকান অ্যালিসন। বল পেয়ে যান পিএসজির ‘পোস্টার বয়’ খ্যাত নেইমার। সহজেই বলের গায়ে ঠিকানা লিখে দেন সাবেক এই বার্সা তারকা। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি নেইমারের ৩১তম গোল। এই গোল দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে রেকর্ডের খাতায় নাম লেখালেন নেইমার। চ্যাম্পিয়নস লিগে কোনো ব্রাজিলিয়ানের এটাই সর্বোচ্চ গোল। রেকর্ডটির আগের মালিক ছিলেন কাকা (৩০ গোল), রিভালদো (২৭ গোল)।
প্রথমার্ধেই গোল ব্যবধান কমায় অতিথিরা। লিভারপুলের মানেকে ফাউল করে বসেন ডি মারিয়া। স্পট কিক থেকে গোল করে ব্যবধান কমান জেমস মিলনার।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় সালাহর দল। গোল ব্যবধান বাড়াতে পারেনি নেইমাররাও।