বিশ্বকাপের চেয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ দামি!

ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে গ্রিজমানের হাসি। বিজয়ীর নাম ঘোষণার পর তাঁর এই হাসি অবশ্য থাকেনি। ছবি: এএফপি
ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে গ্রিজমানের হাসি। বিজয়ীর নাম ঘোষণার পর তাঁর এই হাসি অবশ্য থাকেনি। ছবি: এএফপি
>মেসি, রোনালদো, গ্রিজমান, এমবাপ্পে, ভারানে, হ্যাজার্ড, সালাহদের হারিয়ে ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কারের পর এবার ব্যালন ডি'অর ট্রফিও জিতলেন লুকা মদরিচ। দলগতভাবে চ্যাম্পিয়নস লিগ ছাড়া এবার কোনো কিছুই না জেতা লুকা মদরিচের এই ট্রফি জেতার ফলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বিশ্বকাপের থেকেও বড় চ্যাম্পিয়নস লিগ?

বছরটা ছিল বিশ্বকাপের। মেসির আর্জেন্টিনা, রোনালদোর পর্তুগাল, মদরিচের ক্রোয়েশিয়া, হ্যাজার্ডের বেলজিয়ামকে ছাড়িয়ে এবার বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছেন এমবাপ্পে, ভারান, গ্রিজমানদের ফ্রান্স। স্বাভাবিকভাবেই অনেকে ভেবেছিলেন, বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের কেউ এবার পেতে যাচ্ছেন ব্যালন ডি’অরের পুরস্কার। কিন্তু সেটি হয়নি। ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কারের মতো ব্যালন ডি’অরের পুরস্কারও উঠেছে ফ্রান্সের কাছে বিশ্বকাপ ফাইনাল হারা ক্রোয়েশিয়ার তারকা লুকা মদরিচের হাতে।

এ বছর মদরিচের দলগত বড় অর্জন বলতে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়। তাহলে কি ফুটবল বিশ্বে বিশ্বকাপের চেয়েও বড় উঠেছে চ্যাম্পিয়নস লিগ? এমন প্রশ্নই তুলেছেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে গত মৌসুমে ইউরোপা লিগ ও ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা আতোয়াঁন গ্রিজমান।

গত রাতে ব্যালন ডি’অরের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আগে গ্রিজমান বলেন, ‘কে কত ভোট পেয়েছে, সেটা আমরা সবাই দেখব। বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সের কেউ যদি এই শিরোপাটা না জেতে, তাহলে বিষয়টা খুব লজ্জার হবে। সেটি হলে প্রমাণিত হয়ে যাবে যে সম্ভবত বিশ্বকাপের চেয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ আপাতদৃষ্টিতে কৌতুক করে বললেও গ্রিজমানের কণ্ঠ থেকে হতাশাই ঝরেছে।

তবে এবারের মতো গত দুই বিশ্বকাপের বছরেও কোনো বিশ্বকাপজয়ী ব্যালন ডি’অর জিততে পারেননি। ২০১০ সালে ব্যালন ডি’অর পাননি বিশ্বকাপজয়ী স্পেনের কেউ। সেবার জাভি, ইনিয়েস্তা, ভিয়াদের ছাপিয়ে শিরোপাটা বগলদাবা করেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। একই কাণ্ড ঘটেছিল ২০১৪ সালেও। সেবার বিশ্বকাপজয়ী জার্মান দলের কেউ ব্যালন ডি’অর পাননি। ম্যানুয়েল নয়্যার, থমাস মুলার, টনি ক্রুসদের ছাপিয়ে ট্রফিটা জিতেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

যদিও তার আগের তিন বিশ্বকাপের বছরে কিন্তু বিশ্বকাপজয়ী কারও হাতেই শোভা পেয়েছিল এই ট্রফি। ২০০৬ সালে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন সে বছর বিশ্বকাপজয়ী ইতালির অধিনায়ক ফাবিও ক্যানাভারো, ২০০২ সালের বিশ্বকাপজয়ী রোনালদোর হাতেই উঠেছিল সে বছরের ব্যালন ডি’অর, একই ভাবে ১৯৯৮ সালের ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন ’৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান।