মাশরাফি কেন কোটা-নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে নীরব ছিলেন

আজ সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি। ছবি: প্রথম আলো
আজ সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি। ছবি: প্রথম আলো
>মাশরাফিকে সংবাদ সম্মেলনে অনেক অপ্রিয় প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো আজ। এমনও প্রশ্ন হলো, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও ছাত্রদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে তিনি কেন চুপ ছিলেন?

আজ অনেক অপ্রিয় প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। মাশরাফি বিন মুর্তজাকে এ-ও প্রশ্ন শুনতে হয়েছে, এই বছরের দুটি আলোচিত আন্দোলনে তাঁকে কেন নীরব থাকতে দেখা গেছে?

এ বছর প্রথম আলোচিত আন্দোলনটা ছিল সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে। পরেরটি ছিল নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। গত আগস্টে এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ফেসবুকে পোস্ট পর্যন্ত দেন। অবশ্য তাঁর এই পোস্ট নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয় ওই সময়।

বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি অবশ্য দুটি আন্দোলনেই নীরব ছিলেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট কিংবা কোথাও কোনো মন্তব্য করেননি। যেহেতু রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ দুটি আন্দোলনে তাঁর নীরব থাকার কারণ জানতে চাওয়া হলো আজ। মাশরাফি বললেন, 'এত গভীর রাজনীতি আমি কখনো করিনি, জানি না, বুঝিও না। আমার উদ্দেশ্য খুব সাধারণ, আমি মানুষের জন্য কিছু করে শান্তি পাই। আপনি যদি আমাকে একেবারেই গভীর রাজনীতিবিদ ভাবেন, সে পর্যায়ে এখনো যাইনি। আমাকে ও পর্যায়ের ভাবলে আমার সঙ্গে অবিচার হবে। আমার অভিজ্ঞতা একেবারে নতুন। হ্যাঁ, যেটা বলেছি অবশ্যই ভালো কাজ করতে চাই। সেটা সামনে হয়তো দেখা যাবে কতটা করতে পারি।'

বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভালো কাজ করা কতটা কঠিন মাশরাফির অজানা নয়। মাশরাফির কাছে জানতে চাওয়া হলো, তরুণদের সামনে তিনি রাজনীতির কোন দর্শনের কথা বলবেন? মাশরাফি এখানেও সরল এক রাজনীতিবিদ হিসেবে আবির্ভূত হতে চাইলেন, ‘দেখেন, আমি স্বপ্ন দেখাতে আসিনি। গতানুগতিক কথা আমি বলতেও চাই না। এমন কোনো কথা আমি বলতে চাই না, যেটা হয়তো বা কাল আপনি মেলাতে পারবেন না। আমার কাছে মনে হয় যে সেই সুযোগটা আমার আছে...এখনই চিন্তা করার সুযোগ নেই যে নির্বাচিত হয়ে গেছি। নির্বাচিত হওয়ার পরে সেই সুযোগটা যদি আসে, আপনাদের যদি মনে হয় আমি কী করতে চেয়েছি আর কী করলাম, তখন কাজগুলো পর্যালোচনা করবেন, তখন প্রশ্ন করবেন। এখন আসলে বলা কঠিন।’

তাঁর পরিবার যে রাজনীতিতে নামাটা সহজভাবে নেয়নি, সেটিও জানালেন, 'খুব স্বাভাবিক, পারিবারের সবাই যখন জেনেছে, এটা তাদের কাছে নতুন একটা বিষয়। আমার কাছেও। এই অভিজ্ঞতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাই তাদের একটু সময় অবশ্যই লাগবে। যেটা আমারও লাগবে। আমাদের বাসায় সেভাবে কেউ রাজনীতি করেনি। পুরো পরিবারের জন্যই এটা নতুন কিছু। কিছুটা সময় তো তাদেরও লাগবে মানিয়ে নিতে। এখন মানা-মানির তো কিছু নেই! সবাইকে যেটা বললাম, মানিয়ে নিতে হবে।'