অভিযুক্ত ধর্ষক ধরা পড়েনি, ক্রীড়া পরিবারের প্রতিবাদ

আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছেন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকেরা।ছবি: প্রথম আলো
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছেন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকেরা।ছবি: প্রথম আলো

প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এসে ক্রীড়া পরিষদ ভবনেই ধর্ষণের শিকার হয়েছে নারী ক্রীড়াবিদ। ২৩ অক্টোবর থেকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই জাতীয় নারী ভারোত্তোলক। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সোহাগ আলীর বিরুদ্ধে, মামলাও করা হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ ঘটনায় যথাযথ শাস্তির দাবি নিয়ে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছেন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকেরা।

ভারোত্তোলকের পরিবারের ভাষ্যমতে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণ করেন ভারোত্তোলন ফেডারেশনের অফিস সহকারী সোহাগ আলী। এর পর থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে কিশোরী ভারোত্তোলক। সোহাগ আলীকে আসামি করে পল্টন থানায় মামলা হলেও এখনো ধরা পড়েনি অভিযুক্ত ব্যক্তি। তাই শাস্তির দাবি জানিয়ে আজ দুপুরে রাস্তায় নেমেছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক দুই অধিনায়ক রকিবুল হাসান ও গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, ক্রিকেট কোচ ও লেখক জালাল আহমেদ চৌধুরী, সাবেক দুই ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু, আবদুল গাফফার, বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান বাবুল, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সাবেক সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, নারী কুস্তিগির শিরিন সুলতানা, সাবেক নারী ফুটবলার রেহানা পারভীন, সাবেক ব্যাডমিন্টন তারকা কামরুন নাহার ডানাসহ অনেকেই।

সোহাগ আলীর শাস্তির দাবি জানিয়ে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক, বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুন নাহার ডানা বলেন, ‘ঘটনাটা ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে বলেই আমরা রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি। আমরা ফেডারেশনের তৎপরতা এবং মামলার অগ্রগতি দেখতে চাই। আমার প্রশ্ন, এখনো কেন আসামি ধরা পড়ল না?’

জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামে ৩০ লাখ শহীদের পাশাপাশি মা-বোনদেরও অনেক অবদান। অথচ ক্রীড়াঙ্গনে মেয়েরা নিরাপদ নয়। এটা খুবই লজ্জার এবং কষ্টের। নারী ভারোত্তোলকের সম্ভ্রমহানির কথা শুনে মনে হয়েছে আমরা অসভ্য যুগে ফিরে গেছি। ওই অফিস সহকারীর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ জালাল আহমেদ চৌধুরী, ‘ক্রীড়াঙ্গন পবিত্র স্থান বলেই জানি। কিন্তু নারীদের নিরাপত্তা না থাকলে আমার নাতনিকে তো এখানে পাঠাব না। মামলা হওয়ার পরও আসামিকে এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ। আশা করি, সে শিগগিরই ধরা পড়বে এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার শাস্তি হবে।’