সাফ চ্যাম্পিয়নদের বাস্তবতা বোঝাল সাইপ্রাস

অনূর্ধ্ব ১৫ সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলাদেশ কিশোর দল। ফাইল ছবি
অনূর্ধ্ব ১৫ সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলাদেশ কিশোর দল। ফাইল ছবি
অনূর্ধ্ব–১৫ সাফ ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে কিশোর চ্যাম্পিয়নদের অবস্থান কী, তা বুঝিয়ে দিল সাইপ্রাস।


মালদ্বীপের জালে ৯ গোল। ১ গোলে পিছিয়ে পড়েও একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে নেপালকে ২-১ গোলে হারানো। সেমিফাইনালে ভারতকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছা। সেখানেও পাকিস্তানকে টাইব্রেকারে হারিয়ে অনূর্ধ্ব–১৫ সাফ ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। এই তো গত মাসের কথা। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে গেলে কিশোর চ্যাম্পিয়নদের অবস্থান কী, তা বুঝিয়ে দিল সাইপ্রাস। উয়েফার আয়োজনে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চার জাতি অনূর্ধ্ব–১৫ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইউরোপের দেশটি।

বিশ্ব ফুটবল র‌্যাঙ্কিংয়ে সাইপ্রাসের অবস্থান ৯৫ আর বাংলাদেশ ১৯২। ফুটবলের মানদণ্ডে দুই দেশের পার্থক্য র‌্যাঙ্কিংয়েই স্পষ্ট। কিন্তু বয়সভিত্তিক ফুটবলে র‌্যাঙ্কিংয়ের পার্থক্যটা সাধারণত কম-ই ধরা পড়ে। তবুও ৪ গোল হজম করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। প্রথমার্ধে এক গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধেও জাল থেকে তিনবার বল কুড়াতে হয়েছে গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে। আরও স্পষ্ট করে বললে শেষ ২৪ মিনিটে তিন গোল হজম করেছে বাংলাদেশ।

পাঁচ ডিফেন্ডার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ মোস্তফা আনোয়ার পারভেজ। প্রথমার্ধে প্রায় সমান তালেই লড়াই করেছিল লাল-সবুজরা। কিন্তু শেষটা হলো শুরুর উল্টো। ১৭ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে করা ইলিয়াস কসটিসের গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। গোল হজম করে বলের দখলে পাল্লা দিয়েছে মেহেদী হাসান, নিশাত জামান উচ্ছ্বাসরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের নাটাই একেবারেই হাতের মুঠোয় নিয়ে নেয় ইউরোপিয়ান দেশটি।

৬৭ মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে ২-০ করেন মারিওস। সাইপ্রাস যে ইউরোপিয়ান ফুটবলের ঐতিহ্য বহন করে, তা বোঝা গিয়েছে শেষ দুই দুর্দান্ত গোলে। ৭০ মিনিটে এনজোলেস জেলফির গোলটি অনূর্ধ্ব ১৫ পর্যায়ে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। মাঝমাঠ থেকে আসা এরিয়াল থ্রু অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বলের নিয়ন্ত্রণে গিয়ে বক্সের ওপর থেকে ভলিতে জালে, ৩-০। ৯১ মিনিটে আন্দ্রেসের করা গোলটিতে ছিল দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ের ছাপ। সতীর্থের রক্ষণচেরা পাস থেকে গোলমুখ থেকে জালে জড়িয়েছেন আন্দ্রেস।

স্কোর বোর্ডে ৪-০। ম্যাচে বাংলাদেশ কোথায় পিছিয়ে ছিল, তা জানতে কাটাছেঁড়া বিশ্লেষণের প্রয়োজন পড়ছে না। গতি, শক্তি, বল ওয়ার্ক সবকিছুতেই খাবি খেয়েছে বাংলাদেশ। ১২ ও ১৪ ডিসেম্বর যথাক্রমে মালদ্বীপ ও থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ খেলবে দল। তিন ম্যাচ শেষে পয়েন্টের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ।