যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়েছেন বাংলাদেশের এক খেলোয়াড়

রেজওয়ানুল হক। সংগৃহীত ছবি
রেজওয়ানুল হক। সংগৃহীত ছবি
যুক্তরাষ্ট্রে স্পেশাল অলিম্পিক খেলতে গিয়ে বাংলাদেশের এক ফুটবলারের বিরুদ্ধে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।


কী এক রহস্যঘেরা ফুটবলার রেজওয়ানুল হকের যুক্তরাষ্ট্র মিশন। চলতি বছর জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল অলিম্পিকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ ইউনিফাইড ফুটবল দলের ফুটবলার রেজওয়ানুল হারিয়ে গেছেন না পালিয়েছেন—এ নিয়ে ছিল ধূম্রজাল। দলের কয়েকজন সদস্য স্বীকার করেছিলেন রেজওয়ানুল পালিয়েছেন পরিকল্পনা করেই। কিন্তু এক সপ্তাহ না যেতেই খবর মিলল, হদিস মিলেছে রেজওয়ানুলের এবং দেশে দ্রুত ফিরবেন। কিন্তু সত্যটা হলো পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও রেজওয়ানুল বাংলাদেশে ফেরেননি। বিষয়টি স্বীকার করেছেন স্পেশাল অলিম্পিকের পরিচালক ফারুকুল ইসলাম।

স্পেশাল অলিম্পিকে ১৬ সদস্যের দলে আটজন শারীরিক প্রতিবন্ধীর সঙ্গে আরও আটজন শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সক্ষম ফুটবলার থাকতে পারেন। একাদশে খেলতে পারেন ছয়জন প্রতিবন্ধীর সঙ্গে পাঁচজন সক্ষম খেলোয়াড়। দলের কয়েকজন খেলোয়াড় জানিয়েছেন, ২২ বছর বয়সী রেজওয়ানুল বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হিসেবে দলে সুযোগ পেলেও তাঁর আচরণ মোটেও তেমন ছিল না। সজ্ঞানে পাসপোর্ট নিয়েই হোটেল ছাড়েন ফরিদপুরের ছেলে রেজওয়ানুল।

এই খেলোয়াড় নিখোঁজ হয়েছিলেন ১৯ জুলাই। সেদিন আয়োজকদের পক্ষ থেকে পুরো দলের নৌবিহারে যাওয়ার কথা ছিল। দলের দুই কোচ, হেড অব ডেলিগেশন ও ফিজিওর সঙ্গে আটজন খেলোয়াড় নৌবিহারে গেলেও বাকিদের সঙ্গে হোটেলে থেকে যান রেজওয়ানুল। কোচ ও অফিশিয়ালরা না থাকার সুযোগটাই নাকি নিয়েছেন দলের এই সদস্য । তাঁর নিখোঁজের ব্যাপারটি সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়েছিল শিকাগো পুলিশকে। শিকাগো পুলিশ ঘটনাটি নিজেদের টুইটার পেজেও ‘হারানো বিজ্ঞপ্তি’ আকারে প্রচার করে। তাৎক্ষণিকভাবে রেজওয়ানুলকে পাওয়া না যাওয়ায় তাঁকে ছাড়াই দেশে ফিরে বাংলাদেশ ইউনিফাইড দল।

এর পর ২৬ জুলাই জানা যায় রেজওয়ানুলের সন্ধান মিলেছে। তাঁর সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এসেছিল। সে সময় স্পেশাল অলিম্পিকের পরিচালক ফারুকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘খবর এসেছে রেজওয়ানুলকে পাওয়া গেছে। সে বর্তমানে শিকাগো পুলিশের কাছে আছে। তাঁকে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে হস্তান্তর করা হবে শিগগিরই। এর পরেই দেশে ফিরে আসবে রেজওয়ানুল।’

কিন্তু রেজওয়ানুল বাংলাদেশে ফেরেননি। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন ফারুকুল, ‘ছেলেটা আর দেশে ফেরেনি। শুনেছি ওর কোনো আত্মীয়ের মাধ্যমে সেখানেই আছে। আমেরিকান পুলিশ ওর খোঁজ পেয়েছিল। কিন্তু তখন ভিসার মেয়াদ থাকায় তাঁকে বাংলাদেশে ফিরতে বাধ্য করতে পারেনি পুলিশ।’