দল না-পাওয়া আশরাফুলই এখন মাতাচ্ছেন
>মোহাম্মদ আশরাফুল গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছেন এক দিনের ম্যাচে। কিন্তু বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে ভুগেছেন রানখরায়। প্রায় ১৪ মাস পর আজ চট্টগ্রামে বিসিএলের চতুর্থ রাউন্ডে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন আশরাফুল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) শুরুতে সুযোগই পাননি মোহাম্মদ আশরাফুল। জাতীয় লিগে ভালো করা ক্রিকেটাররা সাধারণত প্রাধান্য পান বিসিএলে। সবশেষ জাতীয় লিগে ৬ ম্যাচে ২৫৩ রান করা আশরাফুলকে নিয়ে তাই কোনো আগ্রহ দেখায়নি বিসিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি।
বিসিএল শুরুর পর এসিসি ইমার্জিং কাপে খেলতে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন পূর্বাঞ্চলের আফিফ হোসেন, জাকির হাসান, ইয়াসির আলী, খালেদ আহমেদের মতো কয়েক জন ক্রিকেটার। আফিফ-জাকিরদের শূন্যতা পূরণে পূর্বাঞ্চল নতুন করে যে কজন ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে, আশরাফুল তাঁদের একজন। কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন এই ব্যাটসম্যান।
আশরাফুল বিসিএল শুরু করেছেন তৃতীয় রাউন্ড থেকে। আগের ম্যাচে ৪ উইকেট ও ৬৪ রানের পর আজ চতুর্থ রাউন্ডের প্রথম দিনে সেঞ্চুরি করেছেন। দিন শেষে অপরাজিত ১০৭ রানে। আশরাফুলের দিনে দুর্দান্ত খেলেছেন রনি তালুকদারও, অপরাজিত আছেন ১৮৩ রানে। রাজশাহীতে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে প্রথম দিনে পূর্বাঞ্চলের স্কোর ৩ উইকেটে ৩৫৪ রান।
পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে শেষ দুই মৌসুম খেলেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। গতবার সেঞ্চুরি করেছিলেন পাঁচটি। কিন্তু বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে খুব একটা নজর কাড়তে পারেননি। প্রায় ১৪ মাস পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিন অঙ্কের দেখা পাওয়াটা বড় স্বস্তি মনে করছেন আশরাফুল, ‘এখন ভালো লাগছে। বিসিএলের শুরুতে দল পাইনি। পরে দলের কয়েকজন ইমার্জিং কাপ খেলতে যাওয়ায় পূর্বাঞ্চলে সুযোগ পেয়েছি। এখন চেষ্টা করছি সুযোগটা কাজে লাগাতে।’
চট্টগ্রামে বিসিএলের আরেক ম্যাচে সাদমানের ফিফটিতে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে মধ্যাঞ্চলের রান ৮ উইকেটে ২৩৪। সাদমান ইসলাম করেছেন ৬০। পেসার আল আমিন নিয়েছেন ৩ উইকেট।