সেমিতে উঠতে গোলের দরকার পড়ল শেখ রাসেলের

ম্যাচের একটি উত্তেজনাকর মুহূর্ত। ছবি: প্রথম আলো
ম্যাচের একটি উত্তেজনাকর মুহূর্ত। ছবি: প্রথম আলো
>স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে আজ চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠল শেখ রাসেল

স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের গ্রুপপর্বে শেখ রাসেলের নামের পাশে কোনো গোল ছিল না। সেই দলই আজ কোয়ার্টার ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-০ গোলে হারিয়ে পৌঁছে গেল সেমিফাইনালে। একটি করে গোল করেছেন উজবেকিস্তানের স্ট্রাইকার আজিজভ আলীশের ও নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার রাফায়েল অনব্রো। ১৯ ডিসেম্বর সেমির লড়াইয়ে শেখ রাসেলের সামনে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ ব্রাদার্স।

প্রথমার্ধে ৪ মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল পাওয়া মানে ম্যাচ জয়ের অর্ধেক কাজ শেষ। দ্বিতীয়ার্ধে তাই কিছুটা চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পেরেছে শেখ রাসেল। চট্টগ্রাম আবাহনী খালি হাতে ফিরল আরেকটি টুর্নামেন্ট থেকে। ফেডারেশন কাপের শেষ আটেও দলটি শেখ রাসেলের কাছে হেরেছিল। তখন ম্যাচটি আলোচিত ছিল দুই কোচের কারণে। গত বছর চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রধান কোচ সাইফুল বারীর সহকারী ছিলেন জুলফিকার মাহমুদ। গুরু-শিষ্যের সেই লড়াইয়ে হারের পর কাল আবার হারলেন এবার চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ জুলফিকার।

শেখ রাসেল গ্রুপপর্ব পেরিয়েছে কোনো গোল না করেই। বসুন্ধরা কিংস ও শেখ জামালের মতো দুটি আক্রমণাত্মক দলের সঙ্গে ড্র। জিততে না পারলেও দুটি বড় ম্যাচে গোল না খাওয়া কাল আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে শেখ রাসেলকে। অন্যদিকে গ্রুপপর্বে চট্টগ্রাম আবাহনী গোল পেয়েছে, দলটি খেলেছেও গোছানো ও আক্রমণাত্মক ফুটবল। কিন্তু আজ তাঁরা মার খেয়ে গেছে শেখ রাসেলের কৌশলের কাছে। প্রতিপক্ষকে গুছিয়ে উঠতে না দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব গোল আদায় করা—এই কৌশলে সফল শেখ রাসেল।

প্রথম গোল ৩৫ মিনিটে। বিশ্বনাথের ক্রস থেকে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার রাফায়েল হেডে বলটা নামিয়ে দেন উজবেক ফরোয়ার্ড আজিজভ আলীশেরকে। উজবেকিস্তানের স্ট্রাইকার ভলি করে বল পাঠিয়েছেন জালে। ৪ মিনিট পর ব্যবধান ২-০ করেন রাফায়েল নিজেই। বিপলুর লম্বা বল চট্টগ্রাম আবাহনীর এক ডিফেন্ডারের গায়ে লাগলে ফিরতি বলে গোল করেন রাফায়েল।