দুই গোল করেও হার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের

>
পুরো ম্যাচে ইউনাইটেডের দল জুড়ে ছিল হতাশা। ছবি: এএফপি
পুরো ম্যাচে ইউনাইটেডের দল জুড়ে ছিল হতাশা। ছবি: এএফপি

ম্যাচে দুই গোল করেও জয়ের মুখ দেখেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ফিল জোনসের আত্মঘাতী গোলে ভ্যালেন্সিয়ার কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছে হোসে মরিনহোর শিষ্যরা।

হোসে মরিনহো সংবাদ সম্মেলনে এসেই বললেন, ‘আমরা দুই গোল করেছি, তবে জেতার বদলে হেরেছি ২-১ গোলে।’ মজা করে বললেও কাল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচটিকে বর্ণনা করা যায় কোচ মরিনহোর এক কথা দিয়েই। প্রতিপক্ষের মাঠে শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে খেললেও ম্যাচে জয় নিশ্চিত করতে পারেনি ইউনাইটেড। হারলেও চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়েছে মরিনহোর দলের।


মৌসুমের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন সার্জিও রোমেরো। গ্রুপের শেষ ম্যাচে দলকে নিয়ে একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে চেয়েছিলেন কোচ হোসে মরিনহো। যে কারণে রক্ষণে এরিক বাইয়ির সঙ্গী হয়েছিলেন ফিল জোনস। আক্রমণভাগে লুকাকু আর মাতার সঙ্গী ছিলেন আন্দ্রেস পেরেইরা। কিন্তু পরীক্ষা–নিরীক্ষায় কোনো লাভ হয়নি, বরং স্পেন থেকে হেরেই ফিরতে হয়েছে মরিনহোকে। ম্যাচের ১৭ মিনিটেই কার্লোস সোলারের গোলে এগিয়ে যায় ভ্যালেন্সিয়া। ডি-বক্সের বাঁ পাশ থেকে নেওয়া শট দুই রক্ষণভাগের খেলোয়াড় বাইয়ি ও জোনসের পায়ের নিচ দিয়ে জড়িয়ে যায় জালে। প্রথমার্ধে আরও ভালো কিছু আক্রমণ করলেও রোমেরোর কল্যাণে আর গোল ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ভ্যালেন্সিয়া। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও গোল শোধ করতে পারেনি নিজেদের আক্রমণভাগের ব্যর্থতায়।

রাশফোর্ডের গোলও বাঁচাতে পারেনি ইউনাইটেডকে। ছবি: এএফপি
রাশফোর্ডের গোলও বাঁচাতে পারেনি ইউনাইটেডকে। ছবি: এএফপি

দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটেই অঘটন ঘটান ফিল জোনস। ড্যানি পাজেরো লং পাস বাড়িয়েছিলেন বাৎসুয়াইয়ের উদ্দেশ্যে। তাঁকে মার্কিংয়ের দায়িত্ব ছিল জোনসের। বল ধরার জন্য পোস্ট থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন রোমেরো। কিন্তু মার্কিং করতে গিয়ে ক্লিয়ার করার বদলে বল জালে জড়িয়ে দেন ফিল জোনস। ডি-বক্সের বাইরে থেকেই আত্মঘাতী গোল করে বসেন জোনস। ২০০৩ সালের পর প্রতিপক্ষের মাঠে এটিই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রথম আত্মঘাতী গোল। ২০০৩ সালে দেপোর্তিভো লা করুনিয়ার বিপক্ষে ইউনাইটেডের শেষ আত্মঘাতী গোলটি করেছিলেন মার্ক লিঞ্চ। মার্কোস রাশফোর্ড মাঠে নামার পর দলের আক্রমণে ধার আসে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না ইউনাইটেড। অবশেষে ৮৭ মিনিটে রাশফোর্ডের মাথা থেকে আসে গোল। অ্যাশলি ইয়াংয়ের বাড়ানো ক্রসে মাথা লাগিয়ে দলের হারের ব্যবধান কমান রাশফোর্ড। শেষ মিনিটে সমতা আনার সুযোগ ছিল ইউনাইটেডের সামনে, কিন্তু পগবার বাড়ানো বল পায়ে জড়াতে পারেননি মাতা। ফলে ২-১ গোলে হেরেই ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে মাঠ ছাড়তে হয় ইউনাইটেডকে।


ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয়ের পরও চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় পর্বে উঠতে পারেনি ভ্যালেন্সিয়া। গ্রুপ ‘এইচ’ থেকে দ্বিতীয় পর্বে জুভেন্টাসের সঙ্গী হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই ম্যাচ জিততে পারলে গ্রুপজয়ী হিসেবে পরের পর্বে যেতে পারতেন মরিনহোর শিষ্যরা। কিন্তু এই হারের কারণে দ্বিতীয় পর্বে কঠিন ড্রয়ের মুখোমুখি হতে হবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে।