এখনো দুরন্ত ক্যাসিয়াস

বয়স হার মানছে ক্যাসিয়াসের কাছে। ছবি: এএফপি
বয়স হার মানছে ক্যাসিয়াসের কাছে। ছবি: এএফপি
>বয়স হয়ে গেছে ৩৭। এখনো পুরোদমে পোর্তোর মূল গোলরক্ষক হিসেবে ম্যাচ খেলে যাচ্ছেন স্প্যানিশ কিংবদন্তি ইকার ক্যাসিয়াস। সেদিন চ্যাম্পিয়নস লিগে লোকোমোটিভ মস্কোর বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে নেমে দলকে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে সাহায্য তো করেছেনই, উল্টো আটকে দিয়েছেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ম্যানুয়েল ফার্নান্দেসের একটা পেনাল্টিও!

নীরবে কয়েক বছর আগে যখন রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়েছিলেন, সবাই ভেবেই নিয়েছিল সময় শেষ ইকার ক্যাসিয়াসের। কিন্তু পোর্তোর হয়ে যেভাবে গত কয়েক বছর খেলছেন, কে বলবে এই খেলোয়াড়ের বয়স ৩৭? সেদিন লোকোমোটিভ মস্কোর পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ম্যানুয়েল ফার্নান্দেসের এক পেনাল্টি ঠেকিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে এই নিয়ে ক্যারিয়ারে মোট আধা ডজন পেনাল্টি আটকালেন তিনি। ছাড়িয়ে গেলেন সাবেক চেলসি ও বর্তমান আর্সেনাল গোলরক্ষক পিওতর চেককে। চ্যাম্পিয়নস লিগে চেক পেনাল্টি আটকেছেন ৫টি।

ক্যাসিয়াসের রেকর্ড শুধু এটাই নয়। এই ৩৭ বছর বয়সে এসে চ্যাম্পিয়নস লিগে দেখা পেয়েছেন শততম জয়ের। যে রেকর্ডটা তাঁর আগে স্পর্শ করেছেন শুধুমাত্র ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ক্যাসিয়াসেরই সাবেক সতীর্থ। ক্যাসিয়াসের মতো ছন্দে আছে পোর্তোও। শালকে ০৪, লোকোমোটিভ মস্কো ও গ্যালাতাসারাইয়ের মতো ক্লাবগুলোকে পেছনে ফেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের রাউন্ডে উঠেছে তারা। ফলে পরের রাউন্ডে গেছেন ক্যাসিয়াসও। ক্যারিয়ারে এই নিয়ে ১৯ বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট রাউন্ডে উঠেছেন ক্যাসিয়াস। এ রেকর্ড আর কারও নেই!

পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হওয়ার পর শুধুমাত্র একবার চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট রাউন্ডে উঠতে পারেননি ক্যাসিয়াস, ২০১৫/১৬ মৌসুমে। সেবার হোসে মরিনহোর চেলসি ও ডায়নামো কিয়েভের পেছনে থেকে তৃতীয় হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল এফসি পোর্তো।

ক্যাসিয়াস আর রোনালদো, চ্যাম্পিয়নস লিগে দুজনেরই জয় এখন ১০০টি করে। সুইস ক্লাব ইয়ং বয়েজের কাছে জুভেন্টাস অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে যাওয়ার কারণে নিজের জয়ের টালি ১০১-এ নিয়ে যেতে পারেননি রোনালদো।

আরেকটা রেকর্ডে তো ক্যাসিয়াসের কাছাকাছি কেউই নেই আপাতত। সেদিন লোকোমোটিভের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের ১৭৩তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন ইকার ক্যাসিয়াস। চ্যাম্পিয়নস লিগে তাঁর চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড আর কারও নেই। তবে ধরে ফেলতে পারেন সেই রোনালদোই। চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৫৮ ম্যাচ খেলে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড।