সেরা পাঁচে উঠেও নির্লিপ্ত মোস্তাফিজ

র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় সুখবর পেয়েছেন মোস্তাফিজ। ছবি: প্রথম আলো
র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় সুখবর পেয়েছেন মোস্তাফিজ। ছবি: প্রথম আলো
>ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে বিরাট এক সুসংবাদ পেয়েছেন মোস্তাফিজ। উঠে এসেছেন সেরা পাঁচে। র‍্যাঙ্কিংয়ের বড় সুখবরে জানতে চাওয়া হলো তাঁর প্রতিক্রিয়া।

মোস্তাফিজুর রহমান চুপ করে বসে নেটের পাশে। মেহেদী হাসান মিরাজ তখন ব্যাটিংয়ে। বন্ধুর উদ্দেশে হাঁক ছুড়ছেন ‘মার, মার!’ মিরাজ না মারতে পারলেই বন্ধুত্বের অধিকার থেকে ‘ভর্ৎসনা’ করছেন! মিরাজ আবার কৈফিয়তের সুরে তাঁকে বলছেন, কেন মারতে পারেননি বলটা।

খানিকক্ষণ বসে থেকে গেলেন কোচ স্টিভ রোডসের কাছে। জানতে চাইলেন, তাঁকে বোলিং করতে হবে কি না। যথেষ্ট অনুশীলন হয়েছে, নেটে বোলিং আর করতে হয়নি মোস্তাফিজকে। চোট কাটিয়ে জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ফেরার পর থেকে ছন্দে আছেন, অনুশীলনে বাড়তি কিছু করার খুব একটা প্রয়োজন হচ্ছে না। রোডস আগেও প্রশংসা করেছেন। আজ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ আরেকটা সনদ দিলেন ২৩ বছর বয়সী পেসারকে, ‘এখন ওয়ানডেতে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার সে।’

রোডস যে যথার্থ বলেছেন, সেটি প্রমাণ করতেই যেন বিকেলে আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি। ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে বিরাট এক সুসংবাদ পেয়েছেন মোস্তাফিজ। উঠে এসেছেন সেরা পাঁচে। এসব খবর এখন আর ঘটা করে জানাতে হয় না, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মহাকাশে সক্রিয় থাকলেই হয়। সেখানে তরঙ্গ এত শক্তিশালী, সব খবরাখবর মুহূর্তেই চলে আসে চোখের সামনে। র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির খবরটা মোস্তাফিজ পেয়েছেন ফেসবুক থেকেই।

সিরিজ বা টুর্নামেন্ট চলার সময় টিম হোটেলের বাইরে খুব একটা বের হন না। হোটেল রুমটাই তাঁর পৃথিবী। সন্ধ্যায় যখন কথা হলো, তখনও তিনি রুমে। আবির্ভাবেই কাঁপিয়ে দেওয়া মোস্তাফিজের তিন বছরের ক্যারিয়ার অনেক প্রাপ্তির মনিমুক্তায় খচিত। আইসিসির ওয়ানডে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন, বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হওয়ার অর্জনও তাঁর ঝুলিতে। এবার আইসিসির ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের সেরা পাঁচে উঠেছেন, এই অর্জনে স্বাভাবিকভাবেই তিনি খুশি, ‘ভালো তো লাগেই। এত ওপরে সম্ভবত বাংলাদেশের কোনো বোলার আগে কখনো আসেনি। আমি আসতে পেরেছি, এতেই খুশি। ধারাবাহিক ভালো খেললে র‍্যাঙ্কিংয়ে সেটার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, সেটিই স্বাভাবিক। চেষ্টা থাকবে ভালো খেলার।’ মোস্তাফিজের অর্জনটি দুর্দান্ত। তবে ২০০৯ সালে সাকিব আল হাসান একবার ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিলেন।

র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় সুখবরে তাঁর প্রতিক্রিয়া যথারীতি এবারও ছোট। এর বেশি কিছু বলতে চান না মোস্তাফিজ। ‘ওই হয়েছে, এত বলার কী আছে’ বলে পাশ কাটিয়ে যান। বাঁহাতি পেসারের ভাবনায় এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি। বছরের শেষ আন্তর্জাতিক সিরিজটাও তিনি শেষ করতে চান সাফল্যের রঙে রাঙিয়ে। সেটি হলে হয়তো সুখবর মিলবে টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়েও।