বিপিএলের জন্যও ভালো খেলতে চান ব্রাফেটরা!

টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো করে বিপিএলে নিজেদের কদর বাড়াতে চান ব্রাফেটরা! ছবি: প্রথম আলো
টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো করে বিপিএলে নিজেদের কদর বাড়াতে চান ব্রাফেটরা! ছবি: প্রথম আলো
>বিপিএলেও খেলে মোটা অঙ্কের টাকা মেলে এখন। কার্লোস ব্রাফেট সতীর্থদের উজ্জীবিত করছেন এই বলে, তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো খেললে বিপিএলের পরের আসরে খেলার সুযোগ মিলতেও পারে!

এক মাস হয়ে গেল বাংলাদেশে সময় কাটাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কেউ কেউ অবশ্য আগে এসেছেন, কেউ পরে। আবার ২২ ডিসেম্বর সিরিজ শেষ হলে সবাই ফিরে নাও যেতে পারেন। ৫ জানুয়ারি থেকে যে আবার শুরু হয়ে যাওয়ার কথা বিপিএল। এবারের বিপিএলে আছেন এক ডজন ক্যারিবীয় ক্রিকেটার। এর মধ্যে সাতজন আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডেও।

খোদ ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক কার্লোস ব্রাফেটই যেমন খেলবেন খুলনা টাইটানসের হয়ে। যে দলে আছে শেরফান রাদারফোর্ডও। ঢাকা ডায়নামাইটসেই আছে চার ক্যারিবীয়: সুনীল নারাইন, রোভম্যান পাওয়েল, কাইরন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেল। রংপুর রাইডার্সের হয়ে ‘খেপ’ খেলতে চলে আসবেন ক্রিস গেইল।

গতবারের কথা কার না মনে আছে। পুরো বিপিএলে ফ্লপ হতে হতে শেষে দুটি ঝোড়ো সেঞ্চুরি করে ফেললেন গেইল। চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল রংপুর। গেইল হলেন সর্বোচ্চ রানের মালিক (৪৮৫)। এভিন লুইসও গতবার টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের (৩৯৬) মালিক ছিলেন। গত বিপিএলের সর্বোচ্চ রানের তালিকায় প্রথম আটজনের চারজনই ক্যারিবীয়!

আজ ব্রাফেট বললেন, বিপিএলের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে এই সিরিজটাকে কাজে লাগাবেন তাঁরা, ‘যেখানেই ভালো করুন, সেটা কাজে দেয়। এখানে তিন ম্যাচে ভালো করলে এই ছন্দটা বিপিএলে নিয়ে যেতে পারব। তখন নিজের ফ্র্যাঞ্চাইজের জন্য পুরো তৈরি হয়েই নামা যাবে। এই সিরিজে ভালো করলে, এবার না হোক, পরের বছর আপনাকে বিপিএলের কোনো দল কিনে নিতেও পারে।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ এমনিতে কোনো দেশ নয়, ভিন্ন ভিন্ন দেশের খেলোয়াড়েরা এক হয়ে ক্রিকেট খেলেন। ফলে জাতীয়তাবোধের চেতনার ঘাটতি থাকতেই পারে। এক সময় সারা বিশ্বে দোর্দণ্ড প্রতাপে শাসন করা দলটির এখনকার দৈন্য দশার পেছনে অনেকে দলের প্রতি খেলোয়াড়দের নিবেদনের ঘাটতি দেখেন। অনেকে জাতীয় দলের হয়ে খেলে সময় ও শক্তি নষ্ট করার বদলে বিভিন্ন লিগে খেপ খেলে বেড়ান।

তাই ব্রাফেটের কথাটা ‘এই সিরিজে ভালো করলে পরের বছর বিপিএলে চুক্তি মিলবে’...অনেকটা লোভের মতো শোনায়। হয়তো এ কারণেই ব্রাফেট পড়ে যোগ করলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। এ পর্যন্ত আসতে যখন অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। কত ছাড় দিতে হয়, কত বাছাই প্রক্রিয়া আর ঝামেলা শেষে জাতীয় দলে কেউ আসে। আমাদের সেই সৌভাগ্য আছে আমরা জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্নটা সত্যি করতে পেরেছি। তাই এই সিরিজটা খেলা মানে শুধু বিপিএলের জন্য নয়, নিজের পরিবার আর দেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষদের জন্যও।’