টি-টোয়েন্টিতেও একই দশা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের!

টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে প্রাপ্তি মিলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের? ছবি: প্রথম আলো
টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে প্রাপ্তি মিলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের? ছবি: প্রথম আলো
>ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টির বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। কিন্তু এখানেও তাদের দুর্দশা চলছে। গত ১১ টি-টোয়েন্টির ৯টিতেই হেরেছে ক্যারিবীয়রা!

দিনগুলো কত দ্রুত পার হয়, কার্লোস ব্রাফেটরা এখন সেই অপেক্ষায় আছেন। আর কদিন পরই ক্রিসমাস, তাঁদের বড়দিনের উৎসব। অপেক্ষাটা শুধু এ জন্য অবশ্য নয়। ২০১৮ সালটা কোনোমতে পার করলে যেন বাঁচেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। এ বছর তিন ধরনের ক্রিকেটে ৪২টি ম্যাচে মাত্র ১৩টিতে জিতেছেন তাঁরা। বছরের শেষ ভাগটা তো ভয়াবহ! তিন ফরম্যাটে সর্বশেষ ১৭ ম্যাচে মাত্র দুটি জিতেছেন তাঁরা!

টি-টোয়েন্টি এলেই দেখিয়ে দেব, এমন একটা ভাব ওয়েস্ট ইন্ডিজ করছে বটে। কে না জানে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ মানেই টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালাদের দল। বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে কত কদর তাদের। ২০ ওভারের খেলাটায় ক্যারিবীয় সামর্থ্যের প্রমাণ হয়ে আছে গত বিশ্বকাপ। টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরার মুকুট তো তাদেরই মাথায়।

কিন্তু এখানেও পরিসংখ্যান ছন্নছাড়া এক ক্যারিবীয় দলকে দেখাচ্ছে। গত ১১ টি-টোয়েন্টির ৯টিতেই তারা হেরেছে। এর মধ্যে আছে দেশের মাটিতে বাংলাদেশের কাছেও ২-১-এ সিরিজ হেরে যাওয়া। বাংলাদেশে আসার আগে ভারতেও তারা টি-টোয়েন্টিতে ৩-০তে হেরেছে।

কার্লোস ব্রাফেট অবশ্য বলছেন, ‘দেশের সবাই আমাদের কাছ থেকে একটা ক্রিসমাসের উপহার প্রত্যাশা করছে। আশা করি জয় দিয়েই বছরটা শেষ করতে পারব। এখনো মনে করি টি-টোয়েন্টি আসলে আমাদেরই খেলা। হয়তো নিকট অতীতে এখানেও ফলগুলো আমাদের পক্ষে যায়নি। তবে ভালোভাবে বছরটা শেষ করার এই তো সুযোগ।’

বাফ্রেট এও মনে করেন, দলটাকে ফল বিবেচনায় যত খারাপ দেখাচ্ছে, ততটা খারাপ তাঁরা নন। টানা ম্যাচ হারছেন ঠিকই, কিন্তু ম্যাচের ফল তো আর বলছে না, এর মধ্যে অনেক ম্যাচেই কী লড়াইটাই না করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

তবে ঝড়ের মুখে তো বালির ঢিবিতে মুখ গুঁজে রাখা সমাধান নয়। দলের সবাই মিলে এই দৈন্যদশা থেকে বেরোনোর পথ খুঁজছেন বলেও জানালেন ব্রাফেট। এর একটা বড় কারণ হতে পারে, ক্যারিবীয় দলটা থিতু হতে পারছে না। বারবার দলের অবয়ব বদলে যাচ্ছে। সুনির্দিষ্ট একটি দল নিয়ে এগোনোর পথ-পরিকল্পনাই করে উঠতে পারছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ব্রাফেটদের সঙ্গে বোর্ডের দূরত্ব অবশ্য নতুন কিছু নয়। বোর্ডের অনেক কিছুই তাঁদের পছন্দও হয় না। তবে ব্রাফেট নিজে বলছেন, ‘এভাবে হারতে থাকলে তো এসব নিয়েও কিছু করার থাকবে না খেলোয়াড়দের। আমাদের হাতে তেমন ক্ষমতা বা বক্তব্যের সুযোগও নেই। দলে কে এল, আর কে গেল এসব না ভেবে যারা আছে তারা সবাই মিলেই জেতার চেষ্টা করতে হবে।’