মুম্বাই ১ কোটিতে জায়গা দিল যুবরাজকে

যুবরাজ সিং। ছবি: টুইটার
যুবরাজ সিং। ছবি: টুইটার
>আইপিএলে আজ প্রথমপর্বের নিলামে অবিক্রীত ছিলেন যুবরাজ সিং। পরে তাঁকে কিনেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস

২০১৫ আইপিএল মৌসুমে যুবরাজ সিংয়ের ভিত্তি মূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। কিন্তু নিলামে দাম উঠেছিল ১৬ কোটি রুপি। আইপিএলে এই দাম এখনো রেকর্ড। অথচ দামের রেকর্ড গড়া সেই ক্রিকেটারই তিন বছরের ব্যবধানে দেখেছেন নির্মম বাস্তবতা। এবার আইপিএল নিলামের প্রথমপর্বে তাঁকে কেউ কেনেনি! পারফরম্যান্স থাকলে দাম আছে, না থাকলে তাকিয়ে দেখারও কেউ নেই—কথাটা নিশ্চয়ই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছিলেন ভারতের এই অলরাউন্ডার। তবে কয়েক ঘণ্টা পরই যুবরাজের স্বস্তি ফিরিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। ভিত্তি মূল্য ১ কোটি রুপিতেই তাঁকে দলে টেনেছে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি।

ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন যুবরাজ। ২০১৫ সালের আইপিএলে মাত্র ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্য থাকলেও তাঁর দাম উঠেছিল ১৬ কোটি রুপি! রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু থেকে যুবরাজকে এক ঝটকায় টেনে নিয়েছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। সেটি ছিল আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দামে খেলোয়াড় বিক্রির রেকর্ড। ২০১৪ সালেও তাঁর দাম ছিল ১৪ কোটি রুপি। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকেই নামতে থাকে যুবরাজের দাম। ১৬ কোটি থেকে কমে ৭ কোটিতে যুবরাজকে দলে নিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। পরের বছরও হায়দরাবাদেই থেকে যান। ২০১৮ সালে ২ কোটি রুপিতে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে যান। ভারতের জার্সিতে গত বছর জুনে শেষ ম্যাচ খেলেছেন ৩৭ বছর বয়সী যুবরাজ।

পারফরম্যান্স না থাকায় এবারের নিলামে প্রথমবারের মতো কমেছে যুবরাজের ভিত্তি মূল্য। এরপরও প্রথমপর্বে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি দল তাঁকে না কেনায় চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। শেষ পর্যন্ত মুম্বাই তাঁকে কিনলেও বেশ সস্তায় পেয়েছে বলা যায়। তিন বছর আগে যাঁর দাম ছিল ১৬ কোটি রুপি তাঁকে ১ কোটি রুপিতে পাওয়াকে অন্তত লোকসান বলা যায় না, সেটি যুবরাজের পারফরম্যান্স যতই নিচের দিকে নামুক না কেন। তবে যুবরাজ এখন মাঠে কি করেন সেটাই দেখার বিষয়।