শুধুই পারফরম্যান্স? শিষ্যদের সঙ্গে সম্পর্কও বাজে ছিল মরিনহোর

হোসে মরিনহো। ছবি: টুইটার
হোসে মরিনহো। ছবি: টুইটার
>

দলের বাজে পারফরম্যান্স তো ছিল, পাশাপাশি শিষ্যদের সঙ্গেও নাকি ভালো সম্পর্ক ছিল না হোসে মরিনহোর। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ পদ থেকে ছাঁটাই হওয়ার পেছনে শিষ্যদের সঙ্গে মরিনহোর বাজে সম্পর্ক বেশ বড় ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম

১৭ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে। চারে থাকা চেলসির সঙ্গেই ১১ পয়েন্টের ব্যবধান, শীর্ষস্থানীয় লিভারপুলের সঙ্গে ১৯। লিগ শিরোপা জয়ের দৌড় দূরস্ত, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শীর্ষ চারে থেকে মৌসুম শেষ করতে পারে কি না, তা নিয়েই সন্দেহ আছে। বোঝাই যাচ্ছে, মাঠে ধারাবাহিক ব্যর্থতার খেসারত গুণে ইউনাইটেডের কোচ পদ থেকে ছাঁটাই হয়েছে হোসে মরিনহো। তবে ওল্ড ট্রাফোর্ড থেকে মরিনহোর বিদায়ের কারণ শুধু বাজে পারফরম্যান্সই নয়; এর পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে শিষ্যদের সঙ্গে বাজে সম্পর্কও।

লিভারপুলের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হারের পর অনেকেই ভেবেছিলেন, এটাই বুঝি ওল্ড ট্রাফোর্ডে মরিনহো-অধ্যায়ের কফিনে শেষ পেরেক। শেষ পর্যন্ত ঘটেছেও ঠিক তা–ই। দলের বাজে পারফরম্যান্স তো ছিলই, সঙ্গে শিষ্যদের সঙ্গে বেশ আগে থেকেই সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছিল না এই পর্তুগিজ কোচের। পল পগবার কথাই ধরুন, ইউনাইটেডের সঙ্গে অনুশীলনে ফরাসি এই মিডফিল্ডারের সঙ্গে মরিনহোর বচসার ভিডিও আলোড়ন তুলেছিল কদিন আগে। মরিনহোর সঙ্গে বচসার জের ধরে দলের সহ-অধিনায়ক পদও হারান পগবা।

মরিনহো ছাঁটাই হওয়ার পর এই টুইট করেছিলেন পগবা। ছবি: টুইটার
মরিনহো ছাঁটাই হওয়ার পর এই টুইট করেছিলেন পগবা। ছবি: টুইটার

মরিনহো কাল ছাঁটাই হওয়ার ৪৫ মিনিট পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেন এই ইউনাইটেড তারকা। চতুর চাহনিতে পগবার সেই বাঁকা হাসির ছবি নিয়ে বেশ আলোড়ন চলছে টুইটার থেকে ইনস্টাগ্রাম কিংবা ফেসবুকেও। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন—‘ক্যাপশন দাও’। মানে পগবার তাঁর বাঁকা হাসির সেই ছবির ক্যাপশন ভক্তদের দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। যদিও পোস্টটি কয়েক মিনিট পরই মুছে দেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে পগবার সেই ছবির হাজারো স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। অনেকেরই মত, মরিনহো ছাঁটাই হওয়ার খুশিতেই পগবার এই ছবি!

শুধু পগবা নন, অ্যালেক্সি সানচেজের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো ছিল না মরিনহোর। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আর্সেনাল থেকে বছরখানেক আগে চিলির এই তারকা ইউনাইটেডে আসার পর থেকেই বিরোধ ছিল দুজনের মধ্যে। এ ছাড়া আছেন হুয়ান মাতা। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মাতার সঙ্গে চেলসিতেই সম্পর্ক খারাপ ছিল মরিনহোর। স্পেনের এই মিডফিল্ডারের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি নবায়নে রাজি ইউনাইটেড। কিন্তু মাতা নাকি মরিনহোর বিদায়ের অপেক্ষায় ছিলেন, অর্থাৎ কোচ পাল্টালেই তিনি চুক্তি নবায়ন করবেন—এমনটাই জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। মাতার অপেক্ষা তাহলে এবার শেষ হলো!