ভয় পাননি, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সাহস দেখাতে চেয়েছিলেন

শর্ট বল কীভাবে সামলাতে হবে, সেটিই কি সৌম্যকে বোঝাচ্ছিলেন ম্যাকেঞ্জি? ছবি: বিসিবি
শর্ট বল কীভাবে সামলাতে হবে, সেটিই কি সৌম্যকে বোঝাচ্ছিলেন ম্যাকেঞ্জি? ছবি: বিসিবি
>সৌম্য বলছেন, ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলারদের শর্ট বল নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন। সেদিন সাহস দেখাতে গিয়ে শর্ট বলে আউট হয়েছেন, এটি মোটেও তাঁদের দুর্বলতা নয়।

দুদিন ধরে হঠাৎ শীতের চনমনে রোদটা উধাও! মেঘলা আকাশে কখনো কখনো বৃষ্টির আশঙ্কা। এ তো চেনা পৌষ নয়। চেনা আবহাওয়া হঠাৎ অচেনা লাগলে যেমন ধাক্কা খেতে হয়, জয়ের ধারায় থাকা বাংলাদেশ দলও যেন একটু ধাক্কা খেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সিলেটে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে। বাংলাদেশকে ধাক্কাটা দিয়েছে আসলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বোলিং আক্রমণ, আরও নির্দিষ্ট করে বললে শর্ট বল।

ওশান থমাস, শেলডন কটরেলের শর্ট বল সামনের পায়ে পুল করতে গিয়ে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তবে কি শর্ট বল খেলা নিয়ে খুব চিন্তায় পড়ে গেছেন তামিম-সৌম্যরা? দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা সৌম্য সরকারের দাবি, শর্ট বল নিয়ে তাঁরা মোটেও চিন্তিত নন, ‘চিন্তিত নই, আমার কাছে মনে হয় ওরা শর্ট বল করেছে, আমরা এগিয়ে গিয়ে মারতে গিয়েছি। এটা সাহসের ব্যাপার। শর্ট বলের মধ্যেও জোরে বলে মারতে গিয়েছি। আমরা পিছিয়ে গিয়ে আউট হলে বলা যেত যে আমরা শর্ট বলের ভয়ে আউট হয়েছি। সামনে খেলতে গিয়ে আউট হয়েছি। আমরা জোরে বল আরও জোরে মারতে গিয়ে আউট হয়েছি। আমরা যদি বুদ্ধি খাটিয়ে প্লেসিং করার চেষ্টা করতাম, টাইমিং করে খেলতাম তাহলে ভালো হতো।’

সাহসের কথা বলছেন, কিন্তু এটি অতি আত্মবিশ্বাসও কি নয়? সৌম্য তা বলতে চান না। সৌম্য নিজেদের সাহসের কথাই বলতে চান না। সাহসী হওয়া ভালো, কিন্তু পরিস্থিতি না বুঝে সাহস দেখানো কি নিজেদের দুর্বলতা ঢাকারও প্রয়াসও নয়? এ যুক্তিতে সৌম্যর আপত্তি আছে, ‘শর্ট বল খেলা সাহসিকতার ব্যাপার। আমরা ভয়ে আউট হয়েছি কি না, সেটার কথা বলছিলাম। টেস্ট হলে একটা কথা। টি-টোয়েন্টিতে আপনাকে শট খেলতে হবে, না খেললে একটা রান করার সুযোগ কমে যাবে। যেটা বললাম, ভয়ের কিছু নাই। আমরা অনেক উন্নতি করেছি। সব শেষ কয়েক ম্যাচে আমরা শট বলে তেমন আউট হইনি। আমরা যে কন্ডিশনে বেশি খেলি, সেখানে বেশির ভাগ স্পিন খেলি। এখন হঠাৎ একজন দ্রুতগতির বোলারকে খেলতে গেলে শুরুতে একটু সমস্যা হয়। কিন্তু এটির সঙ্গেও আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।’

বাংলাদেশ দলের অনুশীলন শুরু হতে ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করল মেঘ । অবশেষে রোদের দেখা মিলল। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে যাওয়া বাংলাদেশও নিশ্চয়ই একইভাবে জয়ের দেখা পাবে। গত আগস্টে সেন্ট কিটসে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি হারলেও ফ্লোরিডায় টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজটা ২-১ করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যদি বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারে, দেশের মাঠে কেন নয়?