পেস, উইকেট নাকি ঠান্ডা - বাংলাদেশের ভাবনা কী নিয়ে?

আক্রমণাত্মক হতে হবে, সেটি যেন আত্মহনন না হয়, সৌম্য সেটিরই যেন অনুশীলন করছেন। ছবি: প্রথম আলো
আক্রমণাত্মক হতে হবে, সেটি যেন আত্মহনন না হয়, সৌম্য সেটিরই যেন অনুশীলন করছেন। ছবি: প্রথম আলো
>কাল মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানোর টি-টোয়েন্টিতে কেমন উইকেট পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ? ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসারদের গতি-বাউন্সের সঙ্গে লড়াই তো আছেই, কাল আরেকটি চ্যালেঞ্জও থাকবে বাংলাদেশের সমানে

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের কাছে এমনই, ‘চেনা চেনা লাগে তবুও অচেনা...!’ মিরপুরের উইকেট নিয়ে দলের কারও কাছে কিছু জানতে চাইলে একটা অভিন্ন উত্তর মেলে, ‘আনপ্রেডিক্টেবল’। নিজেদের উঠানে খেলা, অথচ বলা মুশকিল, উইকেটের চরিত্র কেমন হবে!

আগামীকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানোর টি-টোয়েন্টিতে কেমন উইকেট পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ? প্রশ্নটা দলের যাকেই করা হয়, বলেন মিরপুরের উইকেট সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা সব সময়ই কঠিন। কারণও আছে। মিরপুরের উইকেট বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ শুরু করে। আগে থেকে বলা খুবই কঠিন হবে। তবে সৌম্য সরকারের আশা, ভালো উইকেটই পাবেন তাঁরা, ‘এই মাঠ তো বিশ্রাম পেয়েছে। একই মাঠে টানা খেলা হলে হয়তো মাঠকর্মীরা সময় কম পেত। এখানে তো সময় পেয়েছে উইকেট তৈরি করতে। আমার কাছে মনে হয় না উইকেট নিয়ে সমস্যা হবে।’

সিলেটের উইকেট যথেষ্ট ভালো ছিল। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা উইকেট ছুড়ে দিয়ে না আসলে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৮০-২০০ রান হওয়াটা কঠিন ছিল না। মিরপুরের উইকেট তেমনটা হবে কি না, সেটি বলা না গেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসারদের গতি-বাউন্সের সঙ্গে লড়াই তো আছেই, কাল আরেকটি চ্যালেঞ্জও থাকবে বাংলাদেশের সমানে। গত কদিনের নিম্নচাপের প্রভাবে হঠাৎ নামা ঠান্ডাও যে এক প্রতিপক্ষ হতে চলেছে। এটি নিয়ে চিন্তা এ কারণেই যে এমন আবহাওয়ায় আরও বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন উইন্ডিজ পেসাররা। সেই চ্যালেঞ্জ কীভাবে সামলানোর কথা ভাবছে বাংলাদেশ? বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সৌম্য বলছেন, ‘এমন আবহাওয়ায় পেস বোলাররা একটু কার্যকর থাকে। আমাদের ওভাবে সামলাতে হবে। শুরুতে আমাদের কিছু ওভার দেখতে হবে। আবার টি-টোয়েন্টির মেজাজ বুঝেও খেলতে হবে। আজ আমাদের অনুশীলনও হচ্ছে একই আবহাওয়ায়। মানসিক প্রস্তুত হতে হবে কালকের জন্য।’

যে দলটা টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে জয় দিয়ে, শেষও করেছে জয় দিয়ে, সেই বাংলাদেশ কেন টি-টোয়েন্টি শুরুই করল হার দিয়ে? সৌম্য বলছেন, হার দিয়ে শুরু করলেও জয়ের ধারায় ফেরার সামর্থ্য তাঁদের আছে, ‘সবাই জানি ওরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল, এই সংস্করণে। আমরাও যে খারাপ করেছি, তা না। চেষ্টা করছি তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভালো খেলার। হয়তো বা কোনো একটা ভুল ছিল। আমাদের বুদ্ধির ঘাটতি ছিল হয়তো। আমরা শুরুতেই ওদের আক্রমণ করতে গিয়েছি। যদি বুদ্ধি খাঁটিয়ে খেলতাম, পেসারদের প্রথম কিছু ওভার যদি আমরা সামলাতে পারতাম, শেষের দিকে আমরা আরও পুষিয়ে দিতে পারতাম। হয়তো উইকেট ছিল না উইকেট দ্রুত পড়ে যাওয়ায় মাঝে একটু মন্থর গতিতে এগোতে হয়েছে। ওটাই পরের ম্যাচে চেষ্টা করা হবে। টপ অর্ডারে আমরা যারা আছি, তারা যদি পাওয়ার প্লেটা ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারি, উইকেট হাতে রাখতে পারি, শেষের দিকেও ভালো হবে।’

ভালো না হয়ে যে উপায় নেই, খারাপ হলেই বাংলাদেশকে হারতে হবে সিরিজ।