টেনেটুনে পাস করল পার্থের উইকেট

অভিষেক টেস্টেই প্রশ্ন উঠল পার্থের নতুন মাঠের উইকেট নিয়ে। ছবি: এএফপি
অভিষেক টেস্টেই প্রশ্ন উঠল পার্থের নতুন মাঠের উইকেট নিয়ে। ছবি: এএফপি

পার্থের দিকে নজর ছিল। বিখ্যাত ওয়াকা মাঠ নয়, এবার পার্থ টেস্ট হয়েছে অপটাস স্টেডিয়ামে। বড় বড় সব ক্রিকেটশক্তিকে এখন থেকে এখানেই টেস্ট খেলতে আমন্ত্রণ জানানো হবে। ভারতের বিপক্ষে চলতি সিরিজে টেস্ট অভিষেক হয়েছে এ মাঠের। অভিষেক টেস্টে স্বাগতিকদের জয় উপহার দিতে পেরেছে এ মাঠ। কিন্তু উইকেটের পরীক্ষায় টেনেটুনে পাস করেছে পার্থ। ভারতের হেরে যাওয়া ম্যাচের এ উইকেটকে ‘গড়পড়তা’ বলেছেন ম্যাচ রেফারি।

পার্থ টেস্ট সব সময়ই পেসারদের তৃপ্তি দিয়েছে। আগুনে গতি আর বাউন্সে প্রতিপক্ষকে ভয় পাইয়েছেন পেসাররা। এবারও সেটা কম হয়নি। কিন্তু বাউন্স কখনো উঁচু হয়েছে কখনো বা নিচু। ফলে ব্যাটসম্যানদের শরীরে বল লাগার ঘটনাও ঘটেছে অহরহ। উইকেটের এমন আচরণ দেখে ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে একে ‘গড়পড়তা’ বলেছেন, যা উইকেটের মান বিচারে পাসের সর্বনিম্ন ধাপ।

২০১৮ সাল থেকে আইসিসি ক্রিকেট মাঠের উইকেটকে রেটিং দেওয়া শুরু করেছে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন দেশ স্বাগতিকের সুবিধা নিতে যেমন উইকেট বানাচ্ছে, তাতে মান নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে মিরপুর আর চট্টগ্রামের উইকেট নিয়েও যেমন কথা শোনা গেছে। আইসিসি তাই উইকেটের মান নিশ্চিত করতে বিশ্বজুড়েই রেটিং পদ্ধতি চালু করেছে। টেস্ট ম্যাচের উইকেটের পাঁচ ধাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। ‘খুব ভালো’, ‘ভালো’, ‘গড়পড়তা’, ‘স্বাভাবিকের চেয়ে খারাপ’ ও ‘বাজে’। প্রতি ম্যাচের শেষে ম্যাচ রেফারিকে ম্যাচজুড়ে বলের আচরণ বিচার করে রেটিং দিতে হয়। পার্থ টেস্টের কপালে ‘গড়পড়তা’ দিয়েছেন মাদুগালে।

১৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্ট। পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনেও খেলা হয়েছে। এতে মনে হতে পারে উইকেট বেশ ভালোই ছিল। কিন্তু বেশ কয়েকবার বল অস্বাভাবিক আচরণ করেছে। বেশ কয়েকবার বল হেলমেট ও গ্লাভসে লেগেছে। ফিঞ্চকে তো মাঠ ছেড়েই উঠে যেতে হয়েছিল। ধরে নেওয়া হচ্ছে, মাদুগালে এসব চিন্তা করেই এমন রেটিং দিয়েছেন। সিরিজের প্রথম ম্যাচ হয়েছিল অ্যাডিলেডে। মজার ব্যাপার ভারতের জেতা সে ম্যাচের উইকেট ‘খুব ভালো’ রেটিং পেয়েছিল।

সিরিজের তৃতীয় টেস্ট হবে ‘বক্সিং ডে’তে। ২৬ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া এ ম্যাচ হবে মেলবোর্নে। গত বছর এই মেলবোর্নের উইকেটই ‘বাজে’ রেটিং পেয়েছিল। স্বয়ং স্টিভেন স্মিথই উইকেটের সমালোচনা করেছিলেন। এবার এমনিতেই তাই চাপে ছিলেন মেলবোর্নের কিউরেটর। কারণ একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খুবে বেশি ‘ডিমেরিট পয়েন্ট’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে দিতে পারে মাঠকে। এবার পার্থের উইকেটের এমন রেটিং নির্ঘাত চাপে ফেলে দেবে তাদের!