শাস্তি মাথা পেত নেব, তবু অন্যায়ের প্রতিবাদ করব

ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোর সঙ্গেও বাগ যুদ্ধ করেছেন ব্রাফেট। ছবি: প্রথম আলো
ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোর সঙ্গেও বাগ যুদ্ধ করেছেন ব্রাফেট। ছবি: প্রথম আলো

একই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে এই সিরিজেই জরিমানা গুনেছেন সাকিব আল হাসান। সেটা ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশের ওপর দিয়ে গেছে। ক্রিকেটে আচরণবিধি এতটাই কড়া, পান থেকে চুন খসলেই খুন! সেখানে আজ তো প্রতিবাদ করে খেলোয়াড়দের এক জোট করেছিলেন কার্লোস ব্রাফেট। এর পরিণতিতে হয়তো শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে তাঁকে। ম্যাচ রেফারির শুনানিতেও হাজিরা দিতে হবে হয়তো।

তবে শাস্তি হলে হবে, তা নিয়ে পরোয়া নেই ব্রাফেটের। তিনি মনে করেন, আজ ম্যাচের চতুর্থ ওভারে আম্পায়ার দুবার অন্যায়ভাবে ‘নো বল’ ডেকেছেন। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার নো বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন লিটন দাস। তখনই ব্রাফেট প্রতিবাদ করেন। ম্যাচ রেফারিকে মধ্যস্থতা করতে নেমে আসতে হয় নিচে। খেলা ৯ মিনিটের মতো বন্ধও ছিল।

ব্রাফেট ম্যাচ শেষে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন, ‘শাস্তি আসবে-যাবে, তবে যদি ন্যায়ের পক্ষে না দাঁড়ান, তার মানে হলো আপনি অন্যায়কে সমর্থন দিলেন। আমাকে যদি কোনো শাস্তি দেওয়া হয়, আনন্দের সঙ্গে তা মাথা পেতে নেব। আমার সতীর্থদের ওর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো উচিত ছিল। আর যেহেতু আমি ওদের দলনেতা, আমার উচিত ছিল সতীর্থদের জন্য প্রতিবাদ করা।’

ব্রাফেট মনে করেন, খেলার মাঝখানের ওই বিরতি শেষ পর্যন্ত তাদের পক্ষে গেছে, ‘এটা তো আমার হাতে ছিল না। আমার তখন মনে হয়েছিল, ওই সিদ্ধান্তটা আমাদের পক্ষে না গেলে ম্যাচটা বদলে যেতে পারে। আমরা ইচ্ছে করে ম্যাচের ছন্দ প্রতিহত করিনি। এখন পেছনে ফিরে তাকালে মনে হচ্ছে, খেলায় যে বিরতি পড়েছিল, তাতে হয়তো ফলাফলে ওপর প্রভাব পড়েছে। সেটা যদিও আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি না। তখন শুধু এটা মনে হয়েছিল, আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত পেতে হবে। প্রথমত আমরা বুঝতে চেয়েছি, এমন সিদ্ধান্ত কেন দেওয়া হলো। এরপর বুঝতে চেয়েছি আইন কী বলে। যদি আইনের বদলে আপনার বিবেচনা বোধ যদি সিদ্ধান্তটা বদলায়, তাতেই আমরা খুশি হয়ে ম্যাচটা শেষ করতাম। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।'

ব্রাফেট মনে করেন, এতে ভালোই হয়েছে তাঁর দলের। সতীর্থেরা গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছিল এরপর, ‘এটাই হয়তো সহজ হতো আমাদের দল যদি মানসিকভাবে নুয়ে পড়ত। আমরা যে অভিযোগ করেছি, তা শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি। হতাশ হওয়াই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু তা হয়নি। বরং দলের ১১ জন এককাট্টা হয়ে কাঁধ মিলিয়ে লড়ল। আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এর পর প্রতিটা বলেই আমরা নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করব।’