নিজেদের মাঠেই হারলেন গার্দিওলা

হতাশা ঢাকার কোনো চেষ্টাই করেননি গার্দিওলা। ছবি: এএফপি
হতাশা ঢাকার কোনো চেষ্টাই করেননি গার্দিওলা। ছবি: এএফপি

এমন নয় যে ম্যানচেস্টার সিটি নিজেদের মাঠে হারে না। গত চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে লিভারপুলের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল তারা। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের শুরুটাও হয়েছে হার দিয়ে। নিজেদের মাঠেই লিঁওর কাছে একই ব্যবধানে ঘরের মাঠে হেরেছে তারা। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের মাঠকে একদম দুর্গ করে রেখেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু লিগে চেলসির মাঠে প্রথম হারের পর এক ম্যাচ বিরতি দিয়েই আবার হারল পেপ গার্দিওলার দল। ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে ৩-২ ব্যবধানে হেরেছে তারা।

চেলসির এমন পা হড়কানোর দিনকে কাজে লাগাতে পারত চারে থাকা চেলসি। কিন্তু নিজেদের মাঠে লেস্টার সিটির বিপক্ষে যে গোল করার কাজটা বড় কঠিন বানিয়ে ফেলেছিলেন এডেন হ্যাজার্ডরা-উইলিয়ানরা। ৫১ মিনিটে জেমি ভার্ডির দেওয়া গোলের জবাব দিতে পারেনি সারিবল। উল্টো বার্নলিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তাদের সঙ্গী বনে গেছে আর্সেনাল।

তবে আজকের দিনের হাইলাইটস শুধু ম্যানচেস্টার সিটির হার। একদিকে ট্যাকটিকসের রাজা পেপ গার্দিওলা আর অন্যদিকে ট্যাকটিকসের দুনিয়ায় খাবি খেতে থাকা এক কোচ রয় হজসন। ক্রিস্টালের পক্ষে বাজি ধরতে মনে হয় না কেউই রাজি হতেন না। নিজেদের মাঠে প্রথমে এগিয়েও গিয়েছিল সিটি। ২৭ মিনিটে ইলকায় গুন্দোগানের গোলের পর তো মনে হয়েছিল ক্রিস্টালের কপালে আজ গোলবন্যা জুটবে। কিন্তু ৩৩ মিনিটেই সমতায় ফিরল তারা। ৩৫ মিনিটে তো সিটিকে স্তব্ধ করে দিলেন টাউনসেন্ড। সিটির রক্ষণে বল উড়ে এসেছিল, সেটা হেড করে নিরাপদ দূরত্বে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন সিটি ডিফেন্ডার। কিন্তু টাউনসেন্ড যে অমন গোলা প্রস্তুত করে রেখেছেন সেটা কে জানত?

এডারসন ঝাঁপ দিয়েছিলেন কিন্তু সে শট ঠেকাতে হলে আরও দুজন গোলরক্ষক হয়তো দাঁড়াতে হতো। বিরতির পর মিলিভোজেভিচের পেনাল্টি গোল শেষ পেরেক হয়ে ঠুকল। এর পর থেকেই আক্রমণের বন্যা বইয়ে দিয়েছে সিটি। রিয়াদ মাহরেজ-কেভিন ডি ব্রুইনারা বদলি নেমে গতি বাড়িয়েছে। লিরয় সানেরা তো ছিলেনই। ৮৫ মিনিটে একটি গোল শোধও করেছিলেন ডি ব্রুইনা। কিন্তু হার এড়ানো যায়নি।