'সিনিয়র'দের অধিনায়ক হয়ে কেমন লাগছে মিরাজের

মিরাজ এবার রাজশাহীর অধিনায়ক। ছবি: প্রথম আলো
মিরাজ এবার রাজশাহীর অধিনায়ক। ছবি: প্রথম আলো
>আজ আনুষ্ঠানিকভাবে মেহেদী হাসান মিরাজকে অধিনায়ক ঘোষণা করেছে রাজশাহী কিংস। তাঁর ডেপুটি সৌম্য সরকার। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা থাকলেও সিনিয়রদের অধিনায়ক হচ্ছেন এই প্রথম।

মেহেদী হাসান মিরাজ বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন টানা চার বছর। ২০১৬ যুব বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বে তৃতীয় হয় বাংলাদেশ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে এখনো পর্যন্ত এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট পেরিয়ে মিরাজ জাতীয় দলে পা রেখে দ্রুত নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে। তবু আজ নতুন এক পর্ব শুরু হলো তাঁর।

বিপিএলে রাজশাহী কিংস তাদের অধিনায়ক হিসেবে আজ ঘোষণা করেছে মিরাজের নাম। প্রথমবারের মতো কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি দল তো বটেই, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের বাইরে প্রথম অধিনায়ক হওয়ার অভিজ্ঞতাও হলো তাঁর। দলে তরুণ খেলোয়াড়ের তুলনায় স্থানীয়-বিদেশি অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেশি। সিনিয়রদের অধিনায়ক হয়ে মিরাজের চোখেমুখে যে আনন্দের ছটা, সেটিই দেখা গেল শীতের এ পড়ন্ত বিকেলে।

রাজধানীর হাতিরঝিলে রাজশাহীর জার্সি উন্মোচন ও অধিনায়ক ঘোষণার অনুষ্ঠান শেষে ২১ বছর বয়সী অলরাউন্ডার বললেন, ‘এটি আমার জন্য অনেক বড় একটি সুযোগ। এত বড় টুর্নামেন্টে আমার এর আগে কখনো অধিনায়কত্ব করা হয়নি। আপনারা জানেন যে আমি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছি অনেক দিন। সেখানে নির্দিষ্ট বয়সের খেলোয়াড় ছিল। এখানে কিন্তু অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকে। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটার থাকে, স্থানীয় ক্রিকেটার থাকে । আমার জন্য এটি একটি ভালো সুযোগ এটি। চেষ্টা করব শতভাগ দিতে। আগের যে অভিজ্ঞতা আছে, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে, সেটি কাজে লাগবে আশা করি।'

স্থানীয় খেলোয়াড়েরা তো আছেনই। মিরাজকে সামলাতে হবে বিদেশি খেলোয়াড়দেরও। তবে কাজটা মোটেও কঠিন মনে হচ্ছে না তাঁর, ‘কাজটা সহজ হয়ে যাবে। আপনারা জানেন যে কোচ আছে, (ল্যান্স) ক্লুজনার। তিনি দুর্দান্ত একজন ক্রিকেটার ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা দলে। এখন অনেক ভালো কোচ। আর আমাদের যে সিনিয়র ক্রিকেটাররা আছে, টিম ম্যানেজমেন্টে যারা আছেন, তাঁরা অনেক অভিজ্ঞ। এটি আমার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে। তাঁরা আমাকে সাহায্য করবে। শুধু আমি একাই সিদ্ধান্ত নেব তা নয়। সকলের সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা হয়তো এক সিদ্ধান্তে থাকতে পার। সবার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েই কাজ করা হবে, শুধু আমার সিদ্ধান্ত কিংবা কোচের সিদ্ধান্তে হবে না। সবার সিদ্ধান্তকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে আমার মনে হয়।’

২০১৬ বিপিএলে ফাইনাল খেলেছে রাজশাহী। গত বিপিএলে অবশ্য শেষ চারেই উঠতে পারেনি দলটি। অধিনায়ক মিরাজ তাই এখনই দূরের স্বপ্ন দেখছেন না। আপাতত তাঁর লক্ষ্য, সেরা চার নিশ্চিত করা, ‘অবশ্যই সবার স্বপ্ন থাকে ফাইনাল খেলার। আমাদের আপাতত লক্ষ্য পরের পর্বে যাওয়া (শেষ চারে ওঠা)। যদি যেতে পারি আশা করি ফাইনাল খেলতে পারব।’

রাজশাহী কিংস:
মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার (সহ অধিনায়ক), মুমিনুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান, শাহরিয়ার নাফীস, কামরুল ইসলাম, ফজলে রাব্বি, জাকির হাসান, আরাফাত সানি, আলাউদ্দিন বাবু, মার্শাল আইয়ুব, ক্রিস্টিয়ান জঙ্কার, ইসুরু উদানা, লরি ইভান্স, রায়ান টেন ডেসকাট, শেকুগে প্রসন্ন, মোহাম্মদ সামি ও কায়েস আহমেদ।