মাশরাফির আগুনে লজ্জার রেকর্ড কুমিল্লার

মাশরাফির তোপ সামলাতে পারেনি কুমিল্লা। ছবি: প্রথম আলো
মাশরাফির তোপ সামলাতে পারেনি কুমিল্লা। ছবি: প্রথম আলো

মাশরাফির আগুনে জ্বলেপুড়ে গিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। মাত্র ১১ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক। ৬৩ রানে অলআউট হয়েছে স্টিভ স্মিথের কুমিল্লা। সে লক্ষ্য ধীরে সুস্থে তাড়া করেছে রংপুর। ৮ ওভার হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নিয়েছে রাইডার্স। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে শুধু ক্রিস গেইলকে হারিয়েছে তারা। ৯ উইকেটের এ জয় রংপুরের টানা দ্বিতীয় জয়।

বিপিএলের প্রথম ম্যাচেই আশা জাগিয়েছিল রংপুর রাইডার্স। কিন্তু প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে টেনেটুনে ৯৮ রান তুলেছিল দলটি। আজ যেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষের শোধ নিতেই নেমেছিল দলটি। ১৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপিএলের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়ার পথে ছিল কুমিল্লা। শহীদ আফ্রিদির মহামূল্যবান ২৫ রানের সুবাদে সে লজ্জা কাটিয়েছে তারা। কিন্তু নিজেদের সর্বনিম্ন রানের লজ্জা ঠিকই পেল দলটি। ৬৩ রানে অলআউট হয়েছে স্টিভ স্মিথের কুমিল্লা।

দলীয় ১০ রানে ব্যাটিং ধসের সূচনা করেছেন তামিম ইকবাল। মাশরাফি বিন মুর্তজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফরহাদ রেজার কাছে ক্যাচ দিয়েছেন তামিম। ওই ফরহাদ রেজার কাছেই মাশরাফির বলে ক্যাচ দিয়েছেন স্টিভ স্মিথ। ততক্ষণে কুমিল্লার স্কোর ৫ উইকেটে ১৮! মাত্র ৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে কুমিল্লা। ৪ ওভারের স্পেলে ১১ রান দিয়ে এর চারটিই মাশরাফির। বাকিটা গেছে শফিউল ইসলামের কাছে।

শহীদ আফ্রিদি ১৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ রান করেছেন বলেই ৪৪ রানের মাইলফলকটা পেরিয়েছে কুমিল্লা। বিপিএলে সর্বনিম্ন রানের স্কোর যে ওটিই। ৫৫ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আফ্রিদি আউট হওয়ার পর নিজেদের রেকর্ড লিখতে পারে কি না সেটা নিয়ে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিল। গত আইপিএলে সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ৬৭ রানে অলআউট হয়েছিল দলটি। ৮ রানের মধ্যে বাকি দুই উইকেট হারিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েই ছেড়েছে কুমিল্লা।

মাশরাফির ৪ উইকেটের পর ২০ রানে ৩ উইকেট নাজমুল ইসলামের। শফিউল ইসলাম পেয়েছেন ২ উইকেট, বাকি উইকেট ফরহাদ রেজার।

তাড়া করতে নেমে ১৪ রানে ক্রিস গেইলকে (১) হারিয়েছে রংপুর। আবু হায়দারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন এই ওপেনার। মেহেদী মারুফ (৩৯ বলে ৩৬ রান) ও রাইলি রুশো (২৮ বলে ২০) দ্রুত রান তোলার চেয়ে জয় নিশ্চিত করাতেই মন দিয়েছেন।

বিপিএলের সর্বনিম্ন স্কোর

স্কোর

ম্যাচ

সাল

৪৪

খুলনা-রংপুর

২০১৬

৫৮

বরিশাল-সিলেট

২০১৫

৫৯

সিলেট-রংপুর

২০১৫

৬৩

কুমিল্লা-রংপুর

২০১৮

৬৭

খুলনা-চট্টগ্রাম

২০১৩