কোনো অন্যায় করতে দেবেন না যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। সৌজন্য ছবি
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। সৌজন্য ছবি
>ক্রীড়াঙ্গন সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা ছিল না সাবেক দুই যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার ও বীরেন শিকদারের। সেই তুলনায় অনেকখানি এগিয়ে বর্তমান সরকারের নতুন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার আগে টানা ১০ বছর ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। আজ বিকেলে সচিবালয় থেকে সরাসরি আসেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি)। পদাধিকার বলে এনএসসির চেয়ারম্যানও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। দায়িত্ব নিয়েই এনএসসির পরিচিতি অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিলেন একগাদা প্রতিশ্রুতি

প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম আন্তর্জাতিক মানের হলেও এর চারপাশ নোংরা, পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। নেশাখোরদের আড্ডা। স্টেডিয়াম যেন বারোয়ারি বাজার, ভেতর দিয়ে সারাক্ষণ এত বেশি গাড়ি চলে যে হাঁটার জায়গাটুকু পাওয়া যায় না। আন্তর্জাতিক ইভেন্টের সময় বিদেশিরা এলে ভাবমূর্তির সংকটে পড়তে হয়। এই স্টেডিয়াম নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কি?

উত্তর: এটা সত্যি, সবার চোখের সামনে এই দৃশ্যগুলো ধরা পড়ে। ব্যাপারটা আমার কাছেও দৃষ্টিকটু লেগেছে। আমরা যখন দেশের বাইরে কোনো টুর্নামেন্টে যাই, কিংবা কোনো স্টেডিয়াম পরিদর্শনে যাই তখন এর উল্টো দৃশ্য দেখি। এটা বঙ্গবন্ধুর নামের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। এমন অবস্থার উত্তরণের জন্য আমার পক্ষ থেকে চেষ্টা থাকবে। পরবর্তী বৈঠকেই এটা নিয়ে কাজ করব।

প্রশ্ন: বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনে অবৈধভাবে রাত্রিযাপন করে বহিরাগতরা। এই বিষয়গুলোর ব্যাপারে আপনার কেমন পদক্ষেপ থাকবে?

উত্তর: যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই আতঙ্কের বিষয়। সচিব সাহেবকে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে বলব। আর একটা কথা—এখানে যদি অন্য কোনো অন্যায় কাজ হয়, সেটা অবশ্যই গর্হিত কাজ। আমি এখানে দাঁড়িয়ে বলতে চাই, যে কোনো দুর্নীতি-অনিয়মে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিচ্ছি। কোনো অন্যায় কাজ নিজে করব না, অন্যকেও করতে দেব না। গত তিন বার সংসদ সদস্য ছিলাম। একটি কলমও আমাকে নিয়ে লেখার সুযোগ পায়নি কেউ। আমি সেভাবেই চলার চেষ্টা করেছি।

প্রশ্ন: ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে এনএসসির কর্মকর্তাদের একটা দূরত্ব রয়েই গেছে। এই দূরত্ব ঘোচানোর ব্যাপারে আপনি কি উদ্যোগ নেবেন?

উত্তর: আমি কাজ করার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়, এনএসসি, ফেডারেশনের সবার পরামর্শ নেব। আমি কথা দিচ্ছি সব দূরত্ব ঘুচিয়ে সবাইকে নিয়ে কাজ করব।

প্রশ্ন: গত দশ বছর ধরে এক অর্থে ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গেই রয়েছেন। এই দশ বছরে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন নিয়েই আপনার মূল্যায়ন কি? আগামী এক বছরে আপনার পরিকল্পনা জানাবেন?

উত্তর: গত দশ বছরে খেলাধুলা অনেক এগিয়েছে। আর আগামী এক বছরে আমার পরিকল্পনা হচ্ছে—যে কটি ফেডারেশনে আন্তর্জাতিকভাবে পদক আনা সম্ভব সেগুলো বাছাই করে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে প্রশিক্ষণ দিতে চাই। প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। যতই প্রতিভা নিয়ে আসি না কেন, প্রশিক্ষণ না দিলে ঝরে যাবে।

প্রশ্ন: রক্ষণাবেক্ষণের চেয়ে নতুন অবকাঠামো তৈরিতেই ঝোঁক বেশি এনএসসির। এ ব্যাপারে আপনি নিশ্চয় নতুন কিছু ভাবছেন?

উত্তর: এটা সত্যি যে কোনো খেলার উন্নতির জন্য অবকাঠামোর উন্নয়ন প্রয়োজন। যেগুলো বর্তমানে আছে সেগুলো খেলার উপযোগী করে তুলতে হবে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সহ অন্যান্য অবকাঠামোগুলো দেখে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেগুলো ঠিক করব।