বাংলাদেশের ফুটবলে মিলিয়ন ডলারের পৃষ্ঠপোষক

প্রিমিয়ার লিগের জন্য ৫ বছরে বাফুফে পাচ্ছে ৪০ কোটি টাকা। ফাইল ছবি
প্রিমিয়ার লিগের জন্য ৫ বছরে বাফুফে পাচ্ছে ৪০ কোটি টাকা। ফাইল ছবি
>লন্ডন ভিত্তিক পৃষ্ঠপোষক এমপি অ্যান্ড সিলভাকে নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল, এখন আর তা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। ফলে ঘরোয়া ফুটবলের জন্য বছরে আট কোটি টাকা বা এক মিলিয়ন ডলার পাবে বাফুফে এবং চুক্তিটা পাঁচ বছরের।

পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে দুশ্চিন্তা কেটে গিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। নতুন বড় পৃষ্ঠপোষক এমপি অ্যান্ড সিলভাকে নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল, এখন আর তা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। ফলে ঘরোয়া ফুটবলের জন্য বছরে আট কোটি টাকা বা এক মিলিয়ন ডলার পাবে বাফুফে এবং চুক্তিটা পাঁচ বছরের। 

গত বছর ঘরোয়া ফুটবলের জন্য স্পনসর হিসেবে এমপি অ্যান্ড সিলভা নামের লন্ডনভিত্তিক একটি স্পোর্টস এজেন্টের সঙ্গে চুক্তি হয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। চুক্তি অনুযায়ী ঘরোয়া ফুটবলের সিনিয়র পর্যায়ের লিগ ও বিভিন্ন টুর্নামেন্ট হবে এ প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায়। প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাফুফের চুক্তি হয় ৫ বছরের। প্রতি বছর প্রতিষ্ঠানটি বাফুফেকে দেবে ৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৫ বছরের টাকার পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা।
কিন্তু এই পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান নিয়ে বেশ বিপাকেই পড়ে গিয়েছিল দেশের ফুটবল সংস্থা। গুঞ্জন উঠেছিল পূর্বে চুক্তি ভঙ্গ করায় ফিফার তালিকাভুক্ত হয়ে আছে লন্ডন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি। ফলে তাঁদের নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যায় বাফুফে। ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপ তো তাঁদের ছাড়াই শেষ করতে হয়েছে। কিন্তু আসন্ন প্রিমিয়ার লিগের আগে সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে বলে জানালেন সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, ‘এমপি অ্যান্ড সিলভা ফিফার কালো তালিকাভুক্ত, খবরটির কোনো ভিত্তি নেই। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে বাৎসরিক এক মিলিয়ন ডলারের দুই কিস্তি ইতিমধ্যে আমরা পেয়েও গিয়েছি। লিগের আগে আরও এক লাখ ডলার বা দেড় লাখ ডলার পাব। তাহলে চুক্তির ৬০ ভাগ পূরণ হয়ে যাবে।’
এমপি অ্যান্ড সিলভার আগে সাইফ পাওয়ারটেকের সঙ্গে ছিল বাফুফের চুক্তি। তাঁদের অর্থায়নেই মাঠে এক মৌসুম মাঠে ছিল প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ফুটবল। কিন্তু বিনা নোটিশে সেই চুক্তি ভেঙে দেয় বাফুফে। এ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি।