রাজশাহীকে জেতালেন দুই 'ম'

মিরাজ ও মুমিনুলের ব্যাট জিতেছে রাজশাহী। ছবি: প্রথম আলো
মিরাজ ও মুমিনুলের ব্যাট জিতেছে রাজশাহী। ছবি: প্রথম আলো
>বিপিএলে আজ দিনের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইটানসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী কিংস

তকমাটা নতুন নয়। বেশ পুরোনো। মুমিনুল হক মানেই ‘টেস্ট ব্যাটসম্যান’। অনেকে আগ বাড়িয়ে বলেও ফেলেন টি-টোয়েন্টিতে অচল। সচল না অচল—সেই প্রশ্নের জবাব তোলা রইল সময়ের হাতে। মুমিনুল আপাতত বুঝিয়ে দিলেন টি-টোয়েন্টিতেও তাঁর ব্যাট দায়িত্ব নিতে জানে।

রাজশাহীর লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১১৭ রান তুলেছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তাড়া করতে নেমে রাজশাহী জিতেছে ৭ বল হাতে রেখে। তবে শুরুতেই পথচ্যূত হওয়ার শঙ্কা ছিল রাজশাহীর। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরেছেন মুমিনুলের ওপেনিং সতীর্থ মোহাম্মদ হাফিজ। তাইজুল ইসলামের বলে ক্যাচ দেন এই পাকিস্তানি। এরপর দুই ‘ম’—মুমিনুল ও মিরাজ মিলে ধীরে ধীরে খুলনাকে ছিটকে ফেলেছেন ম্যাচ থেকে।

দ্বিতীয় উইকেটে ৭৮ বলে ৮৯ রানের জুটি গড়েছেন মুমিনুল ও মিরাজ। তাঁদের এই জুটিতে ভর করেই মূলত জিতেছে রাজশাহী। টি-টোয়েন্টির প্রথাগত চার-ছক্কা মারার ব্যাটিং না করে দুজনে দেখেশুনে খেলে দলকে এনে দিয়েছেন জয়ের সুবাস। ১৫তম ওভারে মুমিনুল আউট হওয়ার পর জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন বাকিরা। তার আগে চার চারে ৪৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন মুমিনুল। স্টার্লিংকে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে মুমিনুল যখন আউট হন ততক্ষণে জয়ের সুবাস পাচ্ছে রাজশাহী। জয় থেকে দলটি তখন ৩৪ বলে মাত্র ১৮ রানের দূরত্ব।

আগের ম্যাচে মাত্র ৮ রান করেছিলেন মুমিনুল। রানক্ষুধাটা তাই ছিল। আজ শুরু থেকেই ধীর-স্থির ব্যাটিং করেছেন তিনি। লক্ষ্যটা কম থাকায় মুমিনুলের মতো কোনো ঝুঁকি নেননি মিরাজও। রাজশাহী অধিনায়ক খেলেছেন অধিনায়কোচিত ইনিংস—৪৫ বলে ৫১ রান। ১ ছক্কা আর ৬ চারে সাজানো ইনিংস। শেষ করে আসতে পারলে মিরাজ নিশ্চিতভাবেই আরও বাহবা পেতেন। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে মিরাজ আউট হওয়ার সময় ১৭ বলে ৯ রান দরকার ছিল রাজশাহীর। সৌম্য সরকার (১১*) আর লরি ইভান্স (১*) মিলে জয়ের বাকি কাজটুকু সেরেছেন। ম্যাড়ম্যাড়ে এই ম্যাচে ৭ উইকেটে জয়ের পাশাপাশি মিরাজ আর মুমিনুলের ব্যাটিং-ই রাজশাহীর সেরা প্রাপ্তি।

খুলনা টাইটানস এ নিয়ে তিন ম্যাচেই হারল। আজ মোট আট বোলার ব্যবহার করেও রাজশাহীর ব্যাটিংয়ে চিড় ধরাতে পারেননি খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। দুই ম্যাচ খেলা রাজশাহীর এটি প্রথম জয়।