থুরাম-পুত্রের কাছে নেইমারের হার!

গোল করেও ম্যাচশেষে হতাশায় ডুবেছেন নেইমার। ছবি: এএফপি
গোল করেও ম্যাচশেষে হতাশায় ডুবেছেন নেইমার। ছবি: এএফপি
>গত রাতে ফ্রান্সের দ্বিতীয় বিভাগের দল গুইনগাম্পের কাছে হেরে ফরাসি লিগ কাপ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে বিদায় নিয়েছে পরাশক্তি পিএসজি।

গত পাঁচ বছরে ফরাসি লিগ কাপ, ফরাসি এফএ কাপ— এসব ট্রফিগুলো যে অন্য কোনো ক্লাব জিততে পারে, সেটি যেন ভুলিয়েই দিয়েছিল পিএসজি। নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে, এডিনসন কাভানি, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের মতো তারকাদের কাঁধে চড়ে শেষ পাঁচটা ফরাসি লিগ কাপ, শেষ চারটা ফরাসি এফএ কাপ গেছে পিএসজির ঘরেই। কিন্তু এবার তা আর হলো না। দ্বিতীয় বিভাগের এক অখ্যাত ক্লাব গুইনগাম্পের এর কাছে হেরেই পতন পিএসজির। লিগ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে এই গুইনগাম্পের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছেন নেইমাররা।

নেইমারদের এই প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় করে দেওয়ার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেছেন কিংবদন্তি ফরাসি ডিফেন্ডার লিলিয়ান থুরামের ছেলে, মার্কাস থুরাম। জয়সূচক গোলটা এসেছে তাঁর পা থেকেই।
নেইমার, এমবাপ্পে, ড্রাক্সলার, ডি মারিয়া, মার্কুইনহোস, থিয়াগো সিলভা, টমাস মিউনিয়েরের মতো খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া শক্তিশালী এক একাদশ নিয়েই গত রাতে নেমেছিল পিএসজি। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর ম্যাচের ৫৯ মিনিটে বেলজিয়ান রাইট উইংব্যাক থমাস মিউনিয়েরের অপ্রয়োজনীয় এক ফাউলে পেনাল্টি পেয়ে যায় গুইনগাম্প। থুরামের ছেলে মার্কাস অবশ্য সেই পেনাল্টিতে গোল করতে ব্যর্থ হন। ৬২ মিনিটে নেইমারের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। মিউনিয়েরের মাপা ক্রস থেকেই গোলটি করেন ব্রাজিলীয় তারকা।
কিন্তু নেইমার কি জানতেন, নাটকের তখনো অনেকটুকুই বাকি?
৭৭ মিনিটে ফরাসি মিডফিল্ডার মার্কাস কোকোকে খারাপভাবে ফাউল করে গুইনগাম্পকে ম্যাচের দ্বিতীয় পেনাল্টিটি উপহার দেন স্প্যানিশ লেফটব্যাক হুয়ান বার্নাত। কঙ্গোর স্ট্রাইকার ইয়েনি এনগবাকোতোর গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় গুইনগাম্প। ম্যাচের একদম শেষ মিনিটে পিএসজির হয়ে পেনাল্টি দেওয়ার ‘হ্যাটট্রিক’ পূরণ করেন জার্মান সেন্টারব্যাক থিলো কেহরার। এবার গোল করতে আর ভুল করেননি থুরাম-পুত্র মার্কাস। ডিফেন্ডারদের শিশুতোষ তিনটি ভুলের কারণে গোল করেও হতাশায় পুড়লেন নেইমার।
৫ বছর পর কাপ প্রতিযোগিতায় পরাজয়ের মুখ দেখল পিএসজি। এই সময়ে ৪৯ ম্যাচ খেলে একটা ম্যাচেও হারেনি তারা। কালকে জিতলে টানা ৫০ ম্যাচ অপরাজিত থাকা হতো। কিন্তু মার্কাস যেন ভেস্তে দিলেন গোটা উপলক্ষটাই।