ক্যারিবীয় ঝড়েও দুই শ পেল না ঢাকা

>

jZf

টস জিতে আজও আগে ফিল্ডিং করবেন রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি। ছবি: প্রথম আলো
টস জিতে আজও আগে ফিল্ডিং করবেন রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি। ছবি: প্রথম আলো

বিপিএলে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১৮৩ রান তুলেছে ঢাকা ডায়নামাইটস

দুই ম্যাচে দুই জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ঢাকা ডায়নামাইটস। রংপুর রাইডার্স তিন ম্যাচে দুই জয়ে তালিকায় দ্বিতীয়। নেট রান রেটে ঢাকার চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও জিতলে ঢাকাকে হটিয়ে শীর্ষে উঠবে রংপুর। বিপিএলে আজ দিনের প্রথম ম্যাচটা তাই দুই দলের জন্যই শীর্ষস্থানের লড়াই—ঢাকার জন্য শীর্ষস্থান ধরে রাখার আর রংপুরের জন্য শীর্ষস্থান দখলের। সেই লড়াইয়ে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১৮৩ রান তুলেছে ঢাকা। ২৬ বলে ৬২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন পোলার্ড।

ঢাকা ডায়নামাইটসের আগের দুটি ম্যাচেই সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন হজরতউল্লাহ জাজাই। আফগান এই ওপেনারের মারকুটে ব্যাটিংয়ে দুটি ম্যাচেই ১৮০-র ওপরে রান তুলেছে ঢাকা। জাজাইকে আজ দ্বিতীয় ওভারেই ফিরিয়ে রংপুর রাইডার্স স্বস্তি পেলেও সেটি ছিল ক্ষণিকের জন্য। আজ অবশ্য ইনিংসের শুরুতে কিছুটা চাপে পড়েছিল ঢাকা। চার ওভার শেষে দলটির স্কোর ৩ উইকেটে ৩৩। দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ ওভারের মধ্যেই ঢাকার টপ অর্ডারকে ফেরার পথ দেখিয়ে দেন মাশরাফি ও সোহাগ গাজী। তৃতীয় ওভারে সুনীল নারাইনকে রবি বোপারার তালুবন্দী করেন রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি। পরের ওভারে রনি তালুকদারকে গাজী ফেরালেও উইকেটটি আসলে বেনি হাওয়ালের। এই ইংলিশ অলরাউন্ডার মিড অফ অঞ্চলে উল্টো দিকে দৌড়ে কি দুর্দান্ত ক্যাচই না ধরলেন!

ঢাকাকে এভাবে চেপে ধরার পর বাঁধনটা আলগা হয়েছে পোলার্ডের তাণ্ডবে। সাকিব চারে নেমে এক প্রান্তে ব্যাটিং করেছেন নিজের মতো করে। বাজে বল পেলে সীমানাছাড়া করতে কুণ্ঠা করেননি ঢাকা অধিনায়ক। ভালো কিছু স্ট্রোকে আশা দেখানো মিজানুর রহমান মাত্র ১৫ রানে আউট হওয়ার পর পোলার্ডের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সাকিব। রংপুরের বোলাররা এরপর আর হালে পানি পায়নি।

নবম ওভারে পোলার্ডের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সাকিব। ঢাকার স্কোর তখন ৮.২ ওভারে ৪ উইকেটে ৬৪। এখান থেকে দারুণ এক জুটিতে রংপুরের বোলারদের ভুগিয়েছেন দুজন। সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ছিলেন পোলার্ড। এই ক্যারিবিয়ান যখন উইকেটে আসেন সাকিবের স্কোর ১৮ বলে ১৬। এরপর ১৪তম ওভারে সাকিবের স্কোর যখন ৩১ বলে ২৬, পোলার্ড তখন ২১ বলে ৫০! এই পথে ৩ ছক্কা আর ৪ চারে শুধু বাউন্ডারি থেকেই নিয়েছেন ৩৪ রান।

বোঝাই যাচ্ছিল, বোলারদের জন্য সামনে আরও দুর্গতি অপেক্ষা করছে। পরের ওভারেই এক ছক্কা আর দুটি চার মেরে হিসেবটা বাস্তবায়নের পথেই ছিলেন পোলার্ড। কিন্তু ১৬তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মারার ডেলিভারিটি পোলার্ড কীভাবে মেহেদী মারুফের হাতে তুলে দিলেন সেটি গবেষণার বিষয়। সম্ভবত টাইমিংয়ে গড়বড় হয়েছে। তার আগে সাকিবের সঙ্গে গড়েছেন ৪১ বলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত এক জুটি।

পোলার্ড আউট হওয়ার পর বাকি ২৯ বলে ৪১ রান তুলেছে ঢাকা। আরেক ক্যারিবীয় দানব আন্দ্রে রাসেলকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসটা শেষ করে আসতে পারতেন সাকিব। ১৭তম ওভারে ফরহাদ রেজাকে রাসেল টানা দুটি ছক্কা মারার পর সাকিবের বোধ হয় ইচ্ছা হয়েছিল ছক্কা মারার। অনেকটা সুইপের আদলে তা করতে গিয়ে আউট হয়েছেন ৩৭ বলে ৩৬ রান করে। ১৩ বলে ২৩ রান করে শেষ ওভারে আউট হন পোলার্ড। শেষ ওভারে ৩ উইকেট নেন রংপুরের পেসার শফিউল।