যেসব 'ব্যাধি'ভোগাচ্ছে বার্সেলোনাকে

ছবি - টুইটার
ছবি - টুইটার
লিগ বা চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো প্রতিযোগিতায় বার্সেলোনা এই মৌসুমে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দের অধীনে বৈশ্বিক পরাশক্তিদের মধ্যে শক্তির দিক দিয়ে বার্সেলোনা ঠিক কতটুকু সমীহ জাগাতে পারছে?


শিরোনাম পড়ে যে কোনো বার্সেলোনা সমর্থক হা-রে রে-রে রে-রে করে তেড়ে আসতে পারেন। আসাটা যে অস্বাভাবিক তা নয়। মৌসুমে ১৮ ম্যাচ শেষে লিগ পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে ৫ পয়েন্টের অগ্রগামিতা ধরে রাখা দল, এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে দোর্দণ্ড প্রতাপে দ্বিতীয় রাউন্ডেও উঠেছে— এমন দলের সমস্যা কীভাবে থাকতে পারে?

আপাতদৃষ্টিতে সমস্যা নেই। কিন্তু যারা বার্সেলোনার খেলা দীর্ঘদিন ধরে অনুসরণ করছেন, তারা কি বার্সেলোনার খেলার ধরন, সবকিছু মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় ক্লাবের সাফল্যের পরিমাণ, ক্লাবের কর্তাব্যক্তি ও কোচের কাজকর্মে বিশেষ সন্তুষ্ট? মনে হয় না। গত রাতে কোপা দেল রে ম্যাচে মেসিহীন বার্সেলোনা লেভান্তের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে, যার ফলে ক্লাবের মধ্যকার খুঁটিনাটি সমস্যাগুলো যেন আরেকটু প্রকট হয়ে চোখে পড়ছে।

রিয়াল মাদ্রিদ, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, সেভিয়া, ভ্যালেন্সিয়াদের সঙ্গে একই লিগে খেলে গত পাঁচ বছরে তিনবার লিগ শিরোপা জিতেছে বার্সা। হয়তো এবারও জিতবে। কোপা দেল রে শিরোপাও শেষ চারবার বার্সার ঘরেই গিয়েছে। কিন্তু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ যেখানে গত পাঁচ বছরে চার-চারবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরেছে, গত তিন বছর টানা শিরোপা জিতে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের কৃতিত্ব গড়েছে, সেখানে বার্সেলোনা বেশ ম্রিয়মাণ।

লিগ ও কাপ প্রতিযোগিতায় রিয়ালকে টপকে বার্সেলোনা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়মিত প্রমাণ করলেও, চ্যাম্পিয়নস লিগে এসেই যেন থেমে যাচ্ছে মেসিদের জয়রথ। ইউরোপীয় কিংবা বৈশ্বিক আসরে রামোস-মদরিচদের হুংকারের জবাবে মেসি-সুয়ারেজরা যেন নিশ্চুপ। এমনকি গত পাঁচ বছর ইউরোপীয় ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় নিজেদের ক্লাবকে ব্যর্থ ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সফল দেখে অনেক বার্সা সমর্থক, সাবেক খেলোয়াড়, কর্তাব্যক্তিরা এখন চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়কেই মোক্ষধাম মানছেন। কিন্তু গত কয়েক মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনার ধারাবাহিক ব্যর্থতা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের যেন আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দিচ্ছে। এখনো মূল একাদশে মেসি-বুসকেটস না থাকলে বার্সেলোনাকে চরমভাবে ভুগতে হয়। 

চ্যাম্পিয়নস লিগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল একের পর এক সাফল্য পেলেও, বার্সার হাত খালিই থেকে যাচ্ছে (ছবি - রয়টার্স)
চ্যাম্পিয়নস লিগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল একের পর এক সাফল্য পেলেও, বার্সার হাত খালিই থেকে যাচ্ছে (ছবি - রয়টার্স)

এসবের পিছে কোনো সমস্যাগুলো মূল ভূমিকা পালন করছে? আসুন একটু দেখে নেওয়া যাক।

কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দের কৌশলগত ভুল
ভালভার্দে দেশীয় লিগে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব কায়েম করতে পারলেও দেশের বাইরে গিয়ে অপেক্ষাকৃত অধিক প্রজ্ঞাবান কোচের কাছে কৌশলের লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছেন। এমনিতেই রক্ষণাত্মক ও ফলাফল-নির্ভর কোচ হিসেবে পরিচিত ভালভার্দে নিজের এই কৌশল নিয়ে লিগে সফল হলেও ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হচ্ছেন বারবার। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের কথাই ধরুন। রোমার বিপক্ষে প্রথম লেগে নিজেদের মাটিতে ৪-১ গোলে এগিয়ে থেকেও দ্বিতীয় লেগে চরম রক্ষণাত্মক কৌশলের খেসারত দিয়েছেন ৩-০ গোলে হেরে। বহু যুদ্ধের পুরোনো যোদ্ধা, ফর্ম হারানো বুড়ো ইনিয়েস্তার ওপরে ভরসা রেখে টগবগে তরুণ ওউসমানে দেম্বেলেকে বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিলেন তিনি। ইনিয়েস্তা ভুলে যাওয়ার মত এক ম্যাচ খেলেছিলেন সেদিন, যেখানে ৮৫ মিনিটের পর কিছুক্ষণের জন্য মাঠে নেমে দেম্বেলে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শুরু থেকে নামলে লজ্জাজনকভাবে বার্সাকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হতো না।

এভাবে নতুন খেলোয়াড়দের নিয়মিত সুযোগ না দিয়ে সেই পুরনোদেরকেই ঘুরেফিরে ব্যবহার করার একটা প্রবণতা ভালভার্দের আছে। বার্সেলোনা থেকে যখন দানি আলভেস চলে গেলেন, রাইটব্যাক-সংকটে থাকা বার্সা তখন মিডফিল্ডার সার্জি রবার্তোকে সে জায়গায় খেলিয়ে কিছুদিন কাজ চালাল। কিন্তু একজন মিডফিল্ডারকে নিয়মিত রাইটব্যাক হিসেবে খেলিয়ে আর কতই বা সফলতা অর্জন করা যায়? পরের মৌসুমে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকা থেকে প্রতিভাবান রাইটব্যাক নেলসন সেমেদোকে আনলেও তাকে বেশি সুযোগ দেননি ভালভার্দে। সেই রবার্তোকেই খেলিয়ে গেছেন। ওদিকে রবার্তো নিজের স্বাভাবিক পজিশন মিডফিল্ডে যে কয়বার খেলেছেন, চোখ জুড়িয়েছেন। তবুও ভালভার্দে সেমেদোকে নিয়মিত রাইটব্যাকে আর রবার্তোকে নিয়মিত মিডফিল্ডে খেলিয়ে তাঁদের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করেননি। ফুটবলের পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট WhoScored এর দেওয়া তথ্যমতে, গত এক বছরে রবার্তো যখনই রাইটব্যাক হিসেবে মূল একাদশে খেলেছেন, ১৮.২% ম্যাচ হেরেছে বার্সেলোনা। যেখানে সেমেদো দলে থাকলে বার্সা কোনো ম্যাচই হারেনি! এমনকি এখনো সেমেদো বার্সেলোনার মূল রাইটব্যাক নন। ফলে মাঝে মাঝেই ফর্ম হারাচ্ছেন তিনি, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের ওপর কোচ যদি আস্থা না রাখেন, যদি নিয়মিত না খেলান, তবে সেই খেলোয়াড়ের কেমন ক্ষতি হতে পারে!

বার্তোমেউর প্রেসিডেন্সিতেও অসন্তুষ্ট অনেকে (ছবি - টুইটার)
বার্তোমেউর প্রেসিডেন্সিতেও অসন্তুষ্ট অনেকে (ছবি - টুইটার)

যেমনটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন কুতিনহো আর রাকিতিচ। কুতিনহোকে ১৪২ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে কিনে এখন বেঞ্চে বসিয়ে রাখছেন ভালভার্দে। যেখানে রাকিতিচ একের পর এক ম্যাচ জঘন্য খেলেও বার্সার মূল একাদশে টিকে যাচ্ছেন বারবার। মিডফিল্ডের ডানদিকে খেলা রাকিতিচ অধিক খেলার ফলে ক্লান্ত হয়ে প্রায় সময়েই রাইট উইংয়ে থাকা মেসিকে বলের জোগান দিতে পারেন না, ফলে মেসিকে প্রায় সময়েই নিচে নেমে এসে আক্রমণের সূচনা করতে হয়, যে সমস্যাটা জাভির আমলে ছিল না। রাকিতিচ আজকাল সামনে পাস দিতেও যেন দশবার ভাবেন। ওদিকে না খেলতে খেলতে, কোচের আস্থা না পেয়ে কুতিনহোর ফর্মেও মরচে পড়ে গেছে।

লা মাসিয়ার প্রতি আস্থা না রাখতে পারা
বার্সেলোনা ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম সময় পার করেছে কোচ পেপ গার্দিওলার অধীনে। আর গার্দিওলা সাফল্য পেয়েছিলেন, কারণ নিজেদের একাডেমি ‘লা মাসিয়া’ থেকে আসা খেলোয়াড়দের ওপর তাঁর অগাধ আস্থা ছিল। হিসাব করে দেখুন—লিওনেল মেসি, জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, সার্জিও বুসকেটস, কার্লেস পুয়োল, জেরার্ড পিকে, ভিক্টর ভালদেস, পেদ্রো রদ্রিগেজ —প্রত্যেকেই বার্সার জন্য অপরিহার্য ছিলেন, আর প্রত্যেকেই এসেছিলেন লা মাসিয়া থেকে। এরা ছাড়াও জেফরেন সুয়ারেজ, বোজান কিরকিচ, থিয়াগো আলকান্ত্রা, জেরার্ড ডেলেফেউ, হোসে পিন্টো, সেস ফাব্রিগাস, আন্দ্রে ফন্টাস, মার্ক মুনিয়েসা—লা মাসিয়ার এসব খেলোয়াড়েরাও বার্সেলোনাকে বিশ্বজয়ী হতে সাহায্য করেছিলেন সেই সময়ে।

এখন ভালভার্দের অধীনে বার্সা স্কোয়াডে তাকিয়ে দেখুন। লা মাসিয়ার কজন খেলোয়াড় বার্সেলোনার মূল একাদশে খেলেন? পিকে, মেসি, বুসকেটস আর আলবা ছাড়া কেউ নেই। আলবা ছাড়া তাঁরা প্রত্যেকেই গার্দিওলার আমলের পরীক্ষিত যোদ্ধা। অর্থাৎ নিজে থেকে লা মাসিয়ার নতুন কোন গ্র্যাজুয়েটকে মূল একাদশে নিয়মিত করার কোনো চেষ্টা করছেন না ভালভার্দে, চেষ্টা করছে না বার্সেলোনাও। সার্জি স্যাম্পার, সার্জি রবার্তো, ডেনিস সুয়ারেজ, রাফিনহা আলকান্ত্রার মতো খেলোয়াড়রা সুযোগের অভাবে বার্সার জার্সি গায়ে ঝলক দেখাতে পারছেন না।

কার্লেস অ্যালেনা, রিকি পুইগের মতো ভবিষ্যৎ তারকাদের ভাগ্যও যে ডেনিস, স্যাম্পারদের মতো হচ্ছে না, সেটি বলা যাচ্ছে না। ফলে লাভবান হচ্ছে অন্যান্য ক্লাবগুলো। এক মৌসুমে ধারে ইন্টার মিলানে খেলে রাফিনহা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর যোগ্যতা, ডেনিস সুয়ারেজকে পেতে মরিয়া আর্সেনাল কোচ উনাই এমেরি। আর্সেনালের সাবেক কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার তো স্যাম্পারকে পাওয়ার অনেক চেষ্টা করে গেছেন। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড বা রিয়াল বেতিসের মতো ক্লাবে গিয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন বার্ত্রা। ফ্যাব্রিগাস তো চেলসিতে গিয়ে লিগই জিতেছেন। ওদিকে বায়ার্নের মিডফিল্ডের অন্যতম প্রধান অস্ত্র থিয়াগো। এই মৌসুমে এইবারে গিয়ে দুর্দান্ত খেলে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়েছেন লেফটব্যাক মার্ক কুকুরেল্লা। বেনফিকায় গিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আরেক লেফটব্যাক গ্রিমালদো। চেলসি, সাউদাম্পটনের মত ক্লাবে গিয়ে ঝলক দেখাচ্ছেন ওরিওল রোমেউ। তাদের সুযোগ না দিয়ে পরীক্ষিত খেলোয়াড় কেনার প্রতিই যেন ঝোঁক বার্সেলোনার। রাকিতিচ, ভিদাল, সেমেদো, আন্দ্রে গোমেস, আর্দা তুরান, পাওলিনহো, আর্থুর মেলো, কুতিনহো —সবাই এভাবেই বার্সেলোনায় এসেছেন, পরীক্ষিত খেলোয়াড় হিসেবে। 

দলবদলের বাজারে পরিকল্পনাহীনতা
দলবদলের বাজারেও বার্সেলোনার সিদ্ধান্তহীনতা চোখে পড়ার মত। লুস সুয়ারেজ এখন আর সেই আগের ফর্মে নেই। সুয়ারেজ নিজেও বলেছেন ক্লাব যেন তাঁর বিকল্প স্ট্রাইকার খোঁজা শুরু করে। কিন্তু বার্সেলোনা কি আদৌ কোনো স্ট্রাইকারকে দলে আনতে চাচ্ছে? দলবদলের বাজারের হাল-হকিকতের দিকে যারা নজর রাখেন, তারা বলতে পারবেন, স্ট্রাইকার না কিনে একের পর এক মিডফিল্ডার কেনার দিকেই বার্সেলোনার নজর বেশি। জাভি-ইনিয়েস্তা অবসর নেওয়ার পর সেই যে তাদের উত্তরসূরি কেনার প্রকল্প শুরু হয়েছে তার শেষ দেখা যাচ্ছে না। অ্যালেনা, পুইগ, ডেনিস সুয়ারেজ, স্যাম্পারদের মত প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও বার্সেলোনা একে একে ভিদাল, আর্থুর, কুতিনহো, তুরান, পাওলিনহো, গোমেস, ম্যালকম প্রমুখ প্রতিভাকে দলে এনেছে। এদের মধ্যে কেউ সফল হয়েছেন, কেউ ব্যর্থ। শোনা যাচ্ছে, আসছে গ্রীষ্মে দলে আসছেন ফরাসি মিডফিল্ডার আদ্রিয়েন রাবিওত ও ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডে ইয়ং। স্ট্রাইকার না কিনে দলে প্রতিভাবান মিডফিল্ডার থাকা সত্ত্বেও এভাবে অপরিকল্পিতভাবে একের পর এক মিডফিল্ডার আনার কি যৌক্তিকতা, সেটা আপাতত বোঝা যাচ্ছে না। ওদিকে চেলসির ফ্লপ 

ডেনিস সুয়ারেজের মতো ‘লা মাসিয়া’ এর প্রতিভারা নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছে না বার্সায় (ছবি - টুইটার)
ডেনিস সুয়ারেজের মতো ‘লা মাসিয়া’ এর প্রতিভারা নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছে না বার্সায় (ছবি - টুইটার)

উইঙ্গার উইলিয়ানকে কেনার জন্য পাগল হয়ে গেছে তারা, উইলিয়ান আসলে বার্সার ঠিক কোনদিক দিয়ে লাভ হয়, সেটিও বোঝা যাচ্ছে না।

প্রেসিডেন্ট বার্তোমেউ ও তার কাজকর্ম
আগের তিনটি পয়েন্টের কারণে বার্সেলোনার বর্তমান সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের ওপরে যে সমর্থকেরা বিশেষ খুশি, তা কিন্তু নয়। পিএসজি, ম্যানচেস্টার সিটি, রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসির মত দলবদলের বাজারে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ খরচ না করে নিজেদের আঁতুড় ঘর লা মাসিয়ার প্রতি ভরসা রাখার ফলে যে একটা পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি ছিল বার্সেলোনার, বার্তোমেউর অধীনে তা এখন নেই বললেই চলে। বার্সাও এখন পূর্বোল্লিখিত ক্লাবগুলোর মতো অর্থের ঝনঝনানিতে বিশ্বাস রাখছে। দানি আলভেসের মতো খেলোয়াড়রা বার্সা ছাড়ার পর বার্তোমেউ নিয়ে ইতিবাচক কোন কথা বলেননি। ফলে আরও খেপেছেন বার্সা সমর্থকেরা। 

মেসি-বুসকেটসদেরও বেশি দিন নেই আর। বার্সেলোনা যদি এখন থেকে মেসি-পরবর্তী যুগের জন্য প্রস্তুতি না নিতে থাকে, চ্যাম্পিয়নস লিগের পাশাপাশি ঘরোয়া লিগের আধিপত্যও যে তারা আস্তে আস্তে হারাবে না, সেটা বলা যায় না কিন্তু!