পেসারদের টেস্ট জিততে পাকিস্তানের দরকার ২২৮ রান

অলিভিয়েরের তোপে কাঁপছে পাকিস্তান। ছবি:এএফপি
অলিভিয়েরের তোপে কাঁপছে পাকিস্তান। ছবি:এএফপি
>

দুই দলের পেসারদের দৌরাত্ম্যে চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান টেস্টে খাবি খাচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা। টেস্টের এখনো দুই দিন বাকি থাকলেও দুই দলের তিন ইনিংসই শেষ হয়ে গিয়েছে। শেষ দুই দিনে জোহানেসবার্গ টেস্ট জিততে পাকিস্তানের লাগবে আরও ২২৮ রান।

জোহানেসবার্গ টেস্টটাকে দুই দলের পেসাররা নিজেদের করে নিয়েছেন। পেসবান্ধব উইকেট পেয়ে এদিকে পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আব্বাস, হাসান আলী, ফাহিম আশরাফ আর ওদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ভারনন ফিল্যান্ডার, কাগিসো রাবাদা আর ডুয়ানে অলিভিয়েরের মতো বোলাররা ঝলসে উঠেছেন। তিন দিনে দুই দলের তিন ইনিংস শেষ হয়ে যাওয়ার পর এখন নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে পাকিস্তান। এই টেস্ট জেতার জন্য শেষ দুই দিনে তাদের লাগবে আরও ২২৮ রান।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৫৩ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছে পাকিস্তান। ক্রিজে আছেন আসাদ শফিক ও বাবর আজম। অলিভিয়ের, স্টেইন, রাবাদা ও ফিল্যান্ডাররা প্রথম ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও যাতে তাদের জেঁকে ধরতে না পারেন, সে কারণেই শফিক পালটা আক্রমণ করা শুরু করেছেন। ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিং করে ৪৭ বলে ৮টা চার মেরে ৪৮ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। সঙ্গী বাবরও ২১ বলে ৪টা চার মেরে ১৭ রানে অপরাজিত আছেন।

এর আগে পাকিস্তান টপ অর্ডারের তিনজন ব্যাটসম্যান—ইমাম উল হক, শান মাসুদ ও আজহার আলী স্টেইন-অলিভিয়েরের তোপে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে কোনো উইকেট না পাওয়া স্টেইন এবার প্রথম থেকেই ক্ষুরধার, তুলে নিয়েছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে। ওদিকে প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেটে নিয়ে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেওয়া অলিভিয়ের নিয়েছেন আজহার আলীর উইকেট।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৬২ রানের অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের চার পেসার আমির, আব্বাস, হাসান ও আশরাফের তোপে এক ওপেনার এইডেন মার্করাম ছাড়া কেউই তেমন লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি। তিন ব্যাটসম্যান অর্ধশতকের সুবাস পেতে না পেতেই আউট হয়েছেন—হাশিম আমলা (৪১), থিওনিস ডি ব্রুইন (৪৯) ও জুবাইর হামজা (৪১)। আমির, আব্বাস আর হাসান ভাগাভাগি করে ছয় উইকেট নিয়েছেন, আর আশরাফ পেয়েছেন তিন উইকেট।

পাকিস্তানের পেসারদের দেখেই কি না, অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ‘পেস কোয়ার্ট্রেট’, বিশেষত অলিভিয়ের। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ১৮৫ রানে থামিয়ে দেওয়ার পেছনে তাঁর অবদানই সবচেয়ে বেশি। অলিভিয়েরের ৫ উইকেটের পাশাপাশি রাবাদা দুটি ও ফিল্যান্ডার তিনটি উইকেট তুলে নেন। ইনিংসের মাঝপথে পাকিস্তানি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ (৪০ বলে ৫০) আর বাবর আজম (৫৫ বলে ৪৯) ঝড় তুলেছিলেন বলেই পাকিস্তানের স্কোরটা একটু ভদ্রস্থ রূপ পেয়েছে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি ককের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি আর আমলার ৭১ রানের ওপর ভর করে ৩০৩ রান তোলে প্রোটিয়ারা। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৮১ রানে। এখন দেখার বিষয় প্রোটিয়াদের পেস আক্রমণ সামলে পাকিস্তানিরা এই টেস্টটা নিজেদের করে নিতে পারে কি না।