সিরিজ বাঁচাতে ভারতের লক্ষ্য ২৯৯

দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন মার্শ। ছবি: এএফপি
দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন মার্শ। ছবি: এএফপি

আগের ম্যাচেই ফিফটি করেছিলেন। ওপেনারদের ব্যর্থতার দিনে শন মার্শের সে ইনিংস গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল সিরিজের প্রথম ম্যাচে। সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ দলের দুই ওপেনার। সে দলে আজ যোগ দিয়েছেন উসমান খাজাও। তাই আজ আর ফিফটিও নয়, একেবারে সেঞ্চুরিই করলেন মার্শ ভাইদের বড়জন। দুর্দান্ত ১৩১ রানের ইনিংসে ভারতের সিরিজ বাঁচানোর কাজটা কঠিন করে দিলেন। এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হার আটকাতে চাইলে ভারতকে আজ অ্যাডিলেডে করতে হবে ২৯৯ রান।

দুই অধিনায়কই বলেছেন টসে জিতে ব্যাটিং করতে চান তারা। ড্রপ ইন উইকেটে ব্যাট করতে চাওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দাঁড় করতে পারেননি। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ভুবনেশ্বর কুমারের ইন সুইঙ্গারে বোল্ড হয়েছেন। ১৯ বলে ৬ রান তোলা অধিনায়কের পিছু পিছু ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন অ্যালেক্স ক্যারিও। অষ্টম ওভারে মাত্র ২৬ রানে দুই ওপেনার হারায় অস্ট্রেলিয়া। উইকেটে আসেন মার্শ।

উসমান খাজাই ছন্দে ছিলেন, সে তুলনায় মার্শ খেলছিলেন দেখেশুনে। তবু ৬৫ বলে ৫৬ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিতে মার্শের অবদানই বেশি ছিল। রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত এক থ্রোতে মাত্র ২১ রানে বিদায় নেন খাজা। এর পর থেকেই গল্পটা শুধুই মার্শের। একে একে উইকেটে এসেছেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব (২০), মার্কাস স্টয়নিস (২৯) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৪৮)। সবার সঙ্গেই পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়েছেন মার্শ। দুবার জীবন পাওয়া ম্যাক্সওয়েলের জুটিটাই অস্ট্রেলিয়াকে তিন শর (২৯৮) কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছে। এর মাঝেই ৬২ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া মার্শ ১০৮ বলেই ছুঁয়ে ফেলেছেন সেঞ্চুরিও।

শেষ দিকে ভারতীয় বোলাররা দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন না ঘটালে আজ অস্ট্রেলিয়া ৩২০ রান অনায়াসে করতে পারত। ৪৭ ওভারে ২৮১ রান তোলা অস্ট্রেলিয়া পথ হারায় ভুবনেশ্বরের করা ৪৮তম ওভারে। তিন বলের মধ্যে প্রায় একই ভঙ্গিতে লং অফে ধরা পরেছেন ম্যাক্সওয়েল ও মার্শ। মার্শের ১২৩ বলের ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ৩ ছক্কা। ৫ উইকেটে ২৮৩ থেকে ৯ উইকেতে ২৮৬ রানে পরিণত হওয়া অস্ট্রেলিয়াকে শেষ ওভারে গুরুত্বপূর্ণ ১২ রান এনে দিয়েছেন লায়ন ও বেহরেনডর্ফ। শেষ তিন বলে এক চার ও এক ছক্কা মেরে অস্ট্রেলিয়া দলকে জাগিয়ে তোলার কাজটা করেছেন লায়ন।