বাংলাদেশে আসতে ভালো লাগে ডি ভিলিয়ার্সের

এবি ডি ভিলিয়ার্স। ঢাকায় পা রাখার পর। ছবি: প্রথম আলো
এবি ডি ভিলিয়ার্স। ঢাকায় পা রাখার পর। ছবি: প্রথম আলো
>

বিপিএলের প্রশংসা করলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। বাংলাদেশে খেলতে নিজের ভালো লাগার কথাও জানালেন সাবেক প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যান

দীর্ঘ দিন পরে বাংলাদেশে এসে খুব ভালো লাগছে এবি ডি ভিলিয়ার্সের। শুক্রবার সকালে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েই বললেন, ‘আমি বাংলাদেশ আসতে পছন্দ করি। অনেক দিন বাংলাদেশে আসা হয় না।’

বিপিএলের মাঝপথে রংপুর রাইডার্সে খেলতে এসেছেন ডি ভিলিয়ার্স। এমন একটা সময় এলেন যখন তাঁর দল পয়েন্ট টেবিলে বেশ বেকায়দা অবস্থানে। ছয় ম্যাচ খেলে হেরেছে চারটিতে। দলে ক্রিস গেইলের মতো টি-টোয়েন্টির মহাতারকা কিংবা অ্যালেক্স হেলসের মতো কার্যকরী ব্যাটসম্যান থাকতেও তারা কেউই নিজেদের খেলাটা খেলতে পারছেন না। বাকিরাও ফর্মে নেই। এমন একটা অবস্থায় এবি ডি ভিলিয়ার্সের অন্তর্ভুক্তি দলকে বাড়তি প্রেরণা দেবে। শক্তি জোগাবে তো বটেই। এখন দেখার পালা প্রোটিয়া তারকা নিজের সুনামের সবটুকু বাংলাদেশের বিপিএলে ঢেলে দিতে পারেন কিনা!

ভিলিয়ার্স নিজেও জানেন দলের অবস্থা, ‘আমাদের দলটি বেশ ভালো। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমরা খুব ভালো খেলতে পারিনি। তবে আশা করব আমরা এ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করেই টুর্নামেন্টটা শেষ করতে পারব।’

বিপিএলে এবার সব বড় তারকার সমাবেশ। স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারের মতো দুই অস্ট্রেলীয় তারকা বিপিএলকে অন্য উচ্চতা দিয়েছে। ক্রিস গেইল তো বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের নিয়মিত তারকাই। অ্যালেক্স হেলস খেলছেন। শোনা যাচ্ছে আসছেন জেসন রয়। ডি ভিলিয়ার্স এলেন—সব মিলিয়ে বিপিএলের এবারের আসর নিঃসন্দেহে তারকা সমাবেশে এ যাবৎ কালের সেরা।

ভিলিয়ার্স নিজেও বললেন, ‘বিপিএল প্রতি বছরই বড় হচ্ছে। গ্ল্যামার বাড়ছে।’ সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক এই টুর্নামেন্ট সম্বন্ধে অনেক ভালো ভালো কথা শুনেই নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এতে খেলার, ‘আমি বিপিএল সম্বন্ধে অনেক প্রশংসা শুনেছি। এই টুর্নামেন্ট অনেকটাই আইপিএলের মতো। সেই টুর্নামেন্টে খেলা ক্রিকেটাররা আমাকে জানিয়েছে বিপিএলের খেলার মান ভালো। প্রতি বছরই এই টুর্নামেন্টের শক্তি, মর্যাদা বাড়ছে। আমি এই টুর্নামেন্টে খেলতে পেরে খুবই খুশি।’

প্রত্যাশার চাপটা থাকছে ভিলিয়ার্সের ওপর। সবাই তাকিয়ে থাকবে তাঁর ব্যাটেই। ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছে তাঁর যেন ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগই নেই! অথচ, সাফল্য-ব্যর্থতা মিলেই তো মাঠের ক্রিকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক হয়ে যাওয়া এই তারকার ওপর অবশ্য এসব নিয়ে কোনো বাড়তি চাপ কাজ করছে না। তিনি পুরো বিষয়টাকেই দেখছেন স্বাভাবিক ব্যাপার হিসেবে, ‘প্রত্যাশা চাপ নয়, আমাকে ভালো খেলতে অনুপ্রাণিত করে। প্রত্যাশা আমাকে ঘিরে রেখেছিল গোটা ক্যারিয়ারই। সুতরাং বিষয়টি আমার কাছে মোটেও নতুন কিছু নয়। ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের ওঠা-নামা থাকবেই। প্রতি ম্যাচেই আপনি ভালো খেলবেন না। এ ব্যাপার আমি খুবই বাস্তববাদী। আমি নিজের ওপর খুব বেশি প্রত্যাশার চাপ সে কারণেই দিই না। তবে আমি সব সময়ই বিধ্বংসী কিছু করতে চাই।’

রংপুরের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে ডেভিড ওয়ার্নারের হঠাৎ করেই ‘ডানহাতি’ ব্যাটসম্যান হয়ে যাওয়া এবারের বিপিএলে অন্যতম আলোচিত ঘটনা। ডি ভিলিয়ার্সও জানেন ব্যাপারটি। তবে তাঁর কাছ থেকে ঠিক সে ধরনের কিছু আশা করাটাকে নিরুৎসাহিতই করলেন তিনি, ‘আমি সুইচ হিট খেলি প্রায়ই। এটা আপনারা দেখেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় কিছুদিন আগে এটা খেলেছি। বোধ হয় শটটি আমি ভালোই খেলি। তবে প্রায়ই এটি আমি খেলি না। যখন পরিস্থিতি তৈরি হয়, আমি মনে করি সুইচ হিট খেলার দরকার, তখনই খেলি তবে ক্রিকেটের যেসব মৌলিক বিষয়গুলি অনুসরণ করি, সেখানে এটা নেই।’